✍️প্রশ্নের মান-৮:
১. নিরপেক্ষ বচন বলতে কি বোঝো? উদাহরণসহ নিরপেক্ষ বচনের বিভিন্ন অংশগুলি লেখ। পদের ব্যাপ্যতা বলতে কি বোঝায়? পদের ব্যাপ্যতার নিয়মগুলো উল্লেখ করো।
উত্তর:👉যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুটি শ্রেণীর মধ্যে সম্পর্ক (স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি) ঘোষণা করা হয় এবং সেই সম্পর্ক কোনো শর্তের ওপর নির্ভরশীল নয়, তাকে বলা হয় নিরপেক্ষ বা অনুপেক্ষ বচন।
👉নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ: ১. মানক বা পরিমাণক ২. উদ্দেশ্য পদ ৩. সংযোজক ৪. বিধেয় পদ।
উদাহরণ: সকল মানুষ হয় মরণশীল।
মানক → সকল, উদ্দেশ্যপদ → মানুষ, সংযোজক → হয়, বিধেয়পদ → মরণশীল জীব।
এটি একটি নিরপেক্ষ বচন, যেখানে কোনো শর্তের ওপর নির্ভর না করে স্বীকৃত বা অস্বীকৃত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
👉 পদের ব্যাপ্যতা:
একটি বচনে দুটি প্রধান পদ থাকে - উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয় পদ। যখন কোনো একটি পদ বা দুটি পদ একটি বচনে তার সম্পূর্ণ ব্যক্তার্থ বা বাচ্যার্থ বোঝায়, তখন তাকে বা পদকে ব্যাপ্য বলে অভিহিত করা হয় এবং পদের এই ধর্মকে ব্যাপ্যতা বলে।
👉ব্যাপ্যতার নিয়মাবলী:
(১) A বচনে শুধুমাত্র উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য থাকে।
(২) E বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য থাকে।
(৩) I বচনে কোনো পদই ব্যাপ্য নয়।
(৪) O বচনে শুধুমাত্র বিধেয় পদ ব্যাপ্য থাকে।
২. আবর্তন কী? সরল ও সীমিত আবর্তনের মধ্যে পার্থক্য কী? A, E, I, O বচনে আবর্তনের উদাহরণ দাও।
উত্তর: আবর্তনের সংজ্ঞা:
যে যুক্তিতে হেতুবাক্যের উদ্দেশ্য পদ ও সিদ্ধান্তের বিধেয় পদ পরস্পর বিনিময়যোগ্য, এবং এই বিনিময়ে যুক্তির গুণগত বৈশিষ্ট্য ও অর্থে কোনো পরিবর্তন ঘটে না, সেই রূপান্তর প্রক্রিয়াটিকে আবর্তন (Conversion) বলা হয়।
এই প্রক্রিয়ায়, যেই বচন থেকে সিদ্ধান্ত উদ্ভূত হয় তাকে আবর্তনীয় (Convertend), এবং সেই সিদ্ধান্ত থেকে উৎপন্ন বচনকে আবর্তিত (Converse) বলে চিহ্নিত করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
- "কিছু ভারতীয় বাঙালি হয়" (আবর্তনীয়)
⇒ ফলে: "কিছু বাঙালি ভারতীয় হয়" (আবর্তিত)
বৈশিষ্ট্য | সরল আবর্তন (Simple Conversion) | অ-সরল আবর্তন (Conversion by Limitation) |
---|---|---|
সংজ্ঞা | হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে পরিমাণগত কোনো পরিবর্তন না ঘটানো; অর্থাৎ, হেতুবাক্যের সামান্যতা বা বিশেষত্ব অনুযায়ী সিদ্ধান্ত একই রকম থাকে। | হেতুবাক্য থেকে সিদ্ধান্তে রূপান্তরের সময় পরিমাণগত হ্রাস ঘটে; এখানে হেতুবাক্যকে সামান্য হিসেবে বিবেচনা করলে সিদ্ধান্ত বিশেষ হয়। |
সমার্থকতা | হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত পরস্পর সমার্থক। অর্থাৎ, আবর্তন করলে মূল বচনের অর্থ অপরিবর্তিত থাকে। | হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত সমার্থক হয় না; সিদ্ধান্ত মূল বচনের তুলনায় ব্যাপকতা হারায় (অর্থাৎ, পরিমাণে হ্রাস পায়)। |
উদাহরণ | - "কোনো মানুষ নয় অমর" (E) ⇒ "কোনো অমর নয় মানুষ" (E) - E ও I বচনের আবর্তন একে অপরকে পুনরায় উৎপন্ন করে। | - "সকল মানুষ মরণশীল" (A) ⇒ "কিছু মরণশীল জীব মানুষ" (I) এখানে, পুনরায় আবর্তন করলে মূল A বচন পুনরুদ্ধার করা যায় না। |
পুনরাবর্তনের বৈশিষ্ট্য | আবর্তিত বচনকে পুনরায় আবর্তন করলে মূল বচন সঠিকভাবে ফিরে পাওয়া যায়। | আবর্তিত বচনকে পুনরায় আবর্তন করলে মূল বচনের সঠিক পুনঃপ্রাপ্তি সম্ভব হয় না; অর্থের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়। |
A বচনের আবর্তন:
আবর্তনীয় (মূল বচন):
"সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব" (A)আবর্তিত (রূপান্তরিত বচন):
"কোনো কোনো মরণশীল জীব হয় মানুষ" (I)
E বচনের আবর্তন:
আবর্তনীয় (মূল বচন):
"কোনো মানুষ নয় দেবতা" (E)আবর্তিত (রূপান্তরিত বচন):
"কোন দেবতা নয় মানুষ" (E)
I বচনের আবর্তন:
আবর্তনীয় (মূল বচন):
"কোনো কোনো মানুষ হয় শিক্ষক" (I)আবর্তিত (রূপান্তরিত বচন):
"কোনো কোনো শিক্ষক হয় মানুষ" (I)
O বচনের আবর্তন:
- আবর্তন:
O বচনের ক্ষেত্রে আবর্তন প্রক্রিয়া প্রযোজ্য নয়।
৩.উপযুক্ত উদাহরণ সহকারে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো:
(i) অব্যাপ্য হেতু দোষ।
(ii) সংক্ষিপ্ত ন্যায়।
উত্তর:
(i)অবাপ্য হেতু দোষ: সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
যদি কোনো অনুমানে হেতু পদ (M) প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যে (premises) একবারও ‘ব্যাপ্য’ (predicate বা বিধেয়) না থাকে, তবে সেই যুক্তিতে যে ত্রুটি দেখা দেয়, তাকে বলা হয় অবাপ্য হেতু দোষ। মূলত, ন্যায়ের তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী, হেতু পদকে দুই আশ্রয়বাক্যের মধ্যে কমপক্ষে একবার অবশ্যই ব্যাপ্য হতে হবে, যাতে দুটি আশ্রয়বাক্যের মধ্যে যথাযথ সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
উদাহরণ:
যুক্তি:
১. প্রধান আশ্রয়বাক্য:
সকল ধার্মিক ব্যাক্তি হয় সুখী ব্যাক্তি (A)
২. অপ্রধান আশ্রয়বাক্য:
সকল অধ্যাপক হয় সুখী ব্যাক্তি (A)
৩. সিদ্ধান্ত:
সকল অধ্যাপক হয় ধার্মিক ব্যাক্তি (A)
এখানে যুক্তিটির আকার A-A-A (দ্বিতীয় সংস্থান)। সমস্যাটি হলো, উভয় আশ্রয়বাক্যে হেতু পদ হিসেবে ব্যবহৃত “সুখী ব্যাক্তি” কোনওবারও ব্যাপ্য অবস্থানে নেই। অর্থাৎ, হেতু পদ বিতরণ করা (distribute) হয়নি। এ কারণে, ন্যায়ের তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে এবং যুক্তিটি অবৈধ বলে বিবেচিত হয়।
৪. নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সাপেক্ষে মিলের অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো:
সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)।
উত্তর:
মিলের অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতি:
সংজ্ঞা:
যে-সব ঘটনার পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে নির্দিষ্ট একটি উপাদান সব সময় উপস্থিত থাকলে প্রধান ঘটনাটিও ঘটে এবং যখন সেই উপাদান অনুপস্থিত থাকে, তখন প্রধান ঘটনাটিও ঘটে না, তখন এটি কার্য-কারণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পরীক্ষণ পদ্ধতিকে মিলের অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতি বলা হয়।
গঠন:
সদর্থক দৃষ্টান্ত:
দৃষ্টান্ত | পূর্ববর্তী ঘটনা | পরবর্তী ঘটনা |
---|---|---|
প্রথম | ABC | abc |
দ্বিতীয় | ADE | ade |
তৃতীয় | AFG | afg |
নঞর্থক দৃষ্টান্ত:
দৃষ্টান্ত | পূর্ববর্তী ঘটনা | পরবর্তী ঘটনা |
---|---|---|
প্রথম | BC | bc |
দ্বিতীয় | DE | de |
তৃতীয় | FG | fg |
উদাহরণ:
যেসব বস্তুর তাপ বিকিরণের হার বেশি, তাদের ওপর শিশির জমে। কিন্তু যেসব বস্তুর তাপ বিকিরণের হার কম, তাদের ওপর শিশির জমে না। তাই বোঝা যায় যে তাপ বিকিরণের হার ও শিশির জমার মধ্যে কার্য-কারণ সম্পর্ক রয়েছে।
সুবিধা:
- এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি, যা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়।
- সতর্কভাবে প্রয়োগ করলে বহুকারণজনিত বিভ্রান্তি কমানো সম্ভব।
- অন্যান্য পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধনার তুলনায় এটি অধিকতর নির্ভরযোগ্য।
অসুবিধা:
- যেহেতু এটি পর্যবেক্ষণনির্ভর, তাই সবসময় যথাযথ পর্যবেক্ষণের অভাব থেকে যেতে পারে।
- নেতিবাচক দৃষ্টান্ত পাওয়া কঠিন, কারণ প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হয়।
- পর্যবেক্ষণনির্ভর হওয়ায় সম্পূর্ণ নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে।
৫. সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো:
(i) মন্দ উপমা যুক্তি।
(ii) সহকার্যকে কারণ হিসাবে গণ্য করা জনিত দোষ।
উত্তর:
মন্দ উপমা:
সংজ্ঞা:
আরােহ অনুমানের ক্ষেত্রে উপমা বা সাদৃশ্য ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যখন দুটি বিষয়ের মধ্যে কিছু মিল পাওয়া যায় এবং তাদের একটিতে একটি নতুন গুণ দেখা যায়, তখন অনুমান করা হয় যে ওই গুণটি অপর বিষয়েও রয়েছে। তবে এই সাদৃশ্য যদি প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ না হয়, তাহলে একে মন্দ উপমা বা Bad Analogy বলা হয়। মন্দ উপমা মূলত উপমার অপপ্রয়োগের ফলে ঘটে।
উদাহরণ:
একটি টেবিল এবং একটি গরুর মধ্যে কিছু মিল পাওয়া গেল—
- উভয়েরই নির্দিষ্ট উচ্চতা আছে।
- উভয়েরই চারটি পা আছে।
এখন, যেহেতু গরু দুধ দেয়, তাই উপমার ভিত্তিতে বলা হলো "টেবিলও দুধ দেবে"।
ব্যাখ্যা:
এটি একটি মন্দ উপমার উদাহরণ, কারণ গরু এবং টেবিলের মধ্যে যে মিল রয়েছে, তা সিদ্ধান্তের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। গরুর দুধ দেওয়ার ক্ষমতা তার জীববৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্যের কারণে, যা টেবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সুতরাং, এই উপমাটি অবাস্তব ও বিভ্রান্তিকর। এজন্যই একে Bad Analogy বা মন্দ উপমা বলা হয়।
(ii) সহকার্যকে কারণ হিসেবে গণ্য করার দোষ:
সংজ্ঞা:
কখনও কখনও একটি কারণ থেকে একাধিক কার্য উৎপন্ন হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, যখন কোনো একক কারণ থেকে উদ্ভূত কার্যগুলোর একটিকে অপরটির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়, তখন সহকার্যকে কারণ হিসেবে গণ্য করার দোষ ঘটে। এ ধরনের ভুল যুক্তিতে কার্য-কারণ সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয় না, কারণ কার্য দুটি প্রকৃতপক্ষে একই কারণের সহকার্য।
উদাহরণ:
যদি বলা হয়—
"দিন হল রাত্রির কারণ"
ব্যাখ্যা:
এখানে যুক্তিটি ভুল কারণ দিন এবং রাত্রি একই কারণে উৎপন্ন সহকার্য। উভয়ের মূল কারণ পৃথিবীর আহ্নিক গতি। পৃথিবী নিজের অক্ষে ঘূর্ণনের ফলে দিন ও রাত্রি সৃষ্টি হয়। তাই দিনকে রাত্রির কারণ বলা যুক্তিসঙ্গত নয়।
এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত আরোহ অনুমানের একটি দোষ। কারণ এতে প্রকৃত কারণ উপেক্ষিত থেকে যায় এবং দুটি সহকার্যের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক কার্য-কারণ সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
৬. নিরপেক্ষ বচনের গুণ ও পরিমাণ বলতে কী বোঝ? দৃষ্টান্তসহ নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: 👉 বচনের গুণ: কোনো বচনের গুণ বলতে বোঝায় যে, সেই বচনে উদ্দেশ্যপদের সঙ্গে বিধেয়পদের সম্পর্কটি স্বীকার করা হয়েছে নাকি অস্বীকার করা হয়েছে। যদি স্বীকার করা হয়, তাহলে বচনটি সদর্থক হয়, আর অস্বীকার করা হলে সেটি নঙ্গর্থক হয়। তাই, কোনো বচনের সদর্থক বা নঙ্গর্থক হওয়াকেই তার গুণ বলা হয়।
বচনের পরিমাণ: কোনো বচনের পরিমাণ বোঝাতে উদ্দেশ্য শ্রেণীর সাথে বিধেয় শ্রেণীর সম্পর্কটি সম্পূর্ণ নাকি আংশিকভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়েছে, তা বিবেচনা করা হয়। যদি উদ্দেশ্য শ্রেণী সম্পূর্ণরূপে বোঝানো হয়, তাহলে সেটি সামান্য বচন এবং যদি শুধুমাত্র একটি অংশ বোঝানো হয়, তাহলে সেটি বিশেষ বচন হিসেবে পরিচিত হয়।
👉বচনের শ্রেণিবিভাগ:
গুণ অনুযায়ী বচনের শ্রেণীবিভাগ:
গুণের ভিত্তিতে বচনকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
(১) সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন (A, I)
(২) নঞর্থক বা না-বাচক বচন (E, O)
(১) সদর্থক বচন:
যে বচনে বিধেয়টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো গুণ বা বৈশিষ্ট্য স্বীকার করে, তাকে সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন বলে।
উদাহরণ:
(ক) সকল সাংবাদিক শিক্ষিত ব্যক্তি।
(খ) কোনো কোনো ফুল সাদা।
প্রথম বাক্যে ‘শিক্ষিত ব্যক্তি’ গুণটি ‘সকল সাংবাদিক’ সম্পর্কে স্বীকৃত হয়েছে এবং দ্বিতীয় বাক্যে ‘সাদা’ গুণটি ‘কোনো কোনো ফুল’ সম্পর্কে স্বীকৃত হয়েছে। তাই এই বচন দুটি সদর্থক।
(২) নঞর্থক বচন:
যে বচনে বিধেয়টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করে, তাকে নঙ্গার্থক বা না-বাচক বচন বলে।
উদাহরণ:
(ক) কোনো মানুষ অমর নয়।
(খ) কোনো কোনো ফুল সাদা নয়।
প্রথম বাক্যে ‘অমর’ গুণটি ‘কোনো মানুষ’ সম্পর্কে অস্বীকৃত হয়েছে এবং দ্বিতীয় বাক্যে ‘সাদা’ গুণটি ‘কোনো কোনো ফুল’ সম্পর্কে অস্বীকৃত হয়েছে। তাই এই দুটি বচন নঙ্গার্থক।
পরিমাণ অনুযায়ী বচনের শ্রেণীবিভাগ:
পরিমাণের ভিত্তিতে বচনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
(১) সামান্য বা সার্বিক বচন (A, E)
(২) বিশেষ বচন (I, O)
(১) সামান্য বচন:
যে বচনে বিধেয়টি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য শ্রেণী সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকে সামান্য বা সার্বিক বচন বলে।
উদাহরণ:
(ক) সকল মানুষ মরণশীল।
(খ) কোনো মানুষ পূর্ণজীব নয়।
প্রথম বাক্যে ‘মরণশীল’ গুণটি ‘সকল মানুষ’ সম্পর্কে স্বীকৃত হয়েছে এবং দ্বিতীয় বাক্যে ‘পূর্ণজীব’ গুণটি ‘কোনো মানুষ’ সম্পর্কে অস্বীকৃত হয়েছে। তাই এগুলো সামান্য বচনের উদাহরণ।
(২) বিশেষ বচন:
যে বচনে বিধেয়টি উদ্দেশ্যের কেবলমাত্র কিছু অংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তাকে বিশেষ বচন বলে।
উদাহরণ:
(ক) কোনো কোনো মানুষ কবি।
(খ) কোনো কোনো মানুষ সৈনিক নয়।
প্রথম বাক্যে ‘কবি’ গুণটি ‘কোনো কোনো মানুষ’ সম্পর্কে স্বীকৃত হয়েছে এবং দ্বিতীয় বাক্যে ‘সৈনিক’ গুণটি ‘কোনো কোনো মানুষ’ সম্পর্কে অস্বীকৃত হয়েছে। তাই এগুলো বিশেষ বচনের উদাহরণ।
৭. দৃষ্টান্তসহ মাধ্যম এবং অমাধ্যম অনুমানের পার্থক্য লেখো। নিষেধমূলক আবর্তন কাকে বলে? এই ধরণের আবর্তন কী বৈধ?
উত্তর:
👉মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমানের পার্থক্য:
বিষয় | অমাধ্যম অনুমান | মাধ্যম অনুমান |
---|---|---|
সংগঠন | একটি আশ্রয়বাক্য ও একটি সিদ্ধান্ত থাকে। | একাধিক আশ্রয়বাক্য ও একটি সিদ্ধান্ত থাকে। |
পদের সংখ্যা | আশ্রয়বাক্যে দুটি পদ থাকে। | আশ্রয়বাক্যে অন্তত তিনটি পদ থাকে। |
বাস্তবিক গ্রহণযোগ্যতা | অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। | অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হয়। |
ধরন | দুই প্রকার—অবর্তন ও বিবর্তন। | ন্যায় অনুমানকেই মাধ্যম অনুমান বলা হয়। |
👉নিষেধমূলক আবর্তন:
সাধারণত O বচনে আবর্তন সম্ভব নয়। যদি O বচনে আবর্তনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে এটি নিম্নরূপ হবে—
প্রথম ধাপ (মূল বচন):
কোনো কোনো S নয় P (O)
দ্বিতীয় ধাপ (অবর্তন):
কোনো কোনো P নয় S (O-O)
এক্ষেত্রে আবর্তনের চতুর্থ সূত্র লঙ্ঘিত হয়েছে। আবর্তনের নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তে যে পদ ব্যাপ্য থাকে, তা অবশ্যই আশ্রয়বাক্যেও ব্যাপ্য হতে হবে। কিন্তু এখানে সিদ্ধান্তে S ব্যাপ্য হলেও, আশ্রয়বাক্যে তা ব্যাপ্য নয়। ফলে O বচনে সাধারণ আবর্তন সম্ভব নয়।
তবে আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানীরা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে O বচনের আবর্তন করেছেন, যা নিষেধমূলক আবর্তন নামে পরিচিত।
উদাহরণ:
মূল বচন:
কোনো কোনো আম নয় মিষ্টি। (O)
বিবর্তন:
কোনো কোনো আম অমিষ্টি। (O-I)
আবর্তন:
কোনো কোনো অমিষ্টি আম। (O)
এভাবে নিষেধমূলক আবর্তনের মাধ্যমে O বচনে আবর্তন সম্ভব হয়েছে।
৮. উদাহরণসহ সংক্ষেপে টীকা লেখ:
(i) নিরপেক্ষ ন্যায়।(ii) অবৈধ পক্ষ দোষ।
উত্তর:👉(i) নিরপেক্ষ ন্যায় সংস্থান:
হেতুপদের অবস্থানের ভিত্তিতে ন্যায়ের বিভিন্ন বিন্যাসকে ন্যায় সংস্থান বলা হয়। সাধারণত ন্যায় সংস্থান চার প্রকার—
১. প্রথম সংস্থান
২. দ্বিতীয় সংস্থান
৩. তৃতীয় সংস্থান
৪. চতুর্থ সংস্থান
(১) প্রথম সংস্থান
যে সংস্থানে হেতুপদ (M) প্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে অবস্থান করে, তাকে প্রথম সংস্থান বলে।
প্রথম সংস্থানের চারটি রূপ:
- BARBARA
- CELARENT
- DARII
- FERIO
(২) দ্বিতীয় সংস্থান
যে সংস্থানে হেতুপদ (M) প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে থাকে, তাকে দ্বিতীয় সংস্থান বলে।
দ্বিতীয় সংস্থানের চারটি রূপ:
- CESARE
- CAMESTRES
- FESTINO
- BAROCO
(৩) তৃতীয় সংস্থান
যে সংস্থানে হেতুপদ (M) প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে অবস্থান করে, তাকে তৃতীয় সংস্থান বলে।
তৃতীয় সংস্থানের ছয়টি রূপ:
- DARAPTI
- DATISI
- FELAPTON
- FERISON
- DISAMIS
- BOCARDO
(৪) চতুর্থ সংস্থান
যে সংস্থানে হেতুপদ (M) প্রধান আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে থাকে, তাকে চতুর্থ সংস্থান বলে।
চতুর্থ সংস্থানের পাঁচটি রূপ:
- BRAMANTIP
- CAMENES
- DIMARIS
- FESAPO
- FRESISON
👉(ii)অবৈধ পক্ষদোষ:
উদাহরণ:
প্রধান যুক্তিবাক্য:
A – সকল মানুষ হল জীব, যারা ভুল করে।
অপ্রধান যুক্তিবাক্য:
সকল মানুষ হল প্রাণী।
সিদ্ধান্ত:
A – সকল প্রাণী হল জীব, যারা ভুল করে।
বিচার:
উল্লিখিত যুক্তিটি অবৈধ, কারণ এটি ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মের লঙ্ঘন করেছে। এই নিয়ম অনুসারে, কোনো পদ যদি যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য না হয়, তবে সেটি সিদ্ধান্তেও ব্যাপ্য হতে পারে না।
এক্ষেত্রে অপ্রধান যুক্তিবাক্যের পক্ষপদ 'প্রাণী' A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় এটি ব্যাপ্য হয়নি। কিন্তু সিদ্ধান্তের পক্ষপদ 'প্রাণী' A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় এটি ব্যাপ্য হয়ে গেছে। ফলে ন্যায়ের চতুর্থ নিয়ম মানা হয়নি এবং যুক্তিটি অবৈধ পক্ষদোষে আক্রান্ত হয়েছে।
৯.নীচের বিষয়গুলির সাপেক্ষে মিলের সহপরিবর্তন পদ্ধতিটি আলোচনা করো – সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি)।
উত্তর: সহপরিবর্তন পদ্ধতি: সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন:
সংজ্ঞা:
সহপরিবর্তন পদ্ধতির মূলনীতি হলো—
"যদি একটি ঘটনা পরিবর্তিত হয় এবং একইভাবে আরেকটি ঘটনাও পরিবর্তিত হয়, তবে এই দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রথম ঘটনার কারণ বা ফল হিসেবে গণ্য হবে, বা তাদের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে।"
যুক্তিবিজ্ঞানী কফি (Coffey) এই পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে বলেছেন—
"যদি দুটি ঘটনা সর্বদাই একইভাবে বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়, এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য ঘটনা অপরিবর্তিত থাকে বা স্বাধীনভাবে পরিবর্তিত হয়, তবে এই দুটি ঘটনা সম্ভবত কার্যকারণ সম্পর্কযুক্ত হবে।"
সূত্রের বিশ্লেষণ:
সহপরিবর্তন পদ্ধতির সূত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুটি ঘটনার মধ্যে পরিমাণগত পরিবর্তনের নির্দিষ্ট অনুপাত থাকলে, তাদের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে। অর্থাৎ, একটির পরিবর্তনের সাথে যদি অন্যটিও অনুরূপ পরিবর্তিত হয়, তবে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক নির্ণয় করা সম্ভব।
সহপরিবর্তন পদ্ধতির সাংকেতিক উপস্থাপনা:
অগ্রবর্তী ঘটনা (কারণ) | অনুবর্তী ঘটনা (কার্য) |
---|---|
ABC | abc |
A₁BC | a₁bc |
A₂BC | a₂bc |
A₃BC | a₃bc |
এখানে দেখা যাচ্ছে, A পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে a-ও পরিবর্তিত হয়েছে, যা কার্যকারণ সম্পর্ক নির্দেশ করে।
বাস্তব উদাহরণ:
অগ্রবর্তী ঘটনা (কারণ) | অনুবর্তী ঘটনা (কার্য) |
---|---|
উত্তাপ স্বাভাবিক (A) | পারদ স্তম্ভের উচ্চতা স্বাভাবিক (a) |
উত্তাপ বৃদ্ধি (A₁) | পারদ স্তম্ভের উচ্চতা বৃদ্ধি (a₁) |
উত্তাপ আরও বৃদ্ধি (A₂) | পারদ স্তম্ভের উচ্চতা আরও বৃদ্ধি (a₂) |
উত্তাপ সর্বোচ্চ বৃদ্ধি (A₃) | পারদ স্তম্ভের উচ্চতা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি (a₃) |
এখানে স্পষ্ট, উত্তাপ বৃদ্ধির ফলে পারদের স্তম্ভের উচ্চতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কার্যকারণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেয়।
সুবিধা বা গুণ:
১. কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ধারণের একমাত্র পদ্ধতি:
সহপরিবর্তন পদ্ধতি স্থায়ী কারণ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি।
২. বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহারযোগ্য:
যেসব ক্ষেত্রে ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব নয়, সেখানে সহপরিবর্তন পদ্ধতি কার্যকর সমাধান দেয়।
অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা:
১. গুণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অকার্যকর:
সহপরিবর্তন পদ্ধতি পরিমাণগত পরিবর্তন নির্ণয়ে কার্যকর হলেও, গুণগত পরিবর্তন বিশ্লেষণে এটি উপযোগী নয়।
২. প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা:
এই পদ্ধতি সব ক্ষেত্রেই কার্যকর নয় এবং এর প্রয়োগ ক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সীমিত।
৩. স্থিতিশীল ঘটনার ক্ষেত্রে অচল:
যেসব ঘটনা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না, সেসব ক্ষেত্রে সহপরিবর্তন পদ্ধতি কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায় না।
মূল্যায়ন:
সহপরিবর্তন পদ্ধতির সফল প্রয়োগের জন্য প্রথমেই নিশ্চিত হতে হবে যে দুটি ঘটনার মধ্যে সহপরিবর্তনের সম্পর্ক নিয়ত বা স্থায়ী কিনা। তবে, যদি এটি আগেই জানা থাকে, তাহলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন করে কারণ অনুসন্ধানের প্রশ্নই ওঠে না।
তবে, এই পদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো— এটি অবান্তর কারণগুলো বর্জন করতে সাহায্য করে এবং কার্যকারণ সম্পর্কের পরিমাণগত প্রকৃতি বোঝার জন্য এটিই একমাত্র পদ্ধতি।
১০. সংক্ষেপে টীকা লেখ:
(i) সহকার্যকে কারণ হিসেবে গ্রহণজনিত দোষ। (ii) কাকতালীয় দোষ।
উত্তর:(i) সহকার্যকে কারণ হিসেবে গণ্য করার দোষ:
সংজ্ঞা:
কখনও কখনও একটি কারণ থেকে একাধিক কার্য উৎপন্ন হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, যখন
কোনো একক কারণ থেকে উদ্ভূত কার্যগুলোর একটিকে অপরটির কারণ হিসেবে গণ্য করা
হয়, তখন সহকার্যকে কারণ হিসেবে গণ্য করার দোষ ঘটে। এ ধরনের ভুল যুক্তিতে কার্য-কারণ সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয় না, কারণ কার্য দুটি প্রকৃতপক্ষে একই কারণের সহকার্য।
উদাহরণ:
যদি বলা হয়—
"দিন হল রাত্রির কারণ"
ব্যাখ্যা:
এখানে যুক্তিটি ভুল কারণ দিন এবং রাত্রি একই কারণে উৎপন্ন সহকার্য। উভয়ের মূল কারণ পৃথিবীর আহ্নিক গতি। পৃথিবী নিজের অক্ষে ঘূর্ণনের ফলে দিন ও রাত্রি সৃষ্টি হয়। তাই দিনকে রাত্রির কারণ বলা যুক্তিসঙ্গত নয়।
এ ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত আরোহ অনুমানের একটি দোষ। কারণ এতে প্রকৃত কারণ উপেক্ষিত থেকে যায় এবং দুটি সহকার্যের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক কার্য-কারণ সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
(ii)কাকতালীয় দোষ:
কার্যকারণ সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ ও কাকতালীয় ঘটনা পার্থক্য করতে না পারলে কাকতালীয় দোষ সৃষ্টি হয়।
সংজ্ঞা:
কোনো ঘটনার পূর্বে ঘটে যাওয়া অন্য যেকোনো ঘটনাকে যদি তার কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়, তবে তা কাকতালীয় দোষে দুষ্ট বলে বিবেচিত হয়। প্রকৃত কারণ হতে হলে ঘটনাটি নিয়মিত, অপরিবর্তনীয়, ও শর্তহীনভাবে পূর্বগামী হতে হবে।
উদাহরণ:
কাকতালীয় দোষের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একটি প্রচলিত গল্প বলা হয়—
একটি পাকা তালগাছের উপর একটি কাক বসলো, আর ঠিক তখনই গাছ থেকে একটি পাকা তাল মাটিতে পড়ে গেল। যদি কেউ বলে "কাক বসার কারণেই তালটি পড়েছে," তবে এটি কাকতালীয় দোষে দুষ্ট যুক্তি হবে।
বাস্তবে, তালটি পড়ার কারণ ছিল সেটির পাকা অবস্থা, না যে কাকটি বসেছে। যদি তাল পাকা না হতো, তবে কাক বসলেও তালটি পড়ত না।
মূল সমস্যা:
এই ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত সাধারণত কুসংস্কার বা ব্যতিরেকী পদ্ধতির অপপ্রয়োগ থেকে আসে। অনেক সময় সময়গত সংযোগকে কারণ-কার্য সম্পর্ক বলে ধরে নেওয়া হয়, যা যুক্তিগত ভুল।
সঠিক বিশ্লেষণ:
কারণ হতে হলে কোনো ঘটনাকে কার্যের নিয়ত পূর্বগামী হতে হবে এবং সেটির সাথে অপরিবর্তনীয় কার্যকারণ সম্পর্ক থাকতে হবে।
সুতরাং, কাক বসা এবং তাল পড়ার মধ্যে প্রকৃত কার্যকারণ সম্পর্ক নেই। এখানে কাকতালীয় দোষ ঘটেছে।