📚অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন: তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ণ:পার্ট-২📚
✍️দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-২):
1. ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ব্রিটিশরা ভারতে বোম্বে, মাদ্রাজ এবং বাংলা নামে তিনটি প্রশাসনিক ইউনিট তৈরি করেছিল। এই ইউনিটগুলির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন পরিচালিত হত। এগুলি ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত।
2. ‘কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ' বলতে কী বোঝো?
উত্তর: খাদ্যশস্যের পরিবর্তে অর্থকরী ফসল, যেমন নীল ও পাটের চাষকেই কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলা হয়। এটি ব্রিটিশ অর্থনৈতিক নীতির অংশ ছিল।
3. উপনিবেশিক সমাজে কাদের মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক বলা হত?
উত্তর: শিক্ষিত ও পেশাদার শ্রেণিকে মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক বলা হত। তারা চাকরি ও আইনি পেশায় যুক্ত ছিলেন।
4. জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থীদের বার্ষিক অধিবেশনকে তিনদিনের তামাশা' বলা হত কেন?
উত্তর: তাদের কর্মসূচি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল না। বাস্তব সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এটি তিনদিনের তামাশা বলে মনে করা হত।
5. ‘লাল-বাল-পাল’ কাদের বলা হয়?
উত্তর: লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক এবং বিপিন চন্দ্র পালকে লাল-বাল-পাল বলা হয়। তারা স্বাধীনতা আন্দোলনের চরমপন্থী নেতা ছিলেন।
6. গান্ধিজি কীভাবে সাধারণ মানুষের আপনজন হয়ে উঠেছিলেন?
উত্তর: গান্ধিজি তাদের ভাষায় কথা বলতেন এবং অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করতেন। তার জীবনযাপন ও ত্যাগ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
7. কাকে, কেন সীমান্ত গান্ধি বলা হত?
উত্তর: খান আব্দুল গফফার খানকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়। তিনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
8. অলিন্দ অভিযান কী?
উত্তর:১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই ডিসেম্বর, তিনজন বিপ্লবী যুবক—বিনয়, বাদল, দীনেশ—যারা বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য ছিলেন, তারা একটি সাহসী কাজ সংঘটিত করেন। রাইটার্স বিল্ডিং-এ জেনারেল সিম্পসনকে হত্যা করার পর, বিল্ডিংটির বারান্দায় ইংরেজ পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটিকে অলিন্দ অভিযান বলা হয়।
9. কোথায়, কার নেতৃত্বে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: মেদিনীপুরে সতীশ সামন্তের নেতৃত্বে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৪২ সালে গঠিত হয়েছিল।
10. ভারতের সংবিধানের উল্লিখিত মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝো?
উত্তর: মৌলিক অধিকার হলো নাগরিকদের স্বাধীনতা, সমতা এবং সুরক্ষার নিশ্চয়তা। এগুলি সংবিধানের মাধ্যমে সুরক্ষিত।
উত্তর: ব্রিটিশরা ভারতে বোম্বে, মাদ্রাজ এবং বাংলা নামে তিনটি প্রশাসনিক ইউনিট তৈরি করেছিল। এই ইউনিটগুলির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন পরিচালিত হত। এগুলি ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত।
2. ‘কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ' বলতে কী বোঝো?
উত্তর: খাদ্যশস্যের পরিবর্তে অর্থকরী ফসল, যেমন নীল ও পাটের চাষকেই কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলা হয়। এটি ব্রিটিশ অর্থনৈতিক নীতির অংশ ছিল।
3. উপনিবেশিক সমাজে কাদের মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক বলা হত?
উত্তর: শিক্ষিত ও পেশাদার শ্রেণিকে মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক বলা হত। তারা চাকরি ও আইনি পেশায় যুক্ত ছিলেন।
4. জাতীয় কংগ্রেসের নরমপন্থীদের বার্ষিক অধিবেশনকে তিনদিনের তামাশা' বলা হত কেন?
উত্তর: তাদের কর্মসূচি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল না। বাস্তব সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এটি তিনদিনের তামাশা বলে মনে করা হত।
5. ‘লাল-বাল-পাল’ কাদের বলা হয়?
উত্তর: লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক এবং বিপিন চন্দ্র পালকে লাল-বাল-পাল বলা হয়। তারা স্বাধীনতা আন্দোলনের চরমপন্থী নেতা ছিলেন।
6. গান্ধিজি কীভাবে সাধারণ মানুষের আপনজন হয়ে উঠেছিলেন?
উত্তর: গান্ধিজি তাদের ভাষায় কথা বলতেন এবং অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করতেন। তার জীবনযাপন ও ত্যাগ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
7. কাকে, কেন সীমান্ত গান্ধি বলা হত?
উত্তর: খান আব্দুল গফফার খানকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়। তিনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
8. অলিন্দ অভিযান কী?
উত্তর:১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই ডিসেম্বর, তিনজন বিপ্লবী যুবক—বিনয়, বাদল, দীনেশ—যারা বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সদস্য ছিলেন, তারা একটি সাহসী কাজ সংঘটিত করেন। রাইটার্স বিল্ডিং-এ জেনারেল সিম্পসনকে হত্যা করার পর, বিল্ডিংটির বারান্দায় ইংরেজ পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটিকে অলিন্দ অভিযান বলা হয়।
9. কোথায়, কার নেতৃত্বে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: মেদিনীপুরে সতীশ সামন্তের নেতৃত্বে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৪২ সালে গঠিত হয়েছিল।
10. ভারতের সংবিধানের উল্লিখিত মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝো?
উত্তর: মৌলিক অধিকার হলো নাগরিকদের স্বাধীনতা, সমতা এবং সুরক্ষার নিশ্চয়তা। এগুলি সংবিধানের মাধ্যমে সুরক্ষিত।
11. অহিংস সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অহিংস সত্যাগ্রহ হল একটি আন্দোলন পদ্ধতি যেখানে কোন ধরনের হিংসা ছাড়া সত্যের প্রতি আস্থা রেখে প্রতিবাদ করা হয়। গান্ধীজির নেতৃত্বে এই পদ্ধতি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছিল।
12. ভারতবাসী কেন সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করেছিল?
উত্তর: সাইমন কমিশন ১৯২৭ সালে ভারতে আসে, কিন্তু এতে কোনো ভারতীয় সদস্য ছিল না, ফলে ভারতবাসী এটি বিরোধিতা করে। তারা দাবি করেছিল যে, ভারতীয়দের স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
13. ভারতীয় সংবিধানে ‘সমাজতন্ত্র' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে সমাজতন্ত্র বলতে সমতাবাদী অর্থনীতি ও সমাজের উদ্দেশ্যকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে সম্পদ ও সুবিধাগুলি জনগণের মধ্যে সমভাবে বিতরণ করা হবে।
14. দুটি মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ করো।
উত্তর: 1. সংবিধান মেনে চলা। 2.জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করা।
15. রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হন?
উত্তর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন সেই ব্যক্তি যিনি রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে কাজ করেন।
16. সংখ্যালঘু কাদের বলা হয়?
উত্তর: সংখ্যালঘু বলা হয় সেই সমস্ত সম্প্রদায়কে যারা সংখ্যায় প্রধান সম্প্রদায়ের তুলনায় কম। এটি ধর্ম, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে হতে পারে।
17. খিলাফৎ আন্দোলনে দুজন নেতার নাম করো।
উত্তর: খিলাফৎ আন্দোলনের প্রধান নেতারা ছিলেন মোহাম্মদ আলি এবং শওকত আলি।
18. নেতাজি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম কী রাখেন?
উত্তর: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে "শহীদ দ্বীপ" রেখেছিলেন।
19. অনগ্রসর শ্রেণি কাদের বলা হয়?
উত্তর: অনগ্রসর শ্রেণি বলা হয় সেই সমস্ত সম্প্রদায়কে যারা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে রয়েছে, যেমন দলিত, আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণি।
উত্তর: অহিংস সত্যাগ্রহ হল একটি আন্দোলন পদ্ধতি যেখানে কোন ধরনের হিংসা ছাড়া সত্যের প্রতি আস্থা রেখে প্রতিবাদ করা হয়। গান্ধীজির নেতৃত্বে এই পদ্ধতি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছিল।
12. ভারতবাসী কেন সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করেছিল?
উত্তর: সাইমন কমিশন ১৯২৭ সালে ভারতে আসে, কিন্তু এতে কোনো ভারতীয় সদস্য ছিল না, ফলে ভারতবাসী এটি বিরোধিতা করে। তারা দাবি করেছিল যে, ভারতীয়দের স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
13. ভারতীয় সংবিধানে ‘সমাজতন্ত্র' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে সমাজতন্ত্র বলতে সমতাবাদী অর্থনীতি ও সমাজের উদ্দেশ্যকে বোঝানো হয়েছে, যেখানে সম্পদ ও সুবিধাগুলি জনগণের মধ্যে সমভাবে বিতরণ করা হবে।
14. দুটি মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখ করো।
উত্তর: 1. সংবিধান মেনে চলা। 2.জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করা।
15. রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হন?
উত্তর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন সেই ব্যক্তি যিনি রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে কাজ করেন।
16. সংখ্যালঘু কাদের বলা হয়?
উত্তর: সংখ্যালঘু বলা হয় সেই সমস্ত সম্প্রদায়কে যারা সংখ্যায় প্রধান সম্প্রদায়ের তুলনায় কম। এটি ধর্ম, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে হতে পারে।
17. খিলাফৎ আন্দোলনে দুজন নেতার নাম করো।
উত্তর: খিলাফৎ আন্দোলনের প্রধান নেতারা ছিলেন মোহাম্মদ আলি এবং শওকত আলি।
18. নেতাজি আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম কী রাখেন?
উত্তর: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে "শহীদ দ্বীপ" রেখেছিলেন।
19. অনগ্রসর শ্রেণি কাদের বলা হয়?
উত্তর: অনগ্রসর শ্রেণি বলা হয় সেই সমস্ত সম্প্রদায়কে যারা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে রয়েছে, যেমন দলিত, আদিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণি।
20. ভারতবর্ষকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' বলা হয় কেন?
উত্তর: ভারতবর্ষকে ধর্মনিরপেক্ষ বলা হয় কারণ এখানে সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা এবং সমস্ত নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি মৌলিক নীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
21. হিউম ও ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি কী?
উত্তর: হিউম ও ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এটি স্বাধীনতা আন্দোলনকে দুর্বল করার একটি চেষ্টা ছিল।
22. স্বদেশি ও বয়কট বলতে কী বোঝো?
উত্তর: স্বদেশি আন্দোলনে দেশীয় পণ্য ও শিল্পের প্রতি সমর্থন জানানো হয়, আর বয়কটের মাধ্যমে বিদেশি পণ্য এবং ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা হয়। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
23. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন্ অত্যাচারের প্রতিবাদে কী উপাধি ত্যাগ করেছিলেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1919 সালে জালিয়ানওয়ালা বাগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে 'নাইট' উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।
24. মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে কোন্ কোন্ আন্দোলন হয়েছিল?
উত্তর: মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে সতাগ্রহ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, ডান্ডি অভিযান, অসহযোগ আন্দোলন এবং খিলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন অহিংস আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
25. অনুশীলন সমিতি কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর: অনুশীলন সমিতি ১৯০২ সালে প্রফুল্ল চাকি এবং অভীষ্ট ধর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে গোপন বিপ্লবী আন্দোলন চালানোর উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল।
উত্তর: ভারতবর্ষকে ধর্মনিরপেক্ষ বলা হয় কারণ এখানে সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা এবং সমস্ত নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি মৌলিক নীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
21. হিউম ও ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি কী?
উত্তর: হিউম ও ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এটি স্বাধীনতা আন্দোলনকে দুর্বল করার একটি চেষ্টা ছিল।
22. স্বদেশি ও বয়কট বলতে কী বোঝো?
উত্তর: স্বদেশি আন্দোলনে দেশীয় পণ্য ও শিল্পের প্রতি সমর্থন জানানো হয়, আর বয়কটের মাধ্যমে বিদেশি পণ্য এবং ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা হয়। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
23. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন্ অত্যাচারের প্রতিবাদে কী উপাধি ত্যাগ করেছিলেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1919 সালে জালিয়ানওয়ালা বাগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে 'নাইট' উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।
24. মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে কোন্ কোন্ আন্দোলন হয়েছিল?
উত্তর: মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে সতাগ্রহ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, ডান্ডি অভিযান, অসহযোগ আন্দোলন এবং খিলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন অহিংস আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
25. অনুশীলন সমিতি কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর: অনুশীলন সমিতি ১৯০২ সালে প্রফুল্ল চাকি এবং অভীষ্ট ধর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে গোপন বিপ্লবী আন্দোলন চালানোর উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল।
26. ‘পলাশির লুণ্ঠন' কাকে বলে?
উত্তর: পলাশির লুণ্ঠন বলতে ১৭৫৭ সালে পলাশি যুদ্ধে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজরা যা সম্পদ ও ঐতিহ্য লুণ্ঠন করেছিল, তাকে বোঝানো হয়। এই পরাজয়ে ইংরেজরা বঙ্গের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
27. অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অবশিল্পায়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়া বোঝানো হয় যার মাধ্যমে কোনো অঞ্চলে বা দেশে শিল্পকলার ক্রমবর্ধমান দুর্বলতা বা অবনতি ঘটে। এটি সাধারণত বিদেশি শাসন বা অর্থনৈতিক সংকটের ফলে হয়।
28. টীকা লেখো : বাহাদুর শাহ জাফর।
উত্তর: বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন মুঘল সম্রাট, যিনি ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময় দিল্লির শাসক ছিলেন। তাকে বিদ্রোহীদের দ্বারা সমর্থন করা হলেও, ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল হতে পারেননি এবং তাকে বন্দী করে রঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়।
29. কাকে, কেন ‘সীমান্ত গান্ধি' বলা হতো?
উত্তর: খান আব্দুল গফফার খানকে ‘সীমান্ত গান্ধি' বলা হতো কারণ তিনি আফগান সীমান্ত অঞ্চলে অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল।
30. টীকা লেখো : জেলা পরিষদ।
উত্তর: জেলা পরিষদ হলো স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অংশ যা জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করে। এটি সাধারণত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হয় এবং স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
31. টীকা লেখো : জেমস রেনেল।
উত্তর: জেমস রেনেল ছিলেন একজন ইংরেজ ভূতত্ত্ববিদ এবং মানচিত্রবিশারদ, যিনি ভারতের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক মানচিত্র তৈরি করেন। তার মানচিত্র ভারতের ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
32. টীকা লেখো : ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের সুরাট অধিবেশন।
উত্তর: ১৯০৭ সালের সুরাট অধিবেশন ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে নরমপন্থী ও কট্টরপন্থীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল। এই অধিবেশনে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে।
33. টীকা লেখো : মাতঙ্গিনী হাজরা।
উত্তর: মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন এক বিপ্লবী নারী, যিনি ১৯৩০ সালে বাঁশতলা গ্রামের ত্রিপুরার আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে শহীদ হন।
34. টীকা লেখো : র্যাডক্লিফ লাইন।
উত্তর: র্যাডক্লিফ লাইন ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণকারী রেখা, যা ১৯৪৭ সালে লর্ড র্যাডক্লিফ দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই সীমান্ত বিভাজন ভারতের ইতিহাসে একটি বড় ঘটনা হিসেবে পরিচিত।
35. টীকা লেখো : সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার।
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার হল নাগরিকদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব যেমন, স্বাধীনতা, সমতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা এবং সুরক্ষার অধিকার। এগুলি নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সুরক্ষিত।
উত্তর: পলাশির লুণ্ঠন বলতে ১৭৫৭ সালে পলাশি যুদ্ধে ইংরেজদের বিরুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজরা যা সম্পদ ও ঐতিহ্য লুণ্ঠন করেছিল, তাকে বোঝানো হয়। এই পরাজয়ে ইংরেজরা বঙ্গের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
27. অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: অবশিল্পায়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়া বোঝানো হয় যার মাধ্যমে কোনো অঞ্চলে বা দেশে শিল্পকলার ক্রমবর্ধমান দুর্বলতা বা অবনতি ঘটে। এটি সাধারণত বিদেশি শাসন বা অর্থনৈতিক সংকটের ফলে হয়।
28. টীকা লেখো : বাহাদুর শাহ জাফর।
উত্তর: বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন মুঘল সম্রাট, যিনি ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময় দিল্লির শাসক ছিলেন। তাকে বিদ্রোহীদের দ্বারা সমর্থন করা হলেও, ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল হতে পারেননি এবং তাকে বন্দী করে রঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়।
29. কাকে, কেন ‘সীমান্ত গান্ধি' বলা হতো?
উত্তর: খান আব্দুল গফফার খানকে ‘সীমান্ত গান্ধি' বলা হতো কারণ তিনি আফগান সীমান্ত অঞ্চলে অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল।
30. টীকা লেখো : জেলা পরিষদ।
উত্তর: জেলা পরিষদ হলো স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অংশ যা জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করে। এটি সাধারণত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হয় এবং স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
31. টীকা লেখো : জেমস রেনেল।
উত্তর: জেমস রেনেল ছিলেন একজন ইংরেজ ভূতত্ত্ববিদ এবং মানচিত্রবিশারদ, যিনি ভারতের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক মানচিত্র তৈরি করেন। তার মানচিত্র ভারতের ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
32. টীকা লেখো : ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের সুরাট অধিবেশন।
উত্তর: ১৯০৭ সালের সুরাট অধিবেশন ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে নরমপন্থী ও কট্টরপন্থীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল। এই অধিবেশনে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে।
33. টীকা লেখো : মাতঙ্গিনী হাজরা।
উত্তর: মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন এক বিপ্লবী নারী, যিনি ১৯৩০ সালে বাঁশতলা গ্রামের ত্রিপুরার আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে শহীদ হন।
34. টীকা লেখো : র্যাডক্লিফ লাইন।
উত্তর: র্যাডক্লিফ লাইন ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণকারী রেখা, যা ১৯৪৭ সালে লর্ড র্যাডক্লিফ দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই সীমান্ত বিভাজন ভারতের ইতিহাসে একটি বড় ঘটনা হিসেবে পরিচিত।
35. টীকা লেখো : সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার।
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার হল নাগরিকদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব যেমন, স্বাধীনতা, সমতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা এবং সুরক্ষার অধিকার। এগুলি নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সুরক্ষিত।
36. কে, কবে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৭ সালে। এটি রামকৃষ্ণ পরমহংসের আদর্শ অনুসরণ করে সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে কাজ করে।
37. ভারতীয় সংবিধানের মূল রুপকার কে? কবে গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানের মূল রুপকার ড. বি. আর. আম্বেডকর ছিলেন। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হয়।
38. ইয়ং বেঙ্গল কাদের বলা হয়?
উত্তর: ইয়ং বেঙ্গল হলো ১৯ শতকের মধ্যভাগে কলকাতায় উদ্ভূত একটি তরুণ বিপ্লবী ও সমাজ সংস্কারক গোষ্ঠী, যারা সমাজের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এর প্রধান নেতারা ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও এবং তার শিষ্যরা।
39. দ্বিজাতি তত্ত্ব বলতে কী বোঝো?
উত্তর: দ্বিজাতি তত্ত্ব বলতে এমন একটি ধারণা বোঝানো হয় যা অনুযায়ী ভারতীয় সমাজ দুইটি জাতিতে বিভক্ত – হিন্দু ও মুসলিম। মুসলিম লীগের নেতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ এই তত্ত্বটি প্রচার করেছিলেন, যা পরে পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
40. ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: ১৯০৭ সালের সুরাট অধিবেশন ছিল গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে কংগ্রেসের মধ্যে নরমপন্থী এবং কট্টরপন্থী নেতাদের মধ্যে বিভাজন ঘটে। এই বিভাজন পরবর্তী সময়ে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
41. জাতীয় কংগ্রেসের দুজন নরমপন্থী নেতার নাম লেখো।
উত্তর: জাতীয় কংগ্রেসের দুজন নরমপন্থী নেতা ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গোখলে এবং দীনবন্ধু নাথ তাগোর।
42. পাকিস্তান প্রস্তাব বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পাকিস্তান প্রস্তাব ছিল ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ কর্তৃক গৃহীত একটি প্রস্তাব যা অনুযায়ী মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা উচিত, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
উত্তর: রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৭ সালে। এটি রামকৃষ্ণ পরমহংসের আদর্শ অনুসরণ করে সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে কাজ করে।
37. ভারতীয় সংবিধানের মূল রুপকার কে? কবে গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানের মূল রুপকার ড. বি. আর. আম্বেডকর ছিলেন। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হয়।
38. ইয়ং বেঙ্গল কাদের বলা হয়?
উত্তর: ইয়ং বেঙ্গল হলো ১৯ শতকের মধ্যভাগে কলকাতায় উদ্ভূত একটি তরুণ বিপ্লবী ও সমাজ সংস্কারক গোষ্ঠী, যারা সমাজের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। এর প্রধান নেতারা ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও এবং তার শিষ্যরা।
39. দ্বিজাতি তত্ত্ব বলতে কী বোঝো?
উত্তর: দ্বিজাতি তত্ত্ব বলতে এমন একটি ধারণা বোঝানো হয় যা অনুযায়ী ভারতীয় সমাজ দুইটি জাতিতে বিভক্ত – হিন্দু ও মুসলিম। মুসলিম লীগের নেতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ এই তত্ত্বটি প্রচার করেছিলেন, যা পরে পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
40. ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: ১৯০৭ সালের সুরাট অধিবেশন ছিল গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে কংগ্রেসের মধ্যে নরমপন্থী এবং কট্টরপন্থী নেতাদের মধ্যে বিভাজন ঘটে। এই বিভাজন পরবর্তী সময়ে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
41. জাতীয় কংগ্রেসের দুজন নরমপন্থী নেতার নাম লেখো।
উত্তর: জাতীয় কংগ্রেসের দুজন নরমপন্থী নেতা ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গোখলে এবং দীনবন্ধু নাথ তাগোর।
42. পাকিস্তান প্রস্তাব বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পাকিস্তান প্রস্তাব ছিল ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ কর্তৃক গৃহীত একটি প্রস্তাব যা অনুযায়ী মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা উচিত, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান সৃষ্টির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
43. কোম্পানির সিপাহি বাহিনী বলতে কী বোঝো?
উত্তর: কোম্পানির সিপাহি বাহিনী বলতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে ভারতীয় সৈন্যদের বাহিনী বোঝানো হয়, যারা ইংরেজ সরকারের হয়ে কাজ করত। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে তাদের বিদ্রোহের কারণ ছিল ধর্মীয় ও সামাজিক অসন্তোষ।
44. নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কোন্ কোন্ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন?
উত্তর: নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী রক্ষণশীলতা ও ব্রাহ্মণ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। তারা সামাজিক অবস্থা ও সংস্কৃতির মধ্যে সংস্কার সাধনের জন্য কাজ করেছিলেন, বিশেষত নারী শিক্ষার প্রসার এবং বিধবা বিবাহের প্রচারের জন্য।
45. সভা সমিতির যুগ কাকে বলে?
উত্তর: সভা সমিতির যুগ বলতে ১৮৫৭ সালের পরবর্তী সময়কে বোঝানো হয়, যখন ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন শুরুর দিকে সভা ও সমিতির মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল। এই যুগে প্রাথমিকভাবে সংস্কারকরা নিজেদের বক্তব্য প্রচার করতে সভা ও সমিতির আয়োজন করতেন।
46. গান্ধির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা কী ছিল?
উত্তর: গান্ধির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা ছিল অহিংসা, সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অটুট বিশ্বাস এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নিরীহ প্রতিবাদ। তিনি মানুষের অন্তরে সততা ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংগ্রাম করতে শিখিয়েছিলেন।
উত্তর: কোম্পানির সিপাহি বাহিনী বলতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে ভারতীয় সৈন্যদের বাহিনী বোঝানো হয়, যারা ইংরেজ সরকারের হয়ে কাজ করত। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে তাদের বিদ্রোহের কারণ ছিল ধর্মীয় ও সামাজিক অসন্তোষ।
44. নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কোন্ কোন্ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন?
উত্তর: নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী রক্ষণশীলতা ও ব্রাহ্মণ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। তারা সামাজিক অবস্থা ও সংস্কৃতির মধ্যে সংস্কার সাধনের জন্য কাজ করেছিলেন, বিশেষত নারী শিক্ষার প্রসার এবং বিধবা বিবাহের প্রচারের জন্য।
45. সভা সমিতির যুগ কাকে বলে?
উত্তর: সভা সমিতির যুগ বলতে ১৮৫৭ সালের পরবর্তী সময়কে বোঝানো হয়, যখন ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন শুরুর দিকে সভা ও সমিতির মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল। এই যুগে প্রাথমিকভাবে সংস্কারকরা নিজেদের বক্তব্য প্রচার করতে সভা ও সমিতির আয়োজন করতেন।
46. গান্ধির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা কী ছিল?
উত্তর: গান্ধির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা ছিল অহিংসা, সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অটুট বিশ্বাস এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নিরীহ প্রতিবাদ। তিনি মানুষের অন্তরে সততা ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংগ্রাম করতে শিখিয়েছিলেন।
47. অস্ত্র আইন কী?
উত্তর: অস্ত্র আইন হল আইন, যা নির্দিষ্ট অস্ত্রের সঞ্চালন, মালিকানা এবং ব্যবহারের বিধিনিষেধ আরোপ করে। এই আইনের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করা।
48. স্বদেশিদের দুটি শিল্পোদ্যোগের পরিচয় দাও।
উত্তর: ১. তামাক শিল্প - ভারতীয় কোম্পানি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।
২. শিল্পাঞ্চলিক উত্পাদন - যেমন বাঁশের পণ্য, ক্যানডির উৎপাদন ইত্যাদি।
49. রাওলাট আইন কী?
উত্তর: রাওলাট আইন ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ শাসন দ্বারা প্রবর্তিত একটি আইন, যা ভারতীয়দের প্রাথমিক অধিকার সীমাবদ্ধ করে এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তার, বিচার ছাড়া কারাবন্দি করার ক্ষমতা দেয়। এই আইনটি ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
50. বাঘাযতীন স্মরণীয় কেন?
উত্তর: বাঘাযতীন ছিলেন একটি দেশপ্রেমিক এবং বিপ্লবী নেতা। তিনি ১৯১০ সালে বিদ্রোহী এবং বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০ সালের শ্রাবণ-খিল্লাফাত-অহিংসার আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি তার আত্মোৎসর্গের মধ্য দিয়ে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেন।
51. মহাত্মা গান্ধি কেন অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন?
উত্তর: মহাত্মা গান্ধি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কারণ চৌরাচৌরা দাঙ্গার ঘটনার পরে তিনি দেখেছিলেন আন্দোলন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে না। তিনি অনুভব করেন যে এই দাঙ্গা আন্দোলনের মূল আদর্শের বিপরীতে, তাই তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
52. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কী?
উত্তর: সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা হলো একটি ব্যবস্থা যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে জনগণকে বিভক্ত করা হয় এবং তাদের অধিকারের নির্ধারণ, ভূমি, শিক্ষা, প্রশাসনিক সুবিধাগুলো ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে এটি মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের কারণ হিসেবে কাজ করেছিল।
53. ভারতের স্বাধীনতা আইন কী?
উত্তর: ভারতের স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দ্বারা প্রণীত একটি আইন, যা ভারত ও পাকিস্তানকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত করে। এই আইনের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে।
54. আলিগড় আন্দোলন কাকে বলে?
উত্তর: আলিগড় আন্দোলন হল মুসলিম লীগের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের এবং আধুনিক শিক্ষার প্রচারের জন্য সৃষ্ট একটি আন্দোলন। এটি ১৯১১ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে আলিগড়ে শুরু হয়।
55. সার্বভৌম এবং ধর্মনিরপেক্ষ কথা দুটির অর্থ লেখো।
উত্তর:
- সার্বভৌম: একটি রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
- ধর্মনিরপেক্ষ: ধর্মীয় বৈচিত্র্য সম্মান করে, ধর্ম নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সকল ধর্মকে সমান মর্যাদা দেয়।
56. বাংলায় 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলন সম্পর্কে কী জানো?
উত্তর: 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলন ১৯৪২ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই আন্দোলনে সারা ভারতব্যাপী বিক্ষোভ, ধর্মঘট এবং অসহযোগিতা হয়েছিল। আন্দোলনটি ব্যাপকভাবে সফল হয় এবং এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় জনগণের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সংকল্প দৃঢ় হয়।
57.লর্ড লিটনের দুটি দমনমূলক আইনের উল্লেখ করো।
উত্তর: লর্ড লিটন ১৮৭৮ সালে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দমনমূলক আইন প্রণয়ন করেন:
1. **অ্যান্টি-অ্যাসেম্বলি আইন (Vernacular Press Act)** - এর মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং তাদের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
2. **ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পিপলস আইন (Ilbert Bill)** - এই আইনটি মূলত ইংরেজদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসাবে দেখা হয়েছিল, যা ভারতীয় বিচারকদের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
58.‘হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' বলতে কী বোঝো?
উত্তর: হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছিল একটি ধারণা, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করার জন্য বিশেষভাবে একযোগে কাজ করা হচ্ছিল। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ভারতীয় আন্দোলনকারীদের বিভক্ত করতে চেয়েছিল এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।
59.ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী স্মরণীয় কেন?
উত্তর: ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকী স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান বিপ্লবী শহীদ। তারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন এবং বিশেষত ১৯০৮ সালে মুঈনুল ইসলামের ওপর আত্মঘাতী আক্রমণের চেষ্টা করে। তাদের সাহসিকতা ও আত্মবলিদান ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
60.বঙ্গভঙ্গের ‘প্রকৃত উদ্দেশ্য' কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গভঙ্গের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মুসলিম ও হিন্দু জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। ব্রিটিশ সরকার এটি করেছে যাতে ভারতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ে এবং ইংরেজ শাসন টিকে থাকে।
61.সর্বভারতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণের পূর্বে গান্ধিজি কোন্ তিনটি আঞ্চলিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: গান্ধীজির সর্বভারতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণের আগে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন:
1. **চাম্পারন আন্দোলন (1917)**
2. **কেদাহ আন্দোলন (1918)**
3. **আহমেদাবাদ মিল আন্দোলন (1918)**
62.কী কারণে গান্ধিজি খিলাফৎ আন্দোলনকে অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন?
উত্তর: গান্ধীজির মতে, খিলাফৎ আন্দোলন মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ছিল এবং এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হিসেবে বিবেচিত হতে পারত। তিনি মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এটি অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।
63.স্বরাজ্যদলের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: স্বরাজ্যদল ১৯২০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের জন্য পূর্ণ স্বশাসন লাভ করা। তারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, ভারতের মধ্যে নিজস্ব সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
64.মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন?
উত্তর: মাতঙ্গিনী হাজরা একটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি ১৯৩১ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি বিশেষত ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য স্মরণীয়।
উত্তর: অস্ত্র আইন হল আইন, যা নির্দিষ্ট অস্ত্রের সঞ্চালন, মালিকানা এবং ব্যবহারের বিধিনিষেধ আরোপ করে। এই আইনের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে অস্ত্রের সহজপ্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করা।
48. স্বদেশিদের দুটি শিল্পোদ্যোগের পরিচয় দাও।
উত্তর: ১. তামাক শিল্প - ভারতীয় কোম্পানি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।
২. শিল্পাঞ্চলিক উত্পাদন - যেমন বাঁশের পণ্য, ক্যানডির উৎপাদন ইত্যাদি।
49. রাওলাট আইন কী?
উত্তর: রাওলাট আইন ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ শাসন দ্বারা প্রবর্তিত একটি আইন, যা ভারতীয়দের প্রাথমিক অধিকার সীমাবদ্ধ করে এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তার, বিচার ছাড়া কারাবন্দি করার ক্ষমতা দেয়। এই আইনটি ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
50. বাঘাযতীন স্মরণীয় কেন?
উত্তর: বাঘাযতীন ছিলেন একটি দেশপ্রেমিক এবং বিপ্লবী নেতা। তিনি ১৯১০ সালে বিদ্রোহী এবং বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০ সালের শ্রাবণ-খিল্লাফাত-অহিংসার আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি তার আত্মোৎসর্গের মধ্য দিয়ে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করেন।
51. মহাত্মা গান্ধি কেন অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন?
উত্তর: মহাত্মা গান্ধি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন কারণ চৌরাচৌরা দাঙ্গার ঘটনার পরে তিনি দেখেছিলেন আন্দোলন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে না। তিনি অনুভব করেন যে এই দাঙ্গা আন্দোলনের মূল আদর্শের বিপরীতে, তাই তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
52. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কী?
উত্তর: সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা হলো একটি ব্যবস্থা যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে জনগণকে বিভক্ত করা হয় এবং তাদের অধিকারের নির্ধারণ, ভূমি, শিক্ষা, প্রশাসনিক সুবিধাগুলো ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে এটি মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের কারণ হিসেবে কাজ করেছিল।
53. ভারতের স্বাধীনতা আইন কী?
উত্তর: ভারতের স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দ্বারা প্রণীত একটি আইন, যা ভারত ও পাকিস্তানকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত করে। এই আইনের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে।
54. আলিগড় আন্দোলন কাকে বলে?
উত্তর: আলিগড় আন্দোলন হল মুসলিম লীগের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের এবং আধুনিক শিক্ষার প্রচারের জন্য সৃষ্ট একটি আন্দোলন। এটি ১৯১১ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে আলিগড়ে শুরু হয়।
55. সার্বভৌম এবং ধর্মনিরপেক্ষ কথা দুটির অর্থ লেখো।
উত্তর:
- সার্বভৌম: একটি রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
- ধর্মনিরপেক্ষ: ধর্মীয় বৈচিত্র্য সম্মান করে, ধর্ম নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সকল ধর্মকে সমান মর্যাদা দেয়।
56. বাংলায় 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলন সম্পর্কে কী জানো?
উত্তর: 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলন ১৯৪২ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই আন্দোলনে সারা ভারতব্যাপী বিক্ষোভ, ধর্মঘট এবং অসহযোগিতা হয়েছিল। আন্দোলনটি ব্যাপকভাবে সফল হয় এবং এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় জনগণের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সংকল্প দৃঢ় হয়।
57.লর্ড লিটনের দুটি দমনমূলক আইনের উল্লেখ করো।
উত্তর: লর্ড লিটন ১৮৭৮ সালে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দমনমূলক আইন প্রণয়ন করেন:
1. **অ্যান্টি-অ্যাসেম্বলি আইন (Vernacular Press Act)** - এর মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং তাদের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
2. **ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পিপলস আইন (Ilbert Bill)** - এই আইনটি মূলত ইংরেজদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসাবে দেখা হয়েছিল, যা ভারতীয় বিচারকদের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
58.‘হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' বলতে কী বোঝো?
উত্তর: হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছিল একটি ধারণা, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করার জন্য বিশেষভাবে একযোগে কাজ করা হচ্ছিল। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ভারতীয় আন্দোলনকারীদের বিভক্ত করতে চেয়েছিল এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।
59.ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী স্মরণীয় কেন?
উত্তর: ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকী স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান বিপ্লবী শহীদ। তারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন এবং বিশেষত ১৯০৮ সালে মুঈনুল ইসলামের ওপর আত্মঘাতী আক্রমণের চেষ্টা করে। তাদের সাহসিকতা ও আত্মবলিদান ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
60.বঙ্গভঙ্গের ‘প্রকৃত উদ্দেশ্য' কী ছিল?
উত্তর: বঙ্গভঙ্গের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মুসলিম ও হিন্দু জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। ব্রিটিশ সরকার এটি করেছে যাতে ভারতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ে এবং ইংরেজ শাসন টিকে থাকে।
61.সর্বভারতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণের পূর্বে গান্ধিজি কোন্ তিনটি আঞ্চলিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: গান্ধীজির সর্বভারতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণের আগে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন:
1. **চাম্পারন আন্দোলন (1917)**
2. **কেদাহ আন্দোলন (1918)**
3. **আহমেদাবাদ মিল আন্দোলন (1918)**
62.কী কারণে গান্ধিজি খিলাফৎ আন্দোলনকে অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন?
উত্তর: গান্ধীজির মতে, খিলাফৎ আন্দোলন মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ছিল এবং এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হিসেবে বিবেচিত হতে পারত। তিনি মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এটি অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।
63.স্বরাজ্যদলের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: স্বরাজ্যদল ১৯২০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের জন্য পূর্ণ স্বশাসন লাভ করা। তারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, ভারতের মধ্যে নিজস্ব সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
64.মাতঙ্গিনী হাজরা স্মরণীয় কেন?
উত্তর: মাতঙ্গিনী হাজরা একটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি ১৯৩১ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি বিশেষত ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য স্মরণীয়।
65. উডের প্রতিবেদন বা উডস ডেসপ্যাচে কী কী সুপারিশ করা হয়েছিল?
উত্তর: উডস ডেসপ্যাচে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। এটি ইংরেজি ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেয়। এছাড়া, বিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার ব্যাপকতা বাড়ানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হয়।
66. ভারতীয় মুসলিমরা খিলাফৎ আন্দোলন শুরু করেছিলেন কেন?
উত্তর: খিলাফৎ আন্দোলন তুরস্কের খিলাফতের দুর্বলতার কারণে শুরু হয়েছিল, যা মুসলিমদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকার সংকুচিত করে ফেলেছিল। ভারতীয় মুসলিমরা খিলাফতের সুরক্ষা ও তাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনে অংশ নেন। এটি তাদের ইসলামিক ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহের প্রকাশ ছিল।
67. দিল্লি চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর: দিল্লি চুক্তি ১৯১৬ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে মুসলিম লীগের রাজনৈতিক অধিকার ও দাবির প্রতি সম্মতি জানানো হয়। চুক্তিটি ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।
68. পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কটি স্তর ও কী কী?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় তিনটি স্তর রয়েছে: গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ। এই তিনটি স্তর মিলিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালিত হয়, যা এলাকার প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে।
উত্তর: উডস ডেসপ্যাচে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। এটি ইংরেজি ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেয়। এছাড়া, বিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার ব্যাপকতা বাড়ানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হয়।
66. ভারতীয় মুসলিমরা খিলাফৎ আন্দোলন শুরু করেছিলেন কেন?
উত্তর: খিলাফৎ আন্দোলন তুরস্কের খিলাফতের দুর্বলতার কারণে শুরু হয়েছিল, যা মুসলিমদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকার সংকুচিত করে ফেলেছিল। ভারতীয় মুসলিমরা খিলাফতের সুরক্ষা ও তাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলনে অংশ নেন। এটি তাদের ইসলামিক ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহের প্রকাশ ছিল।
67. দিল্লি চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তর: দিল্লি চুক্তি ১৯১৬ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে মুসলিম লীগের রাজনৈতিক অধিকার ও দাবির প্রতি সম্মতি জানানো হয়। চুক্তিটি ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।
68. পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কটি স্তর ও কী কী?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় তিনটি স্তর রয়েছে: গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ। এই তিনটি স্তর মিলিয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালিত হয়, যা এলাকার প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে।
69. ‘কর্নওয়ালিশ কোড’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: 'কর্নওয়ালিশ কোড' ছিল লর্ড কর্নওয়ালিশের শাসনামলে প্রণীত একটি আইনি ব্যবস্থাপনা, যা ব্রিটিশ শাসনে ভারতের প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলে। এটি ১৮৩০ সালের কাছাকাছি সময়ে তৈরি হয় এবং মূলত ইংরেজি আইনের একটি সংস্করণ ছিল।
70. 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব' কী?
উত্তর: 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব' বলতে একটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক বৈষম্য বা সংঘর্ষের প্রতিফলন বোঝায়, যা প্রাচ্য (এশিয়া) এবং পাশ্চাত্য (ইউরোপ) সভ্যতার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই দ্বন্দ্ব বিশেষত শিক্ষার, দার্শনিক চিন্তার এবং রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে প্রতিফলিত হয়।
71. টীকা লেখো : মহারানির ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ)
উত্তর: মহারানির ঘোষণাপত্র ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার স্বাক্ষরিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল ছিল, যা ভারতীয় উপনিবেশের শাসনভার ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে ভারতীয় উপনিবেশে ব্রিটিশ রাজের সরাসরি শাসন শুরু হয়।
72. ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারির গুরুত্ব কী?
উত্তর: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিন, যা ভারতকে একটি গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এটি ভারতের স্বাধীনতার পরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, যা গণপ্রজাতন্ত্রী ভারতের জন্ম ঘোষণা করে।
73. ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ কেন গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ গ্রহণ করা হয়েছে কারণ ভারত একটি বহুত্ববাদী সমাজ, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে যে, সরকার কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
উত্তর: 'কর্নওয়ালিশ কোড' ছিল লর্ড কর্নওয়ালিশের শাসনামলে প্রণীত একটি আইনি ব্যবস্থাপনা, যা ব্রিটিশ শাসনে ভারতের প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলে। এটি ১৮৩০ সালের কাছাকাছি সময়ে তৈরি হয় এবং মূলত ইংরেজি আইনের একটি সংস্করণ ছিল।
70. 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব' কী?
উত্তর: 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব' বলতে একটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক বৈষম্য বা সংঘর্ষের প্রতিফলন বোঝায়, যা প্রাচ্য (এশিয়া) এবং পাশ্চাত্য (ইউরোপ) সভ্যতার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই দ্বন্দ্ব বিশেষত শিক্ষার, দার্শনিক চিন্তার এবং রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে প্রতিফলিত হয়।
71. টীকা লেখো : মহারানির ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ)
উত্তর: মহারানির ঘোষণাপত্র ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার স্বাক্ষরিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল ছিল, যা ভারতীয় উপনিবেশের শাসনভার ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে ভারতীয় উপনিবেশে ব্রিটিশ রাজের সরাসরি শাসন শুরু হয়।
72. ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারির গুরুত্ব কী?
উত্তর: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিন, যা ভারতকে একটি গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এটি ভারতের স্বাধীনতার পরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, যা গণপ্রজাতন্ত্রী ভারতের জন্ম ঘোষণা করে।
73. ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ কেন গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ গ্রহণ করা হয়েছে কারণ ভারত একটি বহুত্ববাদী সমাজ, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে যে, সরকার কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
74. ‘সামরিক জাতি’ কাদের বলা হত?
উত্তর: 'সামরিক জাতি' বলা হত তাদেরকে, যারা ব্রিটিশ ভারতে যুদ্ধ এবং সামরিক কাজের জন্য পরিচিত ছিল, যেমন পাঞ্জাবি, গুরখা এবং রাজপুতরা। তাদের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ ও কর্তব্যের প্রতি এক বিশেষ আগ্রহ ছিল।
75. কবে, কে ‘আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সারস্বত 'আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে তিনি হিন্দু ধর্মের পুরাতন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পুনর্গঠন এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।
76. ‘দিকু' কাদের বলা হত?
উত্তর: 'দিকু' বলা হত এমন ভারতীয়দের, যারা বিদেশি শাসক বা জাতির প্রতি আনুগত্য দেখাতেন। বিশেষভাবে, এটি মুসলিম শাসকদের বিরোধী হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ব্যবহৃত হতো।
77. ‘নরমপন্থী’ কাদের বলা হত?
উত্তর: 'নরমপন্থী' বলা হত কংগ্রেসের সেই অংশকে যারা সহিংসতার বিরুদ্ধে ছিলেন এবং সংবিধানিক পথে আন্দোলন করতে চেয়েছিলেন। তারা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা করতেন।
78. ‘চৌরিচৌরার ঘটনা' কী?
উত্তর: চৌরিচৌরার ঘটনা ১৯২২ সালে ঘটে, যেখানে কিছু নরেন্দ্রপুরের পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে ২২ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়। এর পর গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
79. কবে, কাদের মধ্যে গান্ধি-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর: গান্ধি-আরউইন চুক্তি ১৯৩১ সালের ৫ মার্চ কংগ্রেস ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে সরকার আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয় এবং কিছু নীতিগত সংলাপ শুরু হয়।
80. মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তর: মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জন্য একটি আলাদা প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করা, বিশেষ করে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে।
81. কবে, কার দ্বারা ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি' ঘোষিত হয়?
উত্তর: ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি’ ১৯০৫ সালে লর্ড কুরজনের দ্বারা বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল, যা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়কে আলাদা করে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার উদ্দেশ্য ছিল।
82. কত খ্রিস্টাব্দে, কাদের মধ্যে সিমলা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: সিমলা বৈঠক ১৯৪৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েভেল এবং ভারতীয় নেতাদের মধ্যে হয়েছিল। এর মাধ্যমে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
83. ভারতের অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের দুজন প্রবক্তার নাম লেখো।
উত্তর: ভারতের অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের দুজন প্রধান প্রবক্তা ছিলেন দীনবন্ধু মিত্র এবং লোকমান্য তিলক। তারা ভারতীয় অর্থনীতিকে বিদেশি প্রভাব থেকে মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।
84. প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি কাকে নিয়োগ করেন?
উত্তর: ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন যিনি লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। সাধারণত এটি শীর্ষ রাজনৈতিক দল বা জোটের নেতা হন।
উত্তর: 'সামরিক জাতি' বলা হত তাদেরকে, যারা ব্রিটিশ ভারতে যুদ্ধ এবং সামরিক কাজের জন্য পরিচিত ছিল, যেমন পাঞ্জাবি, গুরখা এবং রাজপুতরা। তাদের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ ও কর্তব্যের প্রতি এক বিশেষ আগ্রহ ছিল।
75. কবে, কে ‘আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সারস্বত 'আর্য সমাজ' প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে তিনি হিন্দু ধর্মের পুরাতন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পুনর্গঠন এবং সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।
76. ‘দিকু' কাদের বলা হত?
উত্তর: 'দিকু' বলা হত এমন ভারতীয়দের, যারা বিদেশি শাসক বা জাতির প্রতি আনুগত্য দেখাতেন। বিশেষভাবে, এটি মুসলিম শাসকদের বিরোধী হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ব্যবহৃত হতো।
77. ‘নরমপন্থী’ কাদের বলা হত?
উত্তর: 'নরমপন্থী' বলা হত কংগ্রেসের সেই অংশকে যারা সহিংসতার বিরুদ্ধে ছিলেন এবং সংবিধানিক পথে আন্দোলন করতে চেয়েছিলেন। তারা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা করতেন।
78. ‘চৌরিচৌরার ঘটনা' কী?
উত্তর: চৌরিচৌরার ঘটনা ১৯২২ সালে ঘটে, যেখানে কিছু নরেন্দ্রপুরের পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে ২২ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়। এর পর গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
79. কবে, কাদের মধ্যে গান্ধি-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তর: গান্ধি-আরউইন চুক্তি ১৯৩১ সালের ৫ মার্চ কংগ্রেস ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে সরকার আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয় এবং কিছু নীতিগত সংলাপ শুরু হয়।
80. মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তর: মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জন্য একটি আলাদা প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করা, বিশেষ করে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে।
81. কবে, কার দ্বারা ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি' ঘোষিত হয়?
উত্তর: ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি’ ১৯০৫ সালে লর্ড কুরজনের দ্বারা বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল, যা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়কে আলাদা করে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করার উদ্দেশ্য ছিল।
82. কত খ্রিস্টাব্দে, কাদের মধ্যে সিমলা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: সিমলা বৈঠক ১৯৪৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েভেল এবং ভারতীয় নেতাদের মধ্যে হয়েছিল। এর মাধ্যমে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
83. ভারতের অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের দুজন প্রবক্তার নাম লেখো।
উত্তর: ভারতের অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের দুজন প্রধান প্রবক্তা ছিলেন দীনবন্ধু মিত্র এবং লোকমান্য তিলক। তারা ভারতীয় অর্থনীতিকে বিদেশি প্রভাব থেকে মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।
84. প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি কাকে নিয়োগ করেন?
উত্তর: ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন যিনি লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। সাধারণত এটি শীর্ষ রাজনৈতিক দল বা জোটের নেতা হন।