🌹বি.এ সেমিস্টার-২:বাংলা SEC-2:সাজেশন(উত্তরসহ):পার্ট-২ 🌹

📚বি.এ সেমিস্টার-২:বাংলা SEC-2:সাজেশন(উত্তরসহ):পার্ট-২📚

 

✍️প্রশ্নের মান-৫/১০:

 

                          👉পত্র লিখন:

 ১.ভেজালদারদের হাতে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই বিপন্ন হচ্ছে—এই অবস্থার প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত হবে বলে তুমি মনে কর, তা জানিয়ে সংবাদপত্র সম্পাদকের নিকট একটি পত্র লেখ।

 

উত্তরঃ

মাননীয় সম্পাদক,
দৈনিক নববার্তা  
কলকাতা-৭০০০০১  

বিষয়: ভেজালদ্রব্য এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।  

সবিনয় নিবেদন,  
সমাজে ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মাধ্যমে শুধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হন না, সমাজের সামগ্রিক উন্নতিও হয়। তবে বর্তমানে কিছু লোভী ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। প্রতিদিনই খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধে ভেজাল মিশিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।  

খাদ্যদ্রব্যে মিশছে ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং অপদ্রব্য, যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভয়ংকর। শিশুখাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে নিষ্পাপ শিশুদের জীবন বিপন্ন করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণদায়ী ওষুধেও জালিয়াতি করে মুনাফার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্লজ্জভাবে মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।  

এই পরিস্থিতি রোধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।  
১. কঠোর আইন প্রণয়ন এবং যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।  
২. অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।  
৩. প্রশাসন এবং নাগরিকদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  
৪. অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে।  

সাধারণ নাগরিকরা সচেতন হলে এবং প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলো দায়িত্বশীল হলে এই ভয়াবহ অবস্থা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই আমি আশা করি, আপনার পত্রিকায় এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরে জনগণ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।                                                           

                                                বিনীত,

                                         অরুণ চৌধুরী 

                                     ১, বালিগঞ্জ রোড

                                     কলকাতা-৭০০০১৯

                                                                     

২. জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কোন সংবাদপত্রের সম্পাদকের পত্র লেখ।  

উত্তর:
মাননীয় সম্পাদক, 
দৈনিক বর্তমান  
৭৬ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড  
কলকাতা-৭০০০১৩  

বিষয়: জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।

সবিনয় নিবেদন,  
বর্তমানে জিনিসপত্রের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে এক গভীর সংকট ডেকে এনেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য এমনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবনযাপন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। 
আজকাল বাজারে খাদ্যশস্য, আনাজপাতি, জ্বালানি, এবং অন্যান্য নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের দাম এমনভাবে বেড়ে চলেছে যে তা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, শ্রমিক, কর্মচারী, এবং সাধারণ মানুষের আয় এই বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ছে না। ফলে ক্রয়ক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, যা জনজীবনকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে।  

মুদ্রাস্ফীতির এই পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির উপর একটি বড় আঘাত হানছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফালিপ্সা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাব এর অন্যতম প্রধান কারণ। এই অবস্থায় প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজন।  

আমার বিনীত অনুরোধ, আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার মাধ্যমে এই বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। সংবাদপত্রের শক্তি জনমত গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আশা করি, আপনারা এই সমস্যার উপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করবেন।  

                                                  নমস্কারান্তে,                                                   অরূপ ঘোষ।
                                            ৪, স্টেশন রোড 
                                              চাকদা, নদীয়া।

 

 
৩.তোমার কলেজে খেলাধূলা, লাইব্রেরি, পাঠকক্ষ ইত্যাদির সুবন্দোবস্তের অনুরোধ জানিয়ে অধ্যক্ষের কাছে একটি আবেদন পত্র রচনা কর।  

উত্তর:
মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়, 
ইটাচুনা কলেজ  
খন্যান, হুগলি  

বিষয়: খেলাধূলা, লাইব্রেরি এবং পাঠকক্ষ সম্পর্কিত সমস্যা নিরসনের আবেদনের পত্র। 

সবিনয় নিবেদন,
ছাত্রসংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে, আমরা সাধারণ ছাত্রদের কাছে কলেজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। এখন সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার কাছে উপস্থাপন করতে চাই। কলেজের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে আমাদের পরবর্তী বিষয়গুলির উপর দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি:

(১) আমাদের কলেজের নাম এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমাদের কলেজ ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। এর প্রধান কারণ, উপযুক্ত খেলোয়াড়ের অভাব। তাই আমাদের আবেদন, বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তির সময় কিছু আসন ক্রীড়াদক্ষ ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হোক।

(২) কলেজের লাইব্রেরি বর্তমানে কিছুটা অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। বইগুলির অর্গানাইজেশন ঠিকমতো না হওয়ায়, ছাত্ররা প্রয়োজনীয় বই খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়ে। আমরা আবেদন জানাই যে, লাইব্রেরির সাজানোর ব্যবস্থা করা হোক এবং নতুন বই যোগ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

(৩) পাঠকক্ষের পরিবেশের উন্নতির জন্য আমরা অনুরোধ জানাই যে, সেখানে নতুন আলো, যথেষ্ট আসন এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক। পাঠকক্ষের পরিবেশ যদি উন্নত হয়, তবে ছাত্ররা তাদের পড়াশোনা আরো ভালোভাবে করতে সক্ষম হবে।

এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হলে, কলেজের সার্বিক উন্নতি এবং ছাত্রদের লেখাপড়ার মান অনেক বেড়ে যাবে। আমাদের আবেদন পত্রটি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।  

                                                  ‌‌   বিনীত,
                                                  মদন পাল
                                                  ছাত্রসংসদ  
                                              ইটাচুনা কলেজ  
                                                খন্যান, হুগলি  

৪. কারখানার বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য পদার্থ কিভাবে তোমার এলাকার পরিবেশকে দূষিত করে তুলেছি সে কথা জানিয়ে কোন দৈনিকপত্রের সম্পাদকের কাছে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা কর।

উত্তরঃ

 মাননীয় সম্পাদক, 
দৈনিক বর্তমান  
৭৬ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড  
কলকাতা-৭০০০১৩  

বিষয়: কারখানার বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য পদার্থের কারণে পরিবেশ দূষণ ।

সবিনয় নিবেদন,
আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে আমার এলাকার পরিবেশ দূষণের গুরুতর সমস্যাটি প্রকাশ করার জন্য এই পত্রটি লিখছি। আমাদের এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি কারখানা প্রতিদিন যে বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে, তা পরিবেশ এবং জনজীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।  

প্রথমত, কারখানাগুলি থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস বাতাসকে দূষিত করছে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত রোগ বেড়ে চলেছে। শিশু ও বৃদ্ধদের এই দূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে।  

দ্বিতীয়ত, কারখানাগুলি তাদের বর্জ্য পদার্থ প্রায়শই স্থানীয় নদী, পুকুর বা ড্রেনে ফেলে দেয়। ফলে জল দূষিত হচ্ছে এবং তা ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় আর থাকছে না। দূষিত জল ব্যবহার করে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যেমন- ডায়রিয়া, টাইফয়েড এবং চর্মরোগ।  

তৃতীয়ত, দূষণের ফলে পরিবেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষিক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে, কারণ দূষিত জল ও মাটি ফসলের জন্য ক্ষতিকারক।  

আমার বিনীত অনুরোধ, আপনার পত্রিকার মাধ্যমে এই বিষয়টি জনসাধারণ এবং প্রশাসনের নজরে আনা হোক। কারখানাগুলিকে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করতে বাধ্য করা উচিত এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। জনমত তৈরি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।  

                                                      নমস্কারান্তে, 
                                                       অর্পণ মিত্র  
                                            ২ নম্বর স্টেশন রোড
                                                    বাঁকুড়া 

 

 

 ৫. কলেজে ভর্তির সময় তুমি যে যে বিষয় নিয়ে ভর্তি হয়েছিলে তার মধ্যে একটি পরিবর্তন করতে চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে একটি আবেদনপত্র রচনা কর। 

উত্তরঃ

 মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,  
সরকারি মহাবিদ্যালয়  
বাঁকুড়া  

বিষয়: ভর্তির বিষয় পরিবর্তনের আবেদন। 

সবিনয় নিবেদন,  
আমি অরূপ মিত্র, আপনার কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বর্তমানে আমি বিজ্ঞান বিভাগে রসায়ন (Chemistry) নিয়ে অধ্যয়ন করছি। কিন্তু গভীর চিন্তাভাবনা এবং পরামর্শের পর, আমি উপলব্ধি করেছি যে, রসায়ন বিষয়টি আমার আগ্রহ এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক নয়।  

তাই আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাকে জীববিদ্যা (Biology) বিষয়টিতে স্থানান্তর করার অনুমতি দেওয়া হোক। এই বিষয়ে আমার গভীর আগ্রহ রয়েছে এবং আমি মনে করি এটি আমার শিক্ষাজীবন এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও উপযোগী হবে।  

আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমি সর্বতোভাবে প্রস্তুত। আপনার অনুমোদন পেলে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকব।  

                                                 নমস্কারান্তে,  
                                                 অরূপ মিত্র  
                                          রোল নম্বর: ১৫৮৭  
                                            শ্রেণি: প্রথম বর্ষ  
                          ঠিকানা: ৪ স্টেশন রোড, বাঁকুড়া  
                                      তারিখ: ১৫.১১.২০২৪

 

 ৬. নতুন রেশন কার্ডের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন পত্র রচনা কর। 

উত্তরঃ

মাননীয় অফিসার,  
রেশন কার্ড বিভাগ  
ইন্দাস ব্লক  
বাঁকুড়া জেলা  

বিষয়: নতুন রেশন কার্ডের জন্য আবেদন। 

সবিনয় নিবেদন,  
আমি অরুণ পাল, বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের স্থায়ী বাসিন্দা। সম্প্রতি আমাদের পরিবারের জন্য একটি নতুন রেশন কার্ড প্রয়োজন হয়েছে। আমাদের পুরনো রেশন কার্ডটি হারিয়ে গেছে/অবৈধ ঘোষিত হয়েছে/অন্য কোনো কারণে অকার্যকর হয়েছে। তাই পরিবারের খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের জন্য নতুন রেশন কার্ড প্রয়োজন।  

আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। তাদের সকলের পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং পুরনো রেশন কার্ডের তথ্যের অনুলিপি এই আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করেছি।  

অতএব, আমার আবেদনটি যথাযথ বিবেচনা করে নতুন রেশন কার্ড ইস্যু করার অনুরোধ করছি। আমি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য প্রদান করতে প্রস্তুত।  

                                              নমস্কারান্তে,  
                                              অরুণ পাল  ঠিকানা: ২ নম্বর পোস্ট অফিস রোড, ইন্দাস,          বাঁকুড়া  
                                             পিন: ৭২২১০১  
                                    তারিখ: ১৫.১১.২০২৪  
                       যোগাযোগ নম্বর: ৯৮৭৬৫৪৩২১০

 

৭. তোমাদের কলেজের গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বই কেনার অনুরোধ জানিয়ে অধ্যক্ষ মহাশয় এর কাছে একটি আবেদন পত্র রচনা কর। 

উত্তরঃ

মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়,  
সরকারি মহাবিদ্যালয়  
বাঁকুড়া  

বিষয়: কলেজের গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বই সংযোজনের আবেদন। 

সবিনয় নিবেদন,  
আমি অরুণ পাল, আপনার কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমাদের কলেজের গ্রন্থাগারটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তবে, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গ্রন্থাগারে পাঠ্যবই, রেফারেন্স বই এবং বিভিন্ন বিষয়ে আধুনিক ও প্রয়োজনীয় বইয়ের অভাব রয়েছে।  

আমাদের কলেজের ছাত্রছাত্রীরা গ্রন্থাগারের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে উৎসাহী হলেও, পর্যাপ্ত বই না থাকার কারণে তারা প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক সময় বই পাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়, যা পরীক্ষার প্রস্তুতি বা গবেষণামূলক কাজে অসুবিধার সৃষ্টি করে।  

অতএব, আমার বিনীত অনুরোধ, গ্রন্থাগারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং আধুনিক পাঠ্যপুস্তক ও রেফারেন্স বই সংগ্রহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এটি ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানার্জন এবং কলেজের শিক্ষা মান উন্নত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।  

                                            নমস্কারান্তে,  
                                            অরুণ পাল  
                                       রোল নম্বর: ১৫৮৭  
                                         শ্রেণি: প্রথম বর্ষ  
ঠিকানা: ২ নম্বর পোস্ট অফিস রোড, বাঁকুড়া  
                                  তারিখ: ১৫.১১.২০২৪

 

৮. তোমার এলাকায় সম্প্রতি ডেঙ্গুর দেখা দেওয়ায় অবিলম্বে মোর্শক নির্ধারণ এবং অন্যান্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে পৌর প্রধান বা অঞ্চল প্রধান মহাশয় কে পত্র রচনা কর।

উত্তরঃ

মাননীয় অঞ্চল প্রধান মহাশয়,  
ইন্দাস গ্রাম পঞ্চায়েত  
ইন্দাস, বাঁকুড়া  

বিষয়: ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।

সবিনয় নিবেদন,  
আমি অরুণ পাল, ইন্দাস অঞ্চলের একজন বাসিন্দা। সম্প্রতি আমাদের এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতি এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।  

আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাস্তাঘাটে জমে থাকা নোংরা পানি, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ এবং অপরিষ্কার নালাগুলি মশার বংশবৃদ্ধির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি:  
1. রাস্তা এবং নালা পরিষ্কার করার জন্য নিয়মিত কর্মসূচি গ্রহণ।  
2. মশা নিধনের জন্য ফগিং মেশিনের ব্যবহার এবং কীটনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা।  
3. এলাকাবাসীকে সচেতন করার জন্য বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো।  
4. ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা।  

অতএব, আমার বিনীত অনুরোধ, অবিলম্বে আমাদের এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আপনার সহযোগিতার জন্য আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ থাকব।  

                                                নমস্কারান্তে,  
                                                 অরুণ পাল  ঠিকানা: ২ নম্বর পোস্ট অফিস রোড, ইন্দাস, বাঁকুড়া  
                                             পিন: ৭২২১০১  
                                    তারিখ: ১৫.১১.২০২৪ 

            👉 সংবাদ প্রতিবেদন রচনা:

 

১. দুয়ারে সরকারের জাতীয় স্বীকৃতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর। 

উত্তরঃ
দুয়ারে সরকার: জাতীয় স্বীকৃতির পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাফল্য: 

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ ই নভেম্বর, কলকাতা, বর্তমান: 
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি "দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের জন্য জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এই প্রকল্পটি রাজ্যের জনগণের কাছে সরকারি পরিষেবা সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  

প্রকল্পটি ২০২০ সালে চালু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন সরকারি সুবিধা এবং প্রকল্পগুলোকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, শিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি একাধিক সরকারি প্রকল্প এই উদ্যোগের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়। শিবিরগুলোর মাধ্যমে মানুষ তাদের এলাকার কাছেই সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হচ্ছে, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অফিসমুখী সমস্যা দূর করেছে।  

জাতীয় স্তরে *"দুয়ারে সরকার"* প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে, বিশেষ করে এর কার্যকরী ব্যবস্থাপনা ও জনগণের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারী সুযোগ সুবিধা পেয়েছে এবং এর ফলস্বরূপ রাজ্যের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বেড়েছে।  

এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের অসংখ্য দরিদ্র, কৃষক, শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন এমন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। বিশেষত, দুর্বৃত্ত বা দূরবর্তী এলাকার মানুষ যারা সরকারি দপ্তরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার কারণে পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়তেন, তারা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন।  

জাতীয় স্বীকৃতি লাভের পর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সাফল্য ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজ্যগুলির জন্য একটি রোল মডেল হতে পারে। সরকার আশা করছে, *"দুয়ারে সরকার"* প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অংশেও সমান ধরনের সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে।  

এটি শুধুমাত্র একটি সরকারি উদ্যোগের সাফল্য নয়, এটি রাষ্ট্রের এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন দৃষ্টান্ত। 

২. ‘করোনার প্রকোপ বিশ্বজুড়ে’ এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

 

উত্তরঃ
করোনার প্রকোপ বিশ্বজুড়ে:

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ ই নভেম্বর, কলকাতা, বর্তমান:
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস (COVID-19) গত দুই বছর ধরে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে রেখেছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়, এবং এরপর এটি দ্রুত বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ পৃথিবীজুড়ে ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে, এবং এর স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ও সামাজিক প্রভাব এখনও অনেক দেশে লক্ষ করা যাচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনাভাইরাসকে একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করে, যা পরবর্তীতে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে, বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ আক্রান্ত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। করোনার কারণে হাসপাতালগুলোতে বিপুল চাপ পড়েছে, এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর বিশাল বোঝা তৈরি হয়েছে।

করোনার এই প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটও সৃষ্টি করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই বড় ধরনের ধাক্কা এসেছে। লাখ লাখ মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং অনেকে দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সরকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সাহায্য ও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তবে এর ফলে কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক পুনর্নির্মাণ সম্ভব হলেও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে।

সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ভ্যাকসিনেশন এবং লকডাউনসহ একাধিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে, কিন্তু ভাইরাসটি ছড়ানোর গতির কারণে এগুলো যথেষ্ট কার্যকরী হতে পারেনি। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো, যেমন ডেলটা এবং ওমিক্রন, আরও বেশি ছোঁয়াচে এবং শক্তিশালী হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

তবে, মানুষের দৃঢ় ইচ্ছা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে, যা করোনার প্রকোপ কমাতে সহায়ক হয়েছে। বহু দেশে গণটিকাকরণ শুরু হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা নতুন প্রতিষেধক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া, বিশ্বব্যাপী করোনার মোকাবিলা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বেড়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করছে এবং একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে, যা মহামারী প্রতিরোধে অনেক সহায়ক হয়েছে। তবে, করোনার প্রকোপ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি এবং সবার সতর্কতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ এখনও মানবতার জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ, সজাগতা এবং বৈশ্বিক সহযোগিতাই ভবিষ্যতে এই মহামারীকে মোকাবেলা করার প্রধান উপায়।

৩. ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও যুব সমাজ’ এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

উত্তরঃ
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও যুব সমাজ:

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ ই নভেম্বর, কলকাতা, বর্তমান:
বর্তমান যুগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে, যুব সমাজের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট ইত্যাদি সাইটগুলি এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা নিজেদের চিন্তা, ভাবনা, দৈনন্দিন কার্যকলাপ, এবং মতামত প্রকাশ করতে সক্ষম হচ্ছে, যার ফলে নতুন সম্পর্ক এবং পরিচয় গড়ে ওঠার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে যুব সমাজের মধ্যে বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তরুণরা সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বন্ধু, সহপাঠী বা পরিবার সদস্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে। এটি তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ, যেখানে তারা অন্যদের জীবনধারা, মতাদর্শ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবনযাপনকে আরো সমৃদ্ধ করে।

তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। একদিকে যেখানে এটি সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি করছে, অন্যদিকে এটি এক ধরনের মানসিক চাপের সৃষ্টি করছে। অনেক সময়, যুব সমাজের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যদের চমকপ্রদ জীবনশৈলী দেখে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন এবং নিজেদের তুলনায় তাদের জীবনকে কম মনে করছেন। এটি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়া একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য, হেট স্পিচ এবং সাইবার বুলিং এর মাধ্যমে যুব সমাজের মধ্যে বিভেদ এবং সহিংসতার সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্ত বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই জরুরি।

অপরদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং আন্দোলনগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো তরুণদের মধ্যে নতুন চিন্তাভাবনা এবং সমাজ পরিবর্তনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করছে।

সুতরাং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির সাথে যুব সমাজের সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল এবং দ্বৈত প্রভাবের। এটি যেমন তাদের জন্য একটি শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, তেমনি এর অপব্যবহার থেকে তাদের রক্ষা করতে সচেতনতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়া যেন একটি ইতিবাচক শক্তি হয়ে ওঠে, সেজন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে একযোগে কাজ করতে হবে।

৪. ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’ এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

উত্তরঃ
                            কন্যাশ্রী প্রকল্প:

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ ই নভেম্বর, কলকাতা, বর্তমান:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য সামাজিক উদ্যোগ হলো কন্যাশ্রী প্রকল্প। ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সূচনা করেন, যা মূলত আর্থ-সামাজিকভাবে অসচ্ছল পরিবারগুলির মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালু হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার মেয়েদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।

কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করা। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বাল্যবিবাহের ঝুঁকি কমানো এবং তাদের শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মেয়েরা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য হিসেবে পায়। এছাড়া, তাদের শিক্ষাজীবন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেই জন্য স্কুলে ভর্তি হতে ও নিয়মিত উপস্থিতি বজায় রাখতে উৎসাহিত করা হয়।

এছাড়া, কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায়, পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে মেয়েদের বিভিন্ন সাহায্য প্রদান করা হয়। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, কারণ এরা অনেক সময় মেয়েদের শিক্ষা এবং উন্নতির জন্য যথেষ্ট টাকা খরচ করতে পারে না। কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে তারা এই সমস্যার সমাধান পাচ্ছে।

এই প্রকল্পটির সাফল্য রাজ্যে ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই প্রকল্পের সুফল পৌঁছে গেছে, যেখানে শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব ছিল। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে মেয়েরা যাতে শিক্ষা লাভ করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে, সে জন্য এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কন্যাশ্রী প্রকল্প বর্তমানে এক আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও প্রশংসিত। এটি শুধু একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প নয়, বরং একটি শক্তিশালী শিক্ষামূলক ও সুরক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে কন্যাদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা জুগিয়েছে।

এটি সমাজে নারীশিক্ষার উন্নতি এবং সামাজিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমেই কন্যাশ্রী নামে এক নতুন শক্তি গড়ে উঠেছে, যা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশে মেয়েদের সমান অধিকার এবং সমতা নিশ্চিত করার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করছে।

৫. ‘পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি’ এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

উত্তরঃ
             পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি:

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ ই নভেম্বর, কলকাতা, বর্তমান:
বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি গোটা দেশের মানুষের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, সরকারি নীতির পরিবর্তন এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে একের পর এক পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে।

পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবহন খাতে একটি বিশাল চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি, অটো সহ সকল পরিবহন ব্যবস্থার ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ যাতায়াতের জন্য আরও বেশি খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধুমাত্র যাতায়াত নয়, খুচরা বাজারেও দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যের ওপর ভিত্তি করে পরিবহন খরচ বাড়লে এর প্রভাব সরাসরি পণ্যের দামে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে এবং এটির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে, এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠবে। কৃষকরা, যাঁরা কৃষিকাজের জন্য ডিজেল চালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন, তাঁরা সমস্যায় পড়বেন, কারণ কৃষির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।

এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে, কারণ দৈনন্দিন খরচ বাড়িয়ে দেওয়া মানুষের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সরকার এই সমস্যার সমাধানে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী দিনে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, যদি সরকারের তরফ থেকে তেলের ওপর কর কমানো না হয়, তবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

তবে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং বৈকল্পিক শক্তির উৎস অনুসন্ধানে।

পরিশেষে, পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি গুরুতর সমস্যা, যা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এই সমস্যার সমাধান করা না গেলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠবে এবং অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

৬. ‘হকারমুক্ত ফুটপাথ’ এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

উত্তরঃ

                    হকারমুক্ত ফুটপাথ: 

 নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৫ ই নভেম্বর, কলকাতা, বর্তমান:                 
কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা এবং ফুটপাথে হকারদের অবাধ দখল বর্তমানে একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের বড় বড় মার্কেট, ব্যবসায়িক কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক এলাকা যেখানে মানুষের চলাচল সবচেয়ে বেশি, সেখানে হকারদের কারণে সাধারণ মানুষকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। ফুটপাথে বসে থাকা বিভিন্ন ছোট দোকান, রিকশা ও অন্যান্য অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা যাতায়াতের পথ সংকীর্ণ করে ফেলছেন, যার ফলে রাস্তায় চলাচল করা মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

এছাড়া, হকারদের কারণে ফুটপাথে নোংরা এবং অপরিষ্কার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। যা শহরের সৌন্দর্য্য এবং নাগরিক জীবনযাত্রার জন্য ক্ষতিকর। পথচারীদের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে, বিশেষত মহিলারা এবং বাচ্চাদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে, হকাররা স্থানীয় আইন ও নিয়মের প্রতি উদাসীন হয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যা শহরের নিয়মিত জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলছে।

এদিকে, প্রশাসনও এই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন এলাকায় হকারদের জন্য নির্ধারিত স্থান ও বাজার তৈরি করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। তবে, যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং কড়া আইন প্রয়োগ না হলে এই সমস্যা সমাধান হবে না, কারণ অনেক সময় হকাররা বাধ্য হয়ে ফুটপাথের ওপর বসতে বাধ্য হন, যেখানে তাদের জন্য ব্যবসা করতে উপযুক্ত কোন জায়গা বা সুবিধা নেই।

নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সরকারের উচিত একটি কার্যকরী হকার পুনর্বাসন নীতি গ্রহণ করা, যেখানে হকারদের জন্য নির্দিষ্ট ও সুরক্ষিত স্থান তৈরি করা হবে, এবং তারা যাতে নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে ব্যবসা করতে পারেন, তার জন্য সুযোগ তৈরি করা হবে। একইসাথে, ফুটপাথে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এবং শহরের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে।

এছাড়া, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। ফুটপাথের অবৈধ ব্যবহার এবং হকারদের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন, যাতে তারা নিজে থেকেই এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে। সরকার, নাগরিক এবং প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগে যদি এই সমস্যার সমাধান না করা যায়, তবে শহরের ফুটপাথগুলো আরও বেশি হকার মুক্ত, নিরাপদ এবং পরিষ্কার হবে, যা শহরের সৌন্দর্য্য এবং জনগণের জন্য সুবিধাজনক হবে।

 

                      👉অনুচ্ছেদ রচনা:

 

              ১.পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার:

 

উত্তরঃ
ভূমিকা: পরিবেশ দূষণ আমাদের সময়ের একটি গুরুতর সমস্যা। এটি প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং মানবজাতিসহ সমস্ত জীববৈচিত্র্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পরিবেশ দূষণের কারণ, এর ফলাফল এবং প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

দূষণের ধরন ও কারণ:

১. বায়ু দূষণ: যানবাহন, শিল্প-কারখানা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ধোঁয়া থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি বায়ুকে দূষিত করছে। এটি শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হচ্ছে।

২. জল দূষণ: শিল্পবর্জ্য, গৃহস্থালির ময়লা, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক নদী, পুকুর, এবং জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়, যা জল দূষণের কারণ হয়। এটি প্রাণীর স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস করে এবং মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে।

৩. মাটি দূষণ: রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাটির গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায় এবং খাদ্যচক্রে বিষক্রিয়া ঘটে।

৪. শব্দ দূষণ: যানবাহন, শিল্পযন্ত্র, এবং বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের উচ্চ শব্দ থেকে শব্দ দূষণ হয়। এটি মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

দূষণের ফলাফল:

স্বাস্থ্যগত সমস্যা: বায়ু, জল, এবং মাটি দূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার, অ্যাজমা, কিডনির সমস্যা, এবং চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা যায়।

জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস: দূষণের ফলে প্রাণিকুল ও উদ্ভিদকুলের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন: গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা এবং ঘূর্ণিঝড়ের হার বেড়ে যাচ্ছে।

দূষণ প্রতিরোধের উপায়:

১. বনায়ন: গাছপালা বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং বায়ুর মান উন্নত করে। তাই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম বাড়ানো উচিত।

২. নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার: জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, এবং জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এটি বায়ু দূষণ কমাতে সহায়ক।

৩. পুনর্ব্যবহার: প্লাস্টিক ও অন্যান্য অপচনীয় পণ্যের পুনর্ব্যবহার ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাটি দূষণ কমানো সম্ভব।

৪.সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ জনগণের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ। দূষণ প্রতিরোধে স্কুল-কলেজে শিক্ষাদান, প্রচারাভিযান, এবং কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে।

৫. প্রয়োজনীয় আইন প্রয়োগ: সরকারীভাবে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করে পরিবেশ দূষণকারী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

উপসংহার:

 
পরিবেশ দূষণ রোধে আমাদের সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা যদি সচেতন হই এবং দূষণ প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

              ২.প্রতিদিনের জীবনে বিজ্ঞান:

উত্তরঃ  ভূমিকা: বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি আমাদের জীবনকে সহজ এবং উন্নত করেছে। বিজ্ঞান ছাড়া আধুনিক সভ্যতা কল্পনাও করা সম্ভব নয়। নিচে কিছু পয়েন্টে বিজ্ঞান আমাদের জীবনে কীভাবে কাজ করছে, তা তুলে ধরা হলো:

1. প্রযুক্তির উন্নতি:

   বিজ্ঞান আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার শিখিয়েছে। যেমন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি। এই প্রযুক্তিগুলি আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মকে সহজ করেছে এবং বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

2. স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি:

   চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানুষের জীবনযাত্রা সুস্থ ও দীর্ঘায়িত করেছে। অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, আধুনিক সার্জারি এবং কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদি চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক প্রাণঘাতী রোগের প্রতিকার সম্ভব হয়েছে।

3. পরিবেশ রক্ষা:

   পরিবেশ সুরক্ষায় বিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ শক্তি, এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের মাধ্যমে আমরা পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহার করতে শিখেছি।

4. বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন:

   বিজ্ঞান আমাদের চিন্তাভাবনাকে উদ্ভাবনী করতে সহায়তা করে। এটি আমাদের সমস্যার সমাধান খুঁজতে নতুন উপায় শেখায় এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তৈরি করতে সহায়ক।

5. পরিবহন ও যোগাযোগে উন্নতি:

   বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যেমন গাড়ি, বিমান, রেল, নৌযান ইত্যাদি আমাদের ভ্রমণকে সহজ করেছে। এছাড়া ইন্টারনেট, টেলিফোনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে।

6. কৃষি উন্নতি:

   কৃষিতে বিজ্ঞান উদ্ভাবন করেছে নতুন প্রযুক্তি, যেমন জেনেটিক্যালি মডিফাইড কপি, উন্নত বীজ, সেচ পদ্ধতি ইত্যাদি, যা খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করছে।

7. প্রাকৃতিক দুর্যোগ পূর্বাভাস:

   বিজ্ঞান আজকের দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম, যা মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা ইত্যাদির পূর্বাভাস বিজ্ঞান দিয়েছে।

উপসংহার:

বিজ্ঞান প্রতিদিনের জীবনে আমাদের কাজকে সহজ, নিরাপদ এবং দ্রুত করে তুলছে। এটি মানুষের জীবনযাত্রাকে উন্নত করছে এবং ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবন ও উন্নতির জন্য পথে পথপ্রদর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৩.বিজ্ঞান ও কুসংস্কার 

উত্তরঃ

৪.শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভূমিকা 

উত্তরঃ

৫.নারী স্বাধীনতা ও নারীর অগ্ৰাধিকার।

উত্তরঃ

                       👉ভাবার্থ লিখন:

 

১.

 

 

 

 

 

                  👉 ভাবসম্প্রসারণ:

 

১.

           👉ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ:

১.

               👉বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ: