🌹বি.এ(সেমিস্টার-৩) :: বাংলা মেজর-৩(পেপার-১) :: সাজেশন(PART-1)🌹

 

 

 

✍️প্রশ্নের মান-২:

১. ‘ব্রাক্ষ্মণ-রোমান ক্যাথলিক সংবাদ' ও দোম অন্তিনিও-র প্রকৃত পরিচয় কী?
উ: দোম অন্তিনিও রচিত ‘ব্রাক্ষ্মণ-রোমান ক্যাথলিক সংবাদ’ একটি উল্লেখযোগ্য পুস্তিকা। দোম অন্তিনিও ছিলেন এক বাঙালি জমিদারপুত্র, যাঁকে মগ দস্যুদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে পোর্তুগিজ পাদরীরা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা দেন।

২. দোম রচিত পুস্তিকাটির বিশেষত্ব কী এবং এর ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
উ: এটি প্রশ্নোত্তর আকারে লেখা এবং এর ভাষায় ঢাকার অঞ্চল-বিশেষের কথ্যরীতির প্রভাব রয়েছে।

৩. ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' গ্রন্থের লেখক এবং ‘কর্নওয়ালিস কোড'-এর অনুবাদক কে?
উ: ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' গ্রন্থের লেখক মনোএল দ্য আস্‌সৃম্পসাম্ এবং ‘কর্নওয়ালিস কোড'-এর অনুবাদক উইলিয়াম হেনরি ফরস্টার।

৪. ‘ধর্মপুস্তক’ কী এবং এটি কবে প্রকাশিত হয়েছিল?
উ: ‘ধর্মপুস্তক’ সমগ্র বাইবেলের প্রথম বাংলা অনুবাদ, যা ১৮০৯ সালে প্রকাশিত হয়।

৫. ‘ইংরাজি-বাংলা শব্দকোষ’ কার রচনা এবং মুদ্রাযন্ত্র বিষয়ক আইন কবে বিধিবদ্ধ হয়?
উ: ‘ইংরাজি-বাংলা শব্দকোষ’ গ্রন্থটি মোহন প্রসাদ ঠাকুর রচনা করেন এবং মুদ্রাযন্ত্র বিষয়ক আইন ১৮২৩ সালে বিধিবদ্ধ হয়।

৬. বাঙালি পরিচালিত প্রথম সাময়িক পত্র এবং বাঙালির লেখা প্রথম ইতিহাসের নাম কী?
উ: বাঙালি পরিচালিত প্রথম সাময়িক পত্র ‘বেঙ্গল গেজেট’ (১৮১৮, জুন), যা গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য সম্পাদিত। বাঙালির লেখা প্রথম ইতিহাসের নাম ‘রাজাবলি’ (১৮০৮), এটি ভারতবর্ষের সর্বপ্রথম ধারাবাহিক ইতিহাস গ্রন্থ।

৭. শ্রীরামপুর মিশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রাণপুরুষ কে ছিলেন?
উ: শ্রীরামপুর মিশন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রাণপুরুষ ছিলেন জশুয়া মার্শম্যান।

৮. ন্যাথানিয়াল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম কী এবং এটি কবে প্রকাশিত হয়েছিল?
উ: ন্যাথানিয়াল ব্রাসি হ্যালহেডের রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম ‘A Grammar of the Bengali Language’, যা ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয়।

৯. ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' গ্রন্থের লেখক কে, এটি কোথা থেকে মুদ্রিত হয় এবং এর বিশেষত্ব কী?
উ: ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' গ্রন্থটি মনোএল দ্য আস্‌সুম্পসাম-এর লেখা এবং এটি পোর্তুগালের লিসবন শহর থেকে মুদ্রিত হয়। এটিই বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম গদ্যগ্রন্থ।

১০. বাংলা হরফে সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ছাপা বই কোনটি এবং এর সম্পাদক কে?
উ: বাংলা হরফে সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ছাপা বই উইলিয়াম জোন্‌স সম্পাদিত কালিদাসের 'ঋতুসংহার' (১৭৯২)।

১১. ‘ব্রাক্ষ্মণ রোমান ক্যাথলিক সংবাদ’ (১৭৪৩)-এর লেখক কে এবং তাঁর পরিচয় কী?
উ: এর লেখক দোম অন্তিনিও। তিনি ছিলেন এক জমিদারপুত্র, যাকে পোর্তুগিজরা চুরি করে নিয়ে গিয়ে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা দেন।

১২. বাল্মীকি রামায়ণ, কৃত্তিবাসী রামায়ণ ও কাশীরাম দাসের মহাভারত প্রথম কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
উ: উইলিয়াম কেরী ও মার্শম্যানের সম্পাদনায় শ্রীরামপুর মিশন থেকে এই গ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয়।

১৩. শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তারা কারা?
উ: শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন উইলিয়াম কেরী ও টমাস। এছাড়াও বার্নসডসন ও মার্শম্যানের নাম উল্লেখযোগ্য।

১৪. শ্রীরামপুর প্রেসের জন্য বাংলা অক্ষর কার নিকট থেকে জোগাড় করা হয়েছিল?
উ: পঞ্চানন কর্মকারের নিকট থেকে বাংলা হরফ জোগাড় করা হয়।

১৫. মুদ্রাযন্ত্রের প্রয়োজনে প্রথম বাংলা হরফ কারা তৈরি করেন এবং কবে?
উ: ন্যাথানিয়াল ব্রাসি হ্যালহেড ও তাঁর বন্ধু চার্লস উইলকিন্স, হুগলির প্রসিদ্ধ পঞ্চানন কর্মকারের সহায়তায় ১৭৭৮ সালে বাংলা হরফ তৈরি করেন।

১৬. শ্রীরামপুর প্রেসের প্রথম মুদ্রিত বাংলা গদ্যগ্রন্থ কোনটি এবং এর মূল গ্রন্থের নাম কী?
উ: ‘মঙ্গল সমাচার মতিউর রচিত’ (১৮০০), যার মূল গ্রন্থের নাম ‘St. Matthew's Gospel’।

১৭. সমগ্র বাইবেলের অনুবাদ কত সালে কী নামে প্রকাশিত হয়?
উ: ১৮০৯ সালে এটি ‘ধর্মপুস্তক’ নামে প্রকাশিত হয়।

১৮. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
উ: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা মে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হয়। এর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন রেভারেন্ড ডেভিড ব্রাউন।

১৯. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ কবে খোলা হয়?
উ: ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়।

২০. উইলিয়াম কেরী কোথায় বাংলা শিক্ষা করেছিলেন এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কতদিন পর্যন্ত সক্রিয় ছিল?
উঃ 👉 উইলিয়াম কেরী রামরাম বসুর কাছে বাংলা শিক্ষা করেছিলেন।
👉 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল।

২১. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এটি কাকে বাঙালির গদ্যের সূতিকাগার বলা হয়?
উঃ 👉 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিলেত থেকে আগত নব্য সিভিলিয়ান অফিসারদের বাংলা ভাষা শিখিয়ে তাদের শাসনকার্যের উপযোগী করে তোলা।
👉 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে বাঙালির গদ্যের সূতিকাগার বলা হয়।

২২. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মূলে কোন গভর্ণর জেনারেলের উদ্দেশ্য কাজ করেছিল এবং এর লেখকের মধ্যে প্রধান তিনজনের নাম লেখো।
উঃ 👉 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মূলে ছিলেন লর্ড ওয়েলেসলি।
👉 এর লেখকের মধ্যে প্রধান তিনজন ছিলেন রামরাম বসু (১৭৫৭–১৮১৩), উইলিয়াম কেরী (১৭৬১–১৮৩৪), এবং মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২–১৮১৯)।

২৩. কাকে এবং কেন ‘কেরী সাহেবের মুন্সী' বলা হয় এবং ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা, সংস্কৃত ও মারাঠি বিভাগের প্রধান কে ছিলেন?
উঃ 👉 রামরাম বসুকে ‘কেরী সাহেবের মুন্সী' বলা হয় কারণ উইলিয়াম কেরী রামরাম বসুর কাছে বাংলা শিখেছিলেন।
👉 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা, সংস্কৃত ও মারাঠি বিভাগের প্রধান ছিলেন উইলিয়াম কেরী।

২৪. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রধান পণ্ডিত কে ছিলেন?
উঃ 👉 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রধান পণ্ডিত ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।

২৫. ঈশ্বর গুপ্ত সম্পাদিত 'সম্বাদ প্রভাকর' পত্রিকাটি কবে থেকে দৈনিকরূপে প্রকাশিত হয় এবং প্রথম বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের নাম কী?
উঃ 👉 'সম্বাদ প্রভাকর' পত্রিকা ১৮৩৯ সাল থেকে দৈনিকরূপে প্রকাশিত হয়।
👉 প্রথম বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের নাম 'সম্বাদ প্রভাকর'। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

২৬. ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকাকে কেন্দ্র করে যে একদল লেখক গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে তাদের নাম লেখো এবং পত্রিকাটি কীরূপে কীভাবে প্রকাশ হয়েছিল?
উঃ 👉 ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকাকে কেন্দ্র করে যে একদল লেখক গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন—রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, বঙ্কিমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
👉 ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকা ১৮৩১ খ্রি: ২৮শে জানুয়ারি প্রথম সাপ্তাহিক রূপে, ১৮৩৬ খ্রি: ১০ই আগস্ট থেকে বারত্রয়িক রূপে এবং ১৮৩৯ খ্রি: ১৪ই জুন বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক রূপে আত্মপ্রকাশ করে।

২৭. বাংলা সাহিত্যে 'সংবাদ প্রভাকরের' অবদান কী ছিল?
উঃ 👉 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকার বাংলা সাহিত্যে অবদান ছিল বহুবিবাহ নিবারণ আন্দোলন, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার প্রভৃতির সপক্ষে ক্রমাগত প্রচারের মাধ্যমে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় রাখা। এছাড়া, প্রাচীন বঙ্গ কবিদের জীবন ও কাব্য সম্বন্ধে অনুসন্ধানী গবেষণামূলক রচনাও প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এই পত্রিকায়।

২৮. ‘ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম কী এবং ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকাটি কার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হয়?
উঃ 👉 ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম হল ‘সংবাদ প্রভাকর'।
👉 ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায়।

২৯. যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুরের মৃত্যুর পর কাদের সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকা প্রকাশ পায় এবং পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান কী ছিল?
উঃ 👉 যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুরের মৃত্যুর পর কানাইলাল ঠাকুর এবং গোপালচন্দ্র ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
👉 ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল কাবিওয়ালদের জীবনী ও চরনাবলী প্রকাশ করা।

৩০. ‘সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকা কার সম্পাদনায় কত খ্রিঃ প্রকাশিত হয় এবং এই পত্রিকায় ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত কাদের জীবনী ও কাব্য প্রতিভা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন?
উঃ 👉 ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকা ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায় ১৮৩১ খ্রিঃ প্রকাশিত হয়।
👉 ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত এই পত্রিকায় চারজন কবি ও তাঁদের কাব্য সম্বন্ধে আলোচনা করেছিলেন। তারা হলেন (১) রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র (২) কবিরঞ্জন রামপ্রসাদ (৩) রামনিধি গুপ্ত (৪) রাম বসু।

৩১. সংবাদ প্রভাকরকে কেন্দ্র করে কোন কোন সাহিত্যিকদের আবির্ভাব হয়েছিল এবং বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্র কোনটি?
উঃ 👉 সংবাদ প্রভাকরকে কেন্দ্র করে রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং দ্বারকানাথ অধিকারী প্রমুখ সাহিত্যিকদের আবির্ভাব ঘটেছিল।
👉 বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্র হল ‘সংবাদ প্রভাকর’।

৩২. ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা' সম্পাদকের পূর্বে অক্ষয়কুমার দত্ত কোন পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন এবং ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার প্রধান প্রধান লেখকদের নাম লেখো?
উঃ 👉 ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা' সম্পাদকের পূর্বে অক্ষয়কুমার দত্ত 'বিদ্যাদর্শন' নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
👉 ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার লেখক গোষ্ঠী হলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়কুমার দত্ত, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

৩৩. ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকা কত কাল যাবৎ প্রকাশিত হয় এবং এর কয়েক জন সম্পাদকের নাম লেখো?
উঃ 👉 ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকা ১৮৪৩ খ্রি: ১৯২৩ খ্রি: পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
👉 এই পত্রিকার কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সম্পাদক হলেন—সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ।

৩৪. অক্ষয় কুমার দত্তের দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম লেখো এবং ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার কমিটির কয়েকজন সদস্যের নাম লেখো?
উঃ 👉 অক্ষয় কুমার দত্তের দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ হল-‘চারুপাঠ' এবং 'ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়' যা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশ পায়।
👉 ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার কমিটির কয়েকজন সদস্যের নাম হল-রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার দত্ত প্রমুখ।

৩৫. বাংলা সাহিত্যে 'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার অবদান লেখো এবং ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকা প্রকাশ কাল কত খ্রিঃ?
উঃ 👉 বাংলা সাহিত্যে ‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার বিশেষ অবদান ছিল। লঙ সাহেব সমস্ত ভারতীয় ভাষার প্রকাশিত সাময়িক পত্রিকাগুলির মধ্যে একে শ্রেষ্ঠ বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। ধর্ম, দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ব, ও সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ের আলোচনা এই পত্রিকায় প্রকাশ পেত।
👉 ‘তত্ত্ববোধিনী” পত্রিকা প্রকাশ কাল ১৮৪৩ খ্রিঃ।

৩৬. তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার পৃষ্ঠপোষাক কে ছিলেন এবং কাদের মুখপত্ররূপে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা' প্রকাশিত হয়েছিল?
উঃ 👉 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার পৃষ্ঠপোষাক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
👉 ব্রাহ্ম সমাজের মুখপত্ররূপে এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল।

৩৭. তত্ত্ববোধিনী সভার প্রতিষ্ঠা কবে হয় এবং অক্ষয়কুমার দত্ত কত সালে 'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদকের পদ থেকে সরে যান?
উঃ 👉 তত্ত্ববোধিনী সভার প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৩৯ খ্রিঃ।
👉 অক্ষয়কুমার দত্ত ১৮৫৫ খ্রি: 'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদকের পদ থেকে সরে যান।

৩৮. ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা সম্পর্কে শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় কী মন্তব্য করেছিলেন এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার বিস্তার কত খ্রি: পর্যন্ত ছিল?
উঃ 👉 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা সম্পর্কে শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় বলেছিলেন——“সে সময় তত্ত্ববোধিনী বঙ্গদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পত্রিকা হইয়া উঠিয়াছিল।”
👉 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার বিস্তার ছিল বাংলায় সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র আবির্ভাবের সময়কাল পর্যন্ত (১৮৬৫ খ্রি: পর্যন্ত)।

৩৯. ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা' কার উদ্যোগে এবং কার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় এবং এই পত্রিকার মূল লক্ষ্য কি ছিল?
উঃ 👉 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং অক্ষয় কুমার দত্তের সম্পাদনায় ১৮৪৩ খ্রিঃ প্রকাশিত হয়।
👉 ব্রাহ্ম ধর্মের ব্যাখ্যা, ব্রাহ্ম উপাসনার প্রথা-পদ্ধতি প্রচার, জ্ঞানোন্নতির সাধন, তথ্য অনুসন্ধান প্রভৃতি ছিল পত্রিকাটির মূল লক্ষ্য।

৪০. কারা এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উঃ 👉 রাজনারায়ণ বসু, বিদ্যাসাগর, রাজেন্দ্রলাল মিত্র প্রমুখ মনিষীরা এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

৪১. বঙ্কিমচন্দ্র ছাড়াও বঙ্গদর্শনের কয়েকজন বিশিষ্ট লেখকের নাম লেখো এবং ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেলে কী নামে কত সালে কার প্রচেষ্টায় এটি পুনরায় প্রকাশিত হয়?
উঃ 👉 বঙ্কিমচন্দ্র ছাড়াও বঙ্গদর্শনের পত্রিকার কয়েকজন বিশিষ্ট লেখকের নাম হল —রামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এবং অক্ষয়চন্দ্র সরকার, অমরেন্দ্র সরকার, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
👉 ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেলে ‘নবপর্যায় বঙ্গদর্শন' নামে ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় এটি পুনরায় প্রকাশিত হয়।

৪২. 'বঙ্গদর্শন' কোন সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশিত বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উঃ 👉 ‘বঙ্গদর্শন' ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
👉 ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশিত বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকটি উপন্যাসের নাম হল—‘রাজসিংহ’, ‘আনন্দমঠ’, ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘রজনী’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘বিষবৃক্ষ' এবং ‘চন্দ্রশেখর’।

৪৩. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা কোথা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কে ছিলেন? এর তৃতীয় সম্পাদক কে ছিলেন?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলের পিপুলপাতি লেনের সাপ্তহিক সংবাদপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
👉 এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
👉 তৃতীয় সম্পাদক ছিলেন শ্রীশচন্দ্র মজুমদার।

৪৪. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার দ্বিতীয় সম্পাদক কে ছিলেন এবং তিনি কত বছর পর্যন্ত সম্পাদনা করেছিলেন?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার দ্বিতীয় সম্পাদক ছিলেন সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
👉 তিনি মোট সাড়ে তিন বছর (১৮৭৭ খ্রি: — ১৮৮১ খ্রি:) পর্যন্ত সম্পাদনা করেছিলেন।

৪৫. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সপ্তম সম্পাদকদের নাম কী এবং এর বিরোধিতা করে কোন দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সপ্তম সম্পাদকদ্বয়ের নাম হল সুধীর কুমার মিত্র এবং হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত।
👉 এর বিরোধিতা করে প্রকাশিত দুটি পত্রিকার নাম হল – মনমোহন বসু সম্পাদিত ‘মধ্যস্থ' এবং জানকীনাথ গাঙ্গুলী সম্পাদিত 'হালিশহর’।

৪৬. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম উপন্যাসের নাম কী এবং বঙ্কিমচন্দ্রের কোন প্রবন্ধগুলি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাসের নাম হল 'বিষবৃক্ষ'।
👉 বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বিবিধপ্রবন্ধ', 'কমলাকান্তের দপ্তর', 'লোকরহস্য' প্রভৃতি প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশ পায়।

৪৭. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার গুরুত্ব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিপিনচন্দ্র পাল কী মন্তব্য করেছিলেন?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকার গুরুত্ব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন-“বঙ্গভাষা সহসা বাল্যকাল হইতে যৌবনে উপনীত হইল।”
👉 বিপিনচন্দ্র পাল মন্তব্য করেছিলেন যে-“বাংলা সাহিত্যে বঙ্গদর্শন একটি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্করূপে উদিত হইয়াছিল এবং বঙ্কিম ছিলেন এই জ্যোতিষ্ক মণ্ডলের সূর্যরূপ।”

৪৮. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা বন্ধ করে দেবার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কী মন্তব্য করেছিলেন?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন সেটি হল—“আমি এক দাসত্বভাবে পীড়িত, তাহার ওপর স্বাস্থ্যের এবং পরিশ্রম শক্তিরও সীমা আছে।
👉 ইদানীং বঙ্গদর্শনের প্রায় লিখার ভার আমার উপর পড়িয়াছিল। কাজেই আমি আর পারিলাম না।”

৪৯. ‘নবপর্যায় বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উ:
👉 ‘নবপর্যায় বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত উপন্যাসের নাম হল ‘চোখের বালি’।

৫০. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত বছর বঙ্গদর্শন সম্পাদনা করেন এবং ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশের সময় তাঁর কত বছর বয়স ছিল?
উ:
👉 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ খ্রি: পর্যন্ত মোট ৪ বছর 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেছিলেন।
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশের সময় বঙ্কিমচন্দ্রের বয়স ছিল ৩৪ বছর।

৫১. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম মুদ্রক কে ছিলেন এবং ষষ্ঠ সম্পাদক কে ছিলেন?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম মুদ্রক ছিলেন ব্রজমাধব বসু।
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার ষষ্ঠ সম্পাদক ছিলেন মোহিতলাল মজুমদার।

৫২. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা ১৩৭৪ বঙ্গাব্দে কার সম্পাদনায় প্রকাশ পায় এবং বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশনা শুরু করেও সমাপ্ত করতে পারেননি?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা ১৩৭৪ বঙ্গাব্দে কালীপদ ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
👉 বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাসটি ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশনা শুরু করেও তা সমাপ্ত করতে পারেননি।

৫৩. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ‘মধুমতী’ নামের ছোট উপন্যাসটি রচনা করে কে প্রকাশ করেন এবং ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় 'মধুমতী' নামের ছোট উপন্যাসটি রচনা করে প্রকাশ করেন পূর্ণাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায়।
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল।

৫৪. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশের আগে বাংলা ভাষায় কতটি সাময়িক পত্র প্রকাশিত হয়েছিল এবং ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশের সময় কে সম্পাদনা করেছিলেন?
উ:
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশের আগে বাংলা ভাষায় ২৭৬টি সাময়িক পত্র প্রকাশিত হয়েছিল।
👉 ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল।

৫৫. পরবর্তীকালে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক কারা হয়েছিলেন এবং ‘বঙ্গদর্শন’ লেখকগোষ্ঠীতে কারা ছিলেন?
উ:
👉 বঙ্কিমচন্দ্রের পর যাঁরা ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তাঁরা হলেন সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্রীশচন্দ্র মজুমদার এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
👉 ‘বঙ্গদর্শন’ লেখকগোষ্ঠীতে ছিলেন চন্দ্রনাথ বসু, সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অক্ষয় চন্দ্র সরকার, চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রমুখ লেখকেরা।

৫৬. 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' কার লেখা ? কত সালে প্রকাশিত ? এবং বাংলা ভাষার প্রথম প্রাবন্ধিক হিসেবে কাকে বিবেচনা করা চলে ?
উ:
👉 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' রাজা রামমোহন রায়ের লেখা এবং এটি ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত হয়।
👉 বাংলা ভাষার প্রথম প্রাবন্ধিক হিসেবে রামমোহন রায়কে বিবেচনা করা হয়।

৫৭. কোন বাঙালি সর্বপ্রথম সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারের প্রতি সক্রিয়ভাবে মনোনিবেশ করেন ? এবং সতীদাহের উপর লেখা রামমোহনের গ্রন্থটির নাম কী ?
উ:
👉 রাজা রামমোহন রায় সর্বপ্রথম সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারে মনোযোগী হন।
👉 সতীদাহের উপর লেখা রামমোহনের গ্রন্থটির নাম 'সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক নিবর্তক সম্বাদ' (১৮১৮–১৮১৯)।

৫৮. রামমোহন রায় সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম লেখো এবং রামমোহন রায়ের লেখা যে-কোনো চারটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উ:
👉 রামমোহন রায় সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম ‘সম্বাদ কৌমুদী’।
👉 রামমোহন রায়ের লেখা চারটি গ্রন্থের নাম হল- ‘বেদান্ত গ্রন্থ’, ‘বেদান্ত সার’, ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’, ‘সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক নিবর্তক সম্বাদ’।

৫৯. রামমোহন রায় রচিত প্রথম গ্রন্থটি কী ? এবং রামমোহন রায়ের বিতর্কমূলক গ্রন্থগুলি কী কী ?
উ:
👉 রামমোহন রায় রচিত প্রথম গ্রন্থ ‘তুহফাৎ-উল-মুওয়াহিদ্দিন' (১৮০৩)।
👉 রামমোহন রায়ের বিতর্কমূলক গ্রন্থগুলি হল- (১) 'ভট্টচার্যের সহিত বিচার' (১৮১৭), (২) 'গোস্বামীর সহিত বিচার' (১৮১৮), (৩) 'পথ্যপ্রদান' (১৮১৯), কায়স্থের সহিত মদ্যপান বিষয়ক বিচার ইত্যাদি।

৬০. বেদান্ত ও উপনিষদের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত রামমোহনের দুটি গ্রন্থের নাম লেখো এবং রামমোহন রায় রচিত বাংলা গ্রন্থের সংখ্যা কত ?
উ:
👉 বেদান্ত ও উপনিষদের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত রামমোহনের দুটি গ্রন্থ হল 'বেদান্তগ্রন্থ' ও ‘বেদান্তসার’ (১৮১৫)।
👉 রামমোহন রায় রচিত বাংলা গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টি।

৬১. আধুনিক ভারতচেতনায় কাকে ইউরোপের জন্য উইফ্লিমের মতো ‘Moring Star of Reformation' বলা হয় ? এবং রামমোহনের পদবী কী ছিল ?
উ:
👉 ভারতে রামমোহন রায়কে জন উইফ্লিমের মতো ‘Moring Star of Reformation' বলা হয়।
👉 রামমোহনের পদবী ছিল বন্দ্যোপাধ্যায়।

৬২. রামমোহনকে ‘রাজা' উপাধি কে দিয়েছিলেন ? এবং রামমোহনকে ‘ভারতপথিক' কে বলেছিলেন ?
উ:
👉 ১৮৩০ সালে দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় আকবর তাকে 'রাজা' উপাধি দিয়েছিলেন।
👉 রামমোহন রায়কে ‘ভারতপথিক' বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৬৩. “দেওয়ানজী জলের মতো বাঙ্গালা লিখিতেন।” -রামমোহন সম্পর্কে এই প্রশংসাবাক্য কার ? এবং রামমোহন কোন্ সাল থেকে কলকাতায় বসবাস করতে থাকেন ?
উ:
👉 রামমোহন সম্পর্কে এই প্রশংসা বাক্য কবি ঈশ্বরগুপ্তের।
👉 ১৮১৫ সাল থেকে রামমোহন কলকাতায় বসবাস শুরু করেন।

৬৪. বাংলা সাহিত্যে প্রথম যুক্তি তর্কমূলক প্রবন্ধে স্বচ্ছ ভাষা কে সৃষ্টি করেন ? এবং রামমোহন বাংলা, ইংরেজি ও ফারসি ভাষায় তিনটি পত্রিকা বের করেন; পত্রিকাগুলির নাম লেখো।
উ:
👉 বাংলা সাহিত্যে প্রথম যুক্তি তর্কমূলক প্রবন্ধে স্বচ্ছ ভাষা রচনা করেন রাজা রামমোহন রায়।
👉 রামমোহন রায় বাংলা, ইংরেজি ও ফারসি ভাষায় তিনটি পত্রিকা বের করেন:

• ‘ব্রাক্ষ্মণ সেবধি’ (১৮২১) - বাংলা
• ‘Brahmunical Magazine’ (১৮২১) - ইংরেজি
• ‘মীরাতুল আখবার’ (১৮২২) - ফারসি

৬৫. রামমোহনের প্রথম গদ্য পুস্তকের নাম কী ? এবং রামমোহনের প্রথম গদ্য পুস্তক বেদান্তসার' (১৮১৫)। এই একই সালে বের হয়েছিল ‘বেদান্তগ্রন্থ’ (১৮১৫)। এই দুটি গ্রন্থ বেদান্তের অনুবাদ ।
উ:
👉 রামমোহনের প্রথম গদ্য পুস্তক 'বেদান্তসার' (১৮১৫)।
👉 এই একই সালে বের হয়েছিল ‘বেদান্তগ্রন্থ’ (১৮১৫)। এই দুটি গ্রন্থ বেদান্তের অনুবাদ।

৬৬. রামমোহন রায়ের কয়েকটি সংস্কৃত অনুবাদ গ্রন্থের নাম লেখো এবং রামমোহনের বিতর্কমূলক গ্রন্থগুলির নাম লেখো।
উ:
👉 রামমোহন রায়ের কয়েকটি সংস্কৃত অনুবাদ গ্রন্থের নাম:

• ‘কেনোপনিষদ’ (১৮১৫)
• ‘তলবকার উপনিষদ' (১৮১৬)
• ‘ঈশোপনিষদ' (১৮১৬)
• ‘কঠোপনিষদ’ (১৮১৭)
• ‘মাণ্ডুক্যোপনিষদ' (১৮১৭)
• ‘গায়ত্রীর অর্থ’ (১৮১৮)

👉 রামমোহনের বিতর্কমূলক গ্রন্থগুলির নাম:

• ‘উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশের সহিত বিচার' (১৮১৬)
• ‘গোস্বামীর সহিত বিচার' (১৮১৮)
• ‘সহমরণ বিষয়ক প্রবর্তক-নিবর্তক সম্বাদ' (১৮১৮-১৯)
• ‘কবিতাকারের সহিত বিচার' (১৮২০)
• ‘পাদরি ও শিষ্য সম্বাদ' (১৮২৩)
• ‘কায়স্থের সহিত মদ্যপান বিষয়ক বিচার' (১৮২৬)

৬৭. কার পত্রের জবাবে রামমোহন ‘গুরু পাদুকা’ (১৮২৩) নামক বিতর্কমূলক গ্রন্থটি রচনা করেন ? এবং ফারসি ভাষায় লেখা রামমোহনের একমাত্র গ্রন্থটির নাম কী ?
উ:
👉 ‘সমাচার চন্দ্রিকা’-তে জনৈক শ্রীগৌরাঙ্গ দাসের পত্রের জবাবে রামমোহন ‘গুরু পাদুকা’ (১৮২৩) নামক বিতর্কমূলক গ্রন্থটি রচনা করেন।
👉 ফারসি ভাষায় লেখা রামমোহনের একমাত্র গ্রন্থটির নাম ‘তুহফাৎ-উল-মুওয়াহিদ্দিন' (১৮০৩-১৮০৪ খ্রিঃ)।

৬৮. রামমোহনের মৌলিক গ্রন্থ দুটির নাম লেখো এবং বাঙালির লেখা প্রথম ব্যাকরণ কোনটি ?
উ:
👉 রামমোহনের মৌলিক গ্রন্থ দুটি হল:

• ‘Bengali Grammar in the English Language’ (১৮২৬)
• ‘ব্রাহ্মসঙ্গীত’ (১৮২৮)
  প্রথম গ্রন্থটি তাঁর মৃত্যুর পর স্কুল বুক সোসাইটি ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ (১৮৩৩) নামে প্রকাশ করে।

👉 বাঙালির লেখা প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ হল রামমোহনের ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ' (১৮৩৩)।

৬৯. রামমোহন ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার (১৮১৭) গ্রন্থটি কার কোন্ গ্রন্থের প্রত্যুত্তর স্বরূপ লিখেছেন ? এবং রামমোহন ‘পথ্যপ্রদান' (১৮২৩) কোন্ গ্রন্থের উত্তর স্বরূপ লিখেছেন ?
উ:
👉 রামমোহন ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার (১৮১৭)’ গ্রন্থটি মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের ‘বেদান্ত চন্দ্রিকা' (১৮১৭) গ্রন্থের প্রত্যুত্তরে লিখেছেন।
👉 রামমোহন ‘পথ্যপ্রদান' (১৮২৩) কাশীনাথ তর্কপঞ্চাননের ‘পাষাণ্ডপীড়ন' (১৮২৩) গ্রন্থের উত্তর স্বরূপ লিখেছেন।

৭০. ‘আত্মীয়সভা’ করে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীকালে এই সভার কী নাম হয় ?
উ:
👉 ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রামমোহন ‘আত্মীয়সভা' প্রতিষ্ঠা করেন।
👉 ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে এর নাম হয় 'ব্রাহ্মসমাজ'।

৭১. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম রচনা কোনটি এবং তাঁর 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭) গ্রন্থটি হিন্দি ভাষা থেকে অনুবাদ করা হলে তার নাম কী?
উঃ
👉 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম রচনা 'বাসুদেব চরিত'। এটি পাওয়া যায়নি।
👉 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭) গ্রন্থটি হিন্দি ভাষা থেকে অনুবাদ করা হলে তার নাম 'বেতাল পচ্চীসী'।

৭২. বিদ্যাসাগরের 'জীবনচরিত' (১৮৪৯) গ্রন্থটি কোন বইয়ের অনুসরণে লেখা এবং বাংলা ভাষায় রচিত সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস কোনটি?
উঃ
👉 বিদ্যাসাগরের 'জীবনচরিত' (১৮৪৯) গ্রন্থটি চেম্বার্সের 'Biographies' বইয়ের অনুসরণে লেখা।
👉 বাংলা ভাষায় রচিত সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস হল 'সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব'।

৭৩. বিদ্যাসাগরের পূর্বে ভাষাশিল্পী হিসেবে কে গণ্য করা হয় এবং 'বাংলা গদ্যের জনক' কাকে বলা হয়?
উঃ
👉 বিদ্যাসাগরের পূর্বে ভাষাশিল্পী হিসেবে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারকে গণ্য করা হয়।
👉 'বাংলা গদ্যের জনক' বলা হয় বিদ্যাসাগরকে।

৭৪. বিদ্যাসাগর কোন ছদ্মনামে লিখতেন এবং তাঁর রচিত প্রথম গ্রন্থটির নাম কী?
উঃ
👉 বিদ্যাসাগর 'কস্যাচিৎ উপযুক্ত ভাইপোসা' ছদ্মনামে লিখতেন।
👉 বিদ্যাসাগরের রচিত প্রথম গ্রন্থের নাম 'বাসুদেব চরিত'। গ্রন্থটি মুদ্রিত হয়নি।

৭৫. বিদ্যাসাগর রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটির নাম কী এবং তাঁর সমাজ সংস্কারমূলক গ্রন্থগুলির নাম কী?
উঃ
👉 বিদ্যাসাগরের রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটির নাম 'বিদ্যাসাগর রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ' (১৮৭১)।
👉 বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কারমূলক গ্রন্থগুলির নাম:

• 'বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব' (১৮৫৫)
• 'বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষক বিচার' (১৮৭১)।

৭৬. হিন্দি ভাষা থেকে অনুদিত বিদ্যাসাগরের গ্রন্থের নাম কী?
উঃ
👉 হিন্দি 'বেতাল পক্ষিসী' গ্রন্থের অনুবাদ 'বেতাল পবিংশতি' (১৮৪৭ খ্রিঃ)।

৭৭. বর্ণপরিচয় (১৮৫৫) ও 'চরিতাবলী' (১৮৫৬)-কার লেখা এবং বাঙালির লেখা সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম ইতিহাসের নাম কী ?
উঃ
👉 বর্ণপরিচয় ও চরিতাবলী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা।
👉 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য শাস্ত্র বিষয়ক প্রস্তাব' (১৮৫৩) বাঙালির লেখা প্রথম সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস।

৭৮. বিদ্যাসাগরের দুটি মৌলিক পুস্তিকার নাম লেখো এবং বিদ্যাসাগর তাঁর বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বালিকা কন্যা প্রভাবতীর শোচনীয় মৃত্যুকে কেন্দ্ৰ করে কোন্ গ্রন্থটি লেখেন ?
উঃ
👉 দুই খণ্ডে ‘বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব' (১৮৫৫)। দুই খণ্ডে ‘বহু বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার' (১৮৭১, ১৮৭৩)।
👉 ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ' (রচনা, আনুমানিক—১৮৬৩, প্রকাশ ১৮৯১)।

৭৯. ‘ঋজুপাঠ' (১৮৫১-১৮৫২ খ্রিঃ) কার লেখা এবং বিদ্যাসাগর ‘কস্যাচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য' ছদ্মনামে কোন্ ব্যাঙ্গাত্মক রচনাগুলি লিখেছেন ?
উঃ
👉 ঋজুপাঠ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা।
👉 ‘অতি অল্প হইল' (১৮৭৩), ‘আবার অতি অল্প হইল' (১৮৭৩) এবং 'ব্রজবিলাস' (১৮৮৪)।

৮০. ‘রত্নপরীক্ষা' (১৮৮৬) এই ব্যঙ্গমূলক সরস রচনাটির কে বেনামে লেখেন এবং ‘আখ্যানমঞ্জুরী’ (১৮৬৩) কার লেখা ?
উঃ
👉 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ‘কস্যাচিৎ উপযুক্ত ভাইপোসা' ছদ্মনামে লেখেন।
👉 আখ্যানমঞ্জুরী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা।

৮১. বাণভট্টের ও কালিদাসের কোন কোন কাব্য বিদ্যাসাগর বিশুদ্ধ সংস্করণ করে প্রকাশ করেন এবং বিদ্যাসাগরের ‘অপূর্ব ইতিহাস' পুস্তিকাটি কে আবিষ্কার করেছিলেন ?
উঃ
👉 বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত' ও কালিদাসের ‘মেঘদূত' কাব্যের বিশুদ্ধ সংস্করণ প্রকাশ করেন।
👉 বিদ্যাসাগরের অপূর্ব ইতিহাস পুস্তিকাটি আবিষ্কার করেন ড. বিজিতকুমার দত্ত মহাশয়।

৮২. বিদ্যাসাগরের লেখা বাংলা অভিধানটির নাম কী এবং বিদ্যাসাগর কোন সালে কলকাতায় আসেন ?
উঃ
👉 বিদ্যাসাগরের লেখা বাংলা অভিধানটির নাম ‘শব্দ মঞ্জুরী' (১৮৬৩)।
👉 ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে বিদ্যাসাগর কলকাতায় আসেন।

৮৩. ঈশ্বরচন্দ্র কত সালে ‘বিদ্যাসাগর' উপাধি লাভ করেন ?
উঃ
👉 ১৮৪১ সালে বিদ্যাসাগর উপাধি পান।