✍️রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-৮):
📝 1. স্পেনের গৃহযুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করো।
✅ উত্তর:
ভূমিকা:
স্পেনের গৃহযুদ্ধ (১৯৩৬–১৯৩৯) ছিল একটি রক্তক্ষয়ী ও গভীর মতাদর্শগত সংঘাত, যা কেবল স্পেন নয়, গোটা ইউরোপের রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
🌩 গৃহযুদ্ধের কারণসমূহ
১. রাজনৈতিক বিভাজন ও অস্থিরতা:
প্রজাতান্ত্রিক সরকার গঠনের পর স্পেনে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়।
ডানপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে গভীর মতাদর্শগত বিভাজনের কারণে দেশ গভীর সংকটে পড়ে।
২. সমাজ-অর্থনৈতিক বৈষম্য:
কৃষক, শ্রমিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী সামাজিক ন্যায় ও ভূমি সংস্কারের দাবি জানাতে থাকে।
অন্যদিকে ধনী, জমিদার ও গির্জার ক্ষমতাধর গোষ্ঠী সেই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
৩. সামরিক অভ্যুত্থান ও ফ্রাঙ্কোর উত্থান:
১৯৩৬ সালে জেনারেল ফ্রাঙ্কো নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই গৃহযুদ্ধের সূচনা ঘটে।
৪. আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ:
যুদ্ধটি আন্তর্জাতিক রূপ ধারণ করে যখন জার্মানি ও ইতালি ফ্রাঙ্কোর পক্ষে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রজাতন্ত্রপন্থীদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করে।
এতে স্পেন এক বৈশ্বিক মতাদর্শের সংঘর্ষস্থলে পরিণত হয়।
🔥 গৃহযুদ্ধের ফলাফলসমূহ
৫. ফ্রাঙ্কোর একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা:
১৯৩৯ সালে যুদ্ধ শেষ হলে ফ্রাঙ্কো পুরো স্পেনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং একনায়কতান্ত্রিক শাসন কায়েম করে।
এই শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক বিরোধিতাকে নিষিদ্ধ করে।
৬. ব্যাপক প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয়:
এই যুদ্ধে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায় এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।
পরিবার, গ্রাম ও শহর ধ্বংস হয়ে যায় এবং দেশে দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক ট্রমা সৃষ্টি হয়।
৭. বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতি:
বহু সাহিত্যিক, শিল্পী ও শিক্ষাবিদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন, ফলে স্পেনের সংস্কৃতির উপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির সৃজনশীল পরিবেশ এক রকম নিস্তব্ধতায় ঢেকে যায়।
৮. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাস:
স্পেনের গৃহযুদ্ধ গণতন্ত্র বনাম ফ্যাসিবাদের সংঘাতকে প্রকটভাবে সামনে আনে।
এটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগাম বার্তা, যেখানে বিশ্ব ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান প্রত্যক্ষ করেছিল।
উপসংহার:
স্পেনের গৃহযুদ্ধ ছিল এক গভীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক সংকটের বহিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে স্পেন বহু দশকের জন্য একনায়কতন্ত্রের ছায়ায় ঢেকে যায় এবং ইউরোপ ফ্যাসিবাদের অন্ধকারে প্রবেশ করে।
📝 2. জার্মানিতে হিটলারের উত্থানের কারণগুলি আলোচনা কর
✅ উত্তর:
ভূমিকা:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানি এক গভীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক সংকটে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে অ্যাডলফ হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি পার্টির উত্থান ঘটে এবং এক ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী শাসনের সূচনা হয়।
⚡ হিটলারের উত্থানের প্রধান কারণসমূহ
১. ভার্সাই চুক্তির অপমানজনক শর্তাবলি:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর জার্মানির ওপর চাপানো হয় ভার্সাই চুক্তির কঠোর শর্ত, যার ফলে দেশের জাতীয় গৌরব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই অপমানজনক চুক্তি হিটলারের জাতীয়তাবাদী প্রচারকে শক্তিশালী করে তোলে।
২. অর্থনৈতিক মন্দা ও বেকারত্ব:
১৯২৯ সালের বিশ্ব মন্দা জার্মানির শিল্প, ব্যবসা ও কৃষিকে ভেঙে ফেলে, ব্যাপক বেকারত্ব সৃষ্টি হয়।
এই আর্থিক সংকটের সুযোগে হিটলার সাধারণ মানুষের কাছে একটি শক্তিশালী জার্মানির স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হন।
৩. প্রজাতান্ত্রিক ওয়েমার সরকারের দুর্বলতা:
ওয়েমার প্রজাতন্ত্র ছিল রাজনৈতিকভাবে অস্থির এবং দুর্বল, যার ফলে জনগণের আস্থা নষ্ট হয়।
এই দুর্বল সরকার হিটলারের ফ্যাসিবাদী বিকল্পকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
৪. নাৎসি দলের কুশলী প্রচার কৌশল:
হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি দল আধুনিক প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষ ছড়ায়।
জনসাধারণের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে দলটি তাদের মনোভাব গঠনে প্রভাব ফেলে।
৫. সেনাবাহিনী ও শিল্পপতিদের সমর্থন:
হিটলার সেনাবাহিনী ও ধনী শিল্পপতিদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন এবং তাঁদের আর্থিক ও কৌশলগত সহায়তা লাভ করেন।
এই সমর্থন হিটলারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই একনায়কতন্ত্রের দিকে এগিয়ে দেয়।
৬. ইহুদি বিরোধিতা ও জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের মতবাদ:
হিটলার ইহুদিদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে দোষারোপ করে ও ‘আর্য শ্রেষ্ঠ জাতি’র মতবাদ তুলে ধরে জনমত গড়ে তোলেন।
এই ঘৃণা-ভিত্তিক মতাদর্শ সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং হিটলারকে জনপ্রিয়তা দেয়।
৭. তরুণ সমাজ ও প্রোপাগান্ডার ভূমিকা:
তরুণদের মধ্যে নাৎসি আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হিটলার ‘হিটলার যুব’ গঠন করেন এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে মতাদর্শ ঢোকান।
ফিল্ম, পোষ্টার ও ভাষণের মাধ্যমে তাঁর প্রোপাগান্ডা তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়।
৮. রাষ্ট্রপতির নিয়োগ ও জরুরি ক্ষমতার অপব্যবহার:
১৯৩৩ সালে রাষ্ট্রপতি হিন্ডেনবার্গ হিটলারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেন এবং জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেই হিটলার গণতন্ত্র ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার:
জার্মানিতে হিটলারের উত্থান কেবল একজন নেতার উত্থান নয়, বরং একটি বিপন্ন জাতির অসহায়তার প্রতিচ্ছবি। এই উত্থানই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মানবজাতির ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের সূচনা করে।
📝 3. রুশ বিপ্লবের কারণগুলি আলোচনা কর
✅ উত্তর:
ভূমিকা:
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব ছিল বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, যা কেবল রাশিয়াকে নয়, গোটা বিশ্বের রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল।
🔻 রুশ বিপ্লবের প্রধান কারণসমূহ
১. জার শাসনের নিপীড়ন ও স্বৈরতন্ত্র:
জার নিকোলাস দ্বিতীয়ের শাসন ছিল অত্যন্ত একনায়কতান্ত্রিক ও দমনমূলক, যা জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
কোনও রাজনৈতিক স্বাধীনতা না থাকায় জনগণ ধীরে ধীরে বিদ্রোহের পথে অগ্রসর হয়।
২. ভূমিহীন কৃষকদের দুর্দশা:
রাশিয়ার কৃষকরা জমিদারদের অধীনে শোষিত হতো এবং জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত ছিল।
তাঁরা ভূমির দাবিতে বারবার আন্দোলন করলেও সরকার কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
৩. শিল্পশ্রমিকদের দারিদ্র্য ও শোষণ:
শ্রমিকেরা দীর্ঘ সময় কাজ করত, কম মজুরি পেত এবং কোনো রকম নিরাপত্তা বা অধিকার পেত না।
এই শোষণের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে সামিল হয়।
৪. ১৯০৫ সালের ব্যর্থ বিপ্লব ও ব্লাডি সানডে:
১৯০৫ সালে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জারবাহিনী গুলি চালায়, যেটি ‘রক্তাক্ত রবিবার’ নামে পরিচিত।
এই ঘটনাটি জনগণের মধ্যে জারতন্ত্রের প্রতি তীব্র ঘৃণা তৈরি করে।
৫. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় ও ক্ষয়:
রাশিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বহু সেনা মারা যায় এবং দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে।
জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা হারায় এবং যুদ্ধবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়।
৬. খাদ্য সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি:
যুদ্ধকালীন সময় খাদ্য উৎপাদন কমে যায় এবং দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।
জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়ায় জনরোষ চরমে পৌঁছায়।
৭. বলশেভিক দলের নেতৃত্ব ও লেনিনের প্রভাব:
লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক দল ‘শান্তি, ভূমি ও রুটি’র শ্লোগান দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে।
তাঁর বিপ্লবী আদর্শ ও কৌশলী নেতৃত্ব বিপ্লবকে সফল করতে সাহায্য করে।
৮. সামরিক বাহিনীর অনৈক্য ও সমর্থনহীনতা:
জারবাহিনীর মধ্যেও বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং অনেক সেনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়।
এই অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাই বিপ্লবের বিজয় ত্বরান্বিত করে।
উপসংহার:
রুশ বিপ্লব একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ, যা শোষিত শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। এটি বিশ্বব্যাপী সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং নতুন এক রাজনৈতিক যুগের সূচনা করে।
📝 4. ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার কারণগুলি আলোচনা করো
✅ উত্তর:
ভূমিকা:
১৮শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব শুরু হয়, যা উৎপাদন পদ্ধতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে এক বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন আনে। এই বিপ্লব ধীরে ধীরে ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং আধুনিক শিল্প সভ্যতার ভিত্তি গড়ে তোলে।
🔧 শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার প্রধান কারণসমূহ
১. প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য:
ইংল্যান্ডে প্রচুর পরিমাণে কয়লা ও লৌহ আকরিক পাওয়া যেত, যা শিল্প উৎপাদনের মূল জ্বালানি ও কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই সম্পদ সহজলভ্য হওয়ায় ভারী শিল্প গড়ে তোলা সহজ হয়।
২. বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন:
জেমস ওয়াটের বাষ্প ইঞ্জিন আবিষ্কার, স্পিনিং জেনি, পাওয়ার লুম ইত্যাদি যন্ত্র আবিষ্কার শিল্প বিপ্লবের গতিকে ত্বরান্বিত করে।
এই প্রযুক্তিগুলি উৎপাদন ব্যবস্থাকে যান্ত্রিক করে তোলে এবং মানুষের উপর নির্ভরতা কমায়।
৩. কৃষি বিপ্লব ও অতিরিক্ত জনশক্তি:
কৃষি বিপ্লবের ফলে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে যায় এবং গ্রামে অতিরিক্ত শ্রমিক শ্রেণি তৈরি হয়।
এই জনগোষ্ঠী শহরে এসে শিল্প কারখানায় শ্রমশক্তি হিসেবে যুক্ত হয়।
৪. পুঁজিবাদী মনোভাব ও ধনী বুর্জোয়া শ্রেণি:
ইংল্যান্ডে ধনী ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং উৎপাদনের বিস্তার চেয়েছিল।
এই শ্রেণির পুঁজির যোগান শিল্প স্থাপনের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
৫. উপনিবেশ ও আন্তর্জাতিক বাজার:
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল, ফলে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং প্রস্তুত পণ্যের বাজার তৈরি সহজ হয়।
বিশাল উপনিবেশিক বাজার শিল্প পণ্য বিক্রির সুযোগ দেয়।
৬. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতিগত সহায়তা:
ইংল্যান্ডে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল, যা ব্যবসা ও শিল্পে নীতিগত স্থায়িত্ব ও সহায়তা দেয়।
সরকার নতুন উদ্ভাবন ও শিল্পে বাধা সৃষ্টি না করে বরং উৎসাহ জোগায়।
৭. পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি:
নদীপথ, খাল, পাকা রাস্তা ও রেলপথ নির্মিত হওয়ায় পণ্য পরিবহণ সহজ ও সাশ্রয়ী হয়।
এই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কাঁচামাল ও প্রস্তুত পণ্য দ্রুত পরিবহনে সাহায্য করে।
৮. শ্রমজীবী জনগণের কষ্টসহিষ্ণুতা ও অভ্যাস:
ব্রিটেনের শ্রমিক শ্রেণি দীর্ঘ সময় কাজ করতে প্রস্তুত ছিল এবং নতুন যন্ত্রপাতি শিখে নিতে আগ্রহী ছিল।
এই মানবসম্পদই শিল্প বিপ্লবের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে।
উপসংহার:
ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার কারণ ছিল বহুবিধ – প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক। এই বিপ্লব বিশ্বের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনের সূচনা করে, যা আধুনিক যুগের প্রেক্ষাপট নির্মাণে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।