📚 উচ্চমাধ্যমিক স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা সাজেশন-২০২৫(উত্তরসহ):প্রশ্নের মান-৭:১০০% কমন আসবেই📚
✍️প্রশ্নের মান-৭:
1. ‘শারীরশিক্ষার’ প্রকৃত অর্থ কী ? ‘শারীরশিক্ষার' সাথে অন্যান্য বিষয়ের যোগসূত্রগুলি আলোচনা করো। 2+5
উঃ 👉শারীরশিক্ষার অর্থ:
শারীরশিক্ষা বলতে শারীরিক কার্যকলাপ, ব্যায়াম, ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের সামগ্রিক উন্নতি, স্বাস্থ্য রক্ষা ও মানসিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাকে বোঝায়। এর প্রধান লক্ষ্য হল শরীর ও মনের শক্তি বৃদ্ধি, দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা এবং সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।
👉শারীরশিক্ষার সাথে অন্যান্য বিষয়ের যোগসূত্র:
(ক) মানসিক স্বাস্থ্য: শারীরশিক্ষা মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(খ) সামাজিক দক্ষতা: শারীরশিক্ষা দলগত খেলা ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক দক্ষতা, দলবদ্ধতার বোধ এবং অন্যদের সাথে মিলে কাজ করার ক্ষমতা গড়ে তোলে।
(গ) নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা: শারীরশিক্ষায় নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, এবং সময়ের মূল্যবোধ শেখায়। এটি ব্যক্তিকে নিয়ম মেনে চলা, অধ্যবসায়, এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সাহায্য করে।
(ঘ) শিক্ষা ও একাডেমিক দক্ষতা: শারীরশিক্ষা শিক্ষার্থীর একাগ্রতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। শারীরিক ফিটনেস একাডেমিক দক্ষতার উন্নতি সাধন করে এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(ঙ) স্বাস্থ্য শিক্ষা: শারীরশিক্ষা স্বাস্থ্য শিক্ষা, যেমন পুষ্টি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলে। এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাপনকে সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখে।
উপসংহার: শারীরশিক্ষা শুধু শারীরিক দক্ষতাই নয়, বরং মানসিক, সামাজিক ও একাডেমিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে ব্যক্তি সুস্থ, কর্মক্ষম এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের পথে অগ্রসর হতে পারে।
শারীরশিক্ষা বলতে শারীরিক কার্যকলাপ, ব্যায়াম, ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের সামগ্রিক উন্নতি, স্বাস্থ্য রক্ষা ও মানসিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাকে বোঝায়। এর প্রধান লক্ষ্য হল শরীর ও মনের শক্তি বৃদ্ধি, দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা এবং সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।
👉শারীরশিক্ষার সাথে অন্যান্য বিষয়ের যোগসূত্র:
(ক) মানসিক স্বাস্থ্য: শারীরশিক্ষা মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(খ) সামাজিক দক্ষতা: শারীরশিক্ষা দলগত খেলা ও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক দক্ষতা, দলবদ্ধতার বোধ এবং অন্যদের সাথে মিলে কাজ করার ক্ষমতা গড়ে তোলে।
(গ) নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা: শারীরশিক্ষায় নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, এবং সময়ের মূল্যবোধ শেখায়। এটি ব্যক্তিকে নিয়ম মেনে চলা, অধ্যবসায়, এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সাহায্য করে।
(ঘ) শিক্ষা ও একাডেমিক দক্ষতা: শারীরশিক্ষা শিক্ষার্থীর একাগ্রতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। শারীরিক ফিটনেস একাডেমিক দক্ষতার উন্নতি সাধন করে এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(ঙ) স্বাস্থ্য শিক্ষা: শারীরশিক্ষা স্বাস্থ্য শিক্ষা, যেমন পুষ্টি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলে। এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাপনকে সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখে।
উপসংহার: শারীরশিক্ষা শুধু শারীরিক দক্ষতাই নয়, বরং মানসিক, সামাজিক ও একাডেমিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে ব্যক্তি সুস্থ, কর্মক্ষম এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের পথে অগ্রসর হতে পারে।
2.শারীরশিক্ষা কাকে বলে? শারীরশিক্ষার আধুনিক ধারণাটি আলোচনা করো। 2+5
উঃ 👉শারীরশিক্ষা কাকে বলে:
শারীরশিক্ষা হলো এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শারীরিক কার্যকলাপ, ব্যায়াম এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীর, মন এবং মানসিক বিকাশ সাধিত হয়। শারীরশিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শারীরিক দক্ষতা, সুস্থতা এবং শৃঙ্খলা অর্জন করে, যা তার দৈনন্দিন জীবনের মান উন্নত করে।
শারীরশিক্ষার আধুনিক ধারণা:
(ক) সার্বিক বিকাশ: আধুনিক শারীরশিক্ষা শুধুমাত্র শরীরচর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, এবং নৈতিক বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়। এটি একজন ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সক্রিয় এবং মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত রাখে।
(খ) স্বাস্থ্যকর জীবনধারা: আধুনিক শারীরশিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। এটি পুষ্টি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব শিক্ষা দেয়।
(গ) প্রযুক্তির প্রয়োগ: আধুনিক যুগে প্রযুক্তির মাধ্যমে শারীরশিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপ, ফিটনেস ট্র্যাকার এবং অনলাইন প্রশিক্ষণ ব্যক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উন্নত শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
(ঘ) মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা: আধুনিক শারীরশিক্ষা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং হতাশা কমানোর মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ ও খেলাধুলার মাধ্যমে মনের স্থিতি ও স্থিরতা বৃদ্ধি করে।
(ঙ) শারীরিক দক্ষতার উন্নতি: আধুনিক শারীরশিক্ষা শারীরিক সক্ষমতা, নমনীয়তা, সহনশীলতা এবং শক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়। এটি প্রতিযোগিতামূলক খেলা ও দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যক্তি প্রস্তুত করে তোলে।
উপসংহার: আধুনিক শারীরশিক্ষা কেবল শরীরের নয়, ব্যক্তির সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক। এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে সুস্থ, সফল এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করে।
শারীরশিক্ষা হলো এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শারীরিক কার্যকলাপ, ব্যায়াম এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীর, মন এবং মানসিক বিকাশ সাধিত হয়। শারীরশিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শারীরিক দক্ষতা, সুস্থতা এবং শৃঙ্খলা অর্জন করে, যা তার দৈনন্দিন জীবনের মান উন্নত করে।
শারীরশিক্ষার আধুনিক ধারণা:
(ক) সার্বিক বিকাশ: আধুনিক শারীরশিক্ষা শুধুমাত্র শরীরচর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, এবং নৈতিক বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়। এটি একজন ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সক্রিয় এবং মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত রাখে।
(খ) স্বাস্থ্যকর জীবনধারা: আধুনিক শারীরশিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে। এটি পুষ্টি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব শিক্ষা দেয়।
(গ) প্রযুক্তির প্রয়োগ: আধুনিক যুগে প্রযুক্তির মাধ্যমে শারীরশিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপ, ফিটনেস ট্র্যাকার এবং অনলাইন প্রশিক্ষণ ব্যক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উন্নত শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
(ঘ) মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা: আধুনিক শারীরশিক্ষা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং হতাশা কমানোর মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ ও খেলাধুলার মাধ্যমে মনের স্থিতি ও স্থিরতা বৃদ্ধি করে।
(ঙ) শারীরিক দক্ষতার উন্নতি: আধুনিক শারীরশিক্ষা শারীরিক সক্ষমতা, নমনীয়তা, সহনশীলতা এবং শক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়। এটি প্রতিযোগিতামূলক খেলা ও দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যক্তি প্রস্তুত করে তোলে।
উপসংহার: আধুনিক শারীরশিক্ষা কেবল শরীরের নয়, ব্যক্তির সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক। এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে সুস্থ, সফল এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করে।
3.শারীরিক সক্ষমতা কাকে বলে ? দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানগুলি কী কী ? এই সম্পর্কে যা জানো লেখো।1+2+4
উঃ 👉শারীরিক সক্ষমতা কাকে বলে:
শারীরিক সক্ষমতা হলো এমন এক অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সম্পাদন করতে পারে, ক্লান্তিহীনভাবে এবং পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় রেখে। এটি শারীরিক, মানসিক এবং কর্মক্ষমতার একত্রিত সংমিশ্রণ, যা ব্যক্তিকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে।
👉দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতা:
দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতা বলতে সেই বিশেষ গুণগুলিকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তির শারীরিক কার্যকলাপ বা খেলাধুলার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা ও পারদর্শিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এসব গুণাবলি ব্যক্তিকে খেলাধুলায় চমৎকার দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম করে তোলে।
দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানগুলি:
(ক) গতি: শরীরের বিভিন্ন অংশ দ্রুততার সাথে স্থান পরিবর্তন করতে পারার ক্ষমতা হলো গতি। খেলাধুলা বা দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(খ) সমন্বয়: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার দক্ষতাকে সমন্বয় বলা হয়। এটি খেলাধুলায় এবং নৃত্য বা যোগব্যায়ামের মতো কার্যক্রমে বিশেষ প্রয়োজন।
(গ) শক্তি: শরীরের বিভিন্ন পেশী দ্রুত ও প্রবল শক্তির প্রয়োগ করতে সক্ষম হওয়ার গুণ হলো শক্তি। এটি ভারোত্তোলন বা ছোটা-লাফানোর মতো কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(ঘ) স্থিতিশীলতা: শরীরকে বিভিন্ন অবস্থানে ধরে রাখার দক্ষতাকে স্থিতিশীলতা বলা হয়। এটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উপসংহার: দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার এই উপাদানগুলি ব্যক্তি ও খেলোয়াড়দের উচ্চ পর্যায়ের কর্মক্ষমতা অর্জনে সহায়ক।
শারীরিক সক্ষমতা হলো এমন এক অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি দৈনন্দিন কাজ-কর্ম সম্পাদন করতে পারে, ক্লান্তিহীনভাবে এবং পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় রেখে। এটি শারীরিক, মানসিক এবং কর্মক্ষমতার একত্রিত সংমিশ্রণ, যা ব্যক্তিকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে।
👉দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতা:
দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতা বলতে সেই বিশেষ গুণগুলিকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তির শারীরিক কার্যকলাপ বা খেলাধুলার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা ও পারদর্শিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এসব গুণাবলি ব্যক্তিকে খেলাধুলায় চমৎকার দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম করে তোলে।
দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানগুলি:
(ক) গতি: শরীরের বিভিন্ন অংশ দ্রুততার সাথে স্থান পরিবর্তন করতে পারার ক্ষমতা হলো গতি। খেলাধুলা বা দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(খ) সমন্বয়: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার দক্ষতাকে সমন্বয় বলা হয়। এটি খেলাধুলায় এবং নৃত্য বা যোগব্যায়ামের মতো কার্যক্রমে বিশেষ প্রয়োজন।
(গ) শক্তি: শরীরের বিভিন্ন পেশী দ্রুত ও প্রবল শক্তির প্রয়োগ করতে সক্ষম হওয়ার গুণ হলো শক্তি। এটি ভারোত্তোলন বা ছোটা-লাফানোর মতো কার্যকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(ঘ) স্থিতিশীলতা: শরীরকে বিভিন্ন অবস্থানে ধরে রাখার দক্ষতাকে স্থিতিশীলতা বলা হয়। এটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উপসংহার: দক্ষতা সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার এই উপাদানগুলি ব্যক্তি ও খেলোয়াড়দের উচ্চ পর্যায়ের কর্মক্ষমতা অর্জনে সহায়ক।
4.নিউটনের প্রথম গতিসূত্রটি লেখো। খেলাধূলার উপর নিউটনের প্রথম গতিসূত্রের প্রয়োগ আলোচনা করো। 2 +5
উঃ 👉নিউটনের প্রথম গতিসূত্র:
নিউটনের প্রথম গতিসূত্র অনুযায়ী, একটি বস্তু তখনই বিশ্রামে থাকে বা একসঙ্গে একসমতল রেখায় গতিশীল থাকে যদি তার উপর কোনো বাহ্যিক বল ক্রিয়া না করে। অর্থাৎ, বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করা হলে বস্তুটি তার স্থিতি বা গতিশীল অবস্থা বজায় রাখে। এই সূত্রকে "জড়তার সূত্র" বলা হয়।
👉খেলাধূলায় নিউটনের প্রথম গতিসূত্রের প্রয়োগ:
(ক) ফুটবলে বলের স্থিতি এবং গতি: ফুটবল মাঠে বল যখন স্থির থাকে, এটি তখন পর্যন্ত বিশ্রামে থাকে যতক্ষণ না কোনো খেলোয়াড় তা লাথি মেরে চালিত করে। খেলোয়াড়ের প্রয়োগকৃত বলের কারণে বলটি গতি লাভ করে এবং একটি নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যায়।
(খ) ক্রিকেটে বল থ্রো করা: ক্রিকেটে বোলার যখন বলটি ছুড়ে দেয়, এটি গতিশীল হয় এবং বাতাস ও মাটির ঘর্ষণবল দ্বারা ধীরে ধীরে গতিশক্তি হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায় বা উইকেটরক্ষক বা ব্যাটসম্যানের কাছে পৌঁছায়। বাহ্যিক বল না থাকলে বলটি অব্যাহত গতিতে চলতে থাকত।
(গ) বক্সিং রিংয়ে পাঞ্চের প্রভাব: বক্সিংয়ে এক প্রতিপক্ষ অন্যের উপর পাঞ্চ প্রয়োগ করলে প্রতিপক্ষের শরীরের স্থিতি ভঙ্গ হয় এবং সে কিছুটা পিছিয়ে যায় বা ছিটকে পড়ে। এটি বাহ্যিক বলের প্রয়োগে স্থিতি পরিবর্তনের উদাহরণ।
(ঘ) বেসবলে বল থ্রো এবং ক্যাচ: বেসবল খেলায় প্লেয়ার যখন বল থ্রো করে, এটি নির্দিষ্ট গতি নিয়ে ছুটে চলে এবং ক্যাচারের হাতে ধরা না পড়া পর্যন্ত এটি অবিরত গতিশীল থাকে। বাহ্যিক বলের প্রয়োগ থামালে এটি স্থির হয়ে পড়ে।
উপসংহার: নিউটনের প্রথম গতিসূত্র খেলাধুলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য। বস্তু বা শরীরের অবস্থান বা গতি বজায় রাখা এবং বাহ্যিক বলের প্রয়োগের প্রভাব বুঝতে এই সূত্রটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নিউটনের প্রথম গতিসূত্র অনুযায়ী, একটি বস্তু তখনই বিশ্রামে থাকে বা একসঙ্গে একসমতল রেখায় গতিশীল থাকে যদি তার উপর কোনো বাহ্যিক বল ক্রিয়া না করে। অর্থাৎ, বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করা হলে বস্তুটি তার স্থিতি বা গতিশীল অবস্থা বজায় রাখে। এই সূত্রকে "জড়তার সূত্র" বলা হয়।
👉খেলাধূলায় নিউটনের প্রথম গতিসূত্রের প্রয়োগ:
(ক) ফুটবলে বলের স্থিতি এবং গতি: ফুটবল মাঠে বল যখন স্থির থাকে, এটি তখন পর্যন্ত বিশ্রামে থাকে যতক্ষণ না কোনো খেলোয়াড় তা লাথি মেরে চালিত করে। খেলোয়াড়ের প্রয়োগকৃত বলের কারণে বলটি গতি লাভ করে এবং একটি নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যায়।
(খ) ক্রিকেটে বল থ্রো করা: ক্রিকেটে বোলার যখন বলটি ছুড়ে দেয়, এটি গতিশীল হয় এবং বাতাস ও মাটির ঘর্ষণবল দ্বারা ধীরে ধীরে গতিশক্তি হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায় বা উইকেটরক্ষক বা ব্যাটসম্যানের কাছে পৌঁছায়। বাহ্যিক বল না থাকলে বলটি অব্যাহত গতিতে চলতে থাকত।
(গ) বক্সিং রিংয়ে পাঞ্চের প্রভাব: বক্সিংয়ে এক প্রতিপক্ষ অন্যের উপর পাঞ্চ প্রয়োগ করলে প্রতিপক্ষের শরীরের স্থিতি ভঙ্গ হয় এবং সে কিছুটা পিছিয়ে যায় বা ছিটকে পড়ে। এটি বাহ্যিক বলের প্রয়োগে স্থিতি পরিবর্তনের উদাহরণ।
(ঘ) বেসবলে বল থ্রো এবং ক্যাচ: বেসবল খেলায় প্লেয়ার যখন বল থ্রো করে, এটি নির্দিষ্ট গতি নিয়ে ছুটে চলে এবং ক্যাচারের হাতে ধরা না পড়া পর্যন্ত এটি অবিরত গতিশীল থাকে। বাহ্যিক বলের প্রয়োগ থামালে এটি স্থির হয়ে পড়ে।
উপসংহার: নিউটনের প্রথম গতিসূত্র খেলাধুলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য। বস্তু বা শরীরের অবস্থান বা গতি বজায় রাখা এবং বাহ্যিক বলের প্রয়োগের প্রভাব বুঝতে এই সূত্রটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
5.শ্বসনতন্ত্রের উপর ব্যায়ামের প্রভাবগুলি আলোচনা করো। 7
উঃ শ্বসনতন্ত্রের উপর ব্যায়ামের প্রভাবগুলি:
1. শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি ফুসফুসের দক্ষতা উন্নত করে, যার ফলে শরীর অধিক পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে সক্ষম হয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
2. ফুসফুসের দক্ষতা বৃদ্ধি: শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে ফুসফুসের বায়ু ধারণক্ষমতা বাড়ে, যা শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এর ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ আরও কার্যকরভাবে হয়।
3. অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি: ব্যায়ামের ফলে শ্বসনতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, যা কোষের শ্বসন প্রক্রিয়া এবং শক্তির উত্পাদনকে উদ্দীপ্ত করে। এর ফলে দেহের সারা দেহে শক্তি বিতরণে সহায়ক হয়।
4. শ্বসনতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
5. শ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ: ব্যায়াম শ্বাসের গতি এবং গভীরতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শ্বসনতন্ত্রের মেরুদণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
6. বৃদ্ধির হার কমানো: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। তবে নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রের অগ্রগতিকে ধীর করে এবং তার কার্যক্ষমতা উন্নত করে, ফলে জীবনের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
7. উচ্চতার সাথে মানিয়ে চলার ক্ষমতা: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা উচ্চতায় শ্বাস নিতে সাহায্য করে। এটি উচ্চতার সাথে মানিয়ে চলার ক্ষমতা এবং অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা উন্নত করে।
উপসংহার: শ্বসনতন্ত্রের উপর ব্যায়ামের প্রভাব অত্যন্ত ইতিবাচক। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের শ্বসনতন্ত্রকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।
1. শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি ফুসফুসের দক্ষতা উন্নত করে, যার ফলে শরীর অধিক পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে সক্ষম হয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
2. ফুসফুসের দক্ষতা বৃদ্ধি: শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে ফুসফুসের বায়ু ধারণক্ষমতা বাড়ে, যা শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এর ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ আরও কার্যকরভাবে হয়।
3. অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি: ব্যায়ামের ফলে শ্বসনতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, যা কোষের শ্বসন প্রক্রিয়া এবং শক্তির উত্পাদনকে উদ্দীপ্ত করে। এর ফলে দেহের সারা দেহে শক্তি বিতরণে সহায়ক হয়।
4. শ্বসনতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
5. শ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ: ব্যায়াম শ্বাসের গতি এবং গভীরতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শ্বসনতন্ত্রের মেরুদণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
6. বৃদ্ধির হার কমানো: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শ্বসনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। তবে নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রের অগ্রগতিকে ধীর করে এবং তার কার্যক্ষমতা উন্নত করে, ফলে জীবনের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
7. উচ্চতার সাথে মানিয়ে চলার ক্ষমতা: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বসনতন্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা উচ্চতায় শ্বাস নিতে সাহায্য করে। এটি উচ্চতার সাথে মানিয়ে চলার ক্ষমতা এবং অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা উন্নত করে।
উপসংহার: শ্বসনতন্ত্রের উপর ব্যায়ামের প্রভাব অত্যন্ত ইতিবাচক। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের শ্বসনতন্ত্রকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।
6.‘হাইপোকাইনেটিক' রোগ কাকে বলে ? কয়েকটি হাইপোকাইনেটিক রোগের নাম লেখো।মেদাধিক্যের কারণগুলি আলোচনা করো।1+2+4
উঃ 👉হাইপোকাইনেটিক রোগ কাকে বলে:
হাইপোকাইনেটিক রোগ হলো সেই ধরনের রোগ যা শারীরিক অশক্তি বা অল্প পরিমাণে শারীরিক কার্যকলাপের কারণে হয়। এই রোগগুলি সাধারণত শারীরিক অক্ষমতা, কম চালচলন, এবং সুস্থ জীবনধারার অভাবের ফলস্বরূপ দেখা দেয়। হাইপোকাইনেটিক রোগগুলি মানুষকে স্থূলকায়, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত করে।
👉কিছু হাইপোকাইনেটিক রোগের নাম:
(ক) হৃদরোগ
(খ) উচ্চ রক্তচাপ
(গ) টাইপ ২ ডায়াবেটিস
(ঘ) মেদাধিক্য
(ঙ) অস্টিওআরথ্রাইটিস
হাইপোকাইনেটিক রোগ হলো সেই ধরনের রোগ যা শারীরিক অশক্তি বা অল্প পরিমাণে শারীরিক কার্যকলাপের কারণে হয়। এই রোগগুলি সাধারণত শারীরিক অক্ষমতা, কম চালচলন, এবং সুস্থ জীবনধারার অভাবের ফলস্বরূপ দেখা দেয়। হাইপোকাইনেটিক রোগগুলি মানুষকে স্থূলকায়, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত করে।
👉কিছু হাইপোকাইনেটিক রোগের নাম:
(ক) হৃদরোগ
(খ) উচ্চ রক্তচাপ
(গ) টাইপ ২ ডায়াবেটিস
(ঘ) মেদাধিক্য
(ঙ) অস্টিওআরথ্রাইটিস
👉মেদাধিক্যের কারণগুলি:
(ক) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত তেল, চিনি এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়, যা মেদাধিক্য সৃষ্টি করে।
(খ) অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ: ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়, যা মেদ বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
(গ) জীবনযাত্রার অনিয়ম: অনিয়মিত জীবনযাত্রা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ এবং অবসাদও মেদাধিক্যের কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
(ঘ) জেনেটিক বা বংশগত কারণ: অনেক সময় বংশগতভাবে মেদাধিক্য হতে পারে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা এমন সমস্যায় আক্রান্ত থাকে।
(ঙ) হরমোনাল অস্বাস্থ্য: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা ইনসুলিন প্রতিরোধ, মেদাধিক্য সৃষ্টি করতে পারে।
উপসংহার: হাইপোকাইনেটিক রোগ এবং মেদাধিক্য আধুনিক জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপ মেনে চললে এই ধরনের রোগগুলি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
(ক) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত তেল, চিনি এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়, যা মেদাধিক্য সৃষ্টি করে।
(খ) অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ: ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়, যা মেদ বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
(গ) জীবনযাত্রার অনিয়ম: অনিয়মিত জীবনযাত্রা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ এবং অবসাদও মেদাধিক্যের কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
(ঘ) জেনেটিক বা বংশগত কারণ: অনেক সময় বংশগতভাবে মেদাধিক্য হতে পারে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা এমন সমস্যায় আক্রান্ত থাকে।
(ঙ) হরমোনাল অস্বাস্থ্য: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা ইনসুলিন প্রতিরোধ, মেদাধিক্য সৃষ্টি করতে পারে।
উপসংহার: হাইপোকাইনেটিক রোগ এবং মেদাধিক্য আধুনিক জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপ মেনে চললে এই ধরনের রোগগুলি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
7.‘প্রেষণা’ কাকে বলে ? ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা উল্লেখ করো। 2 +5
উঃ 👉প্রেষণা কাকে বলে:
প্রেষণা বলতে বোঝানো হয় কোনো কাজ বা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা বা অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া। এটি মানসিক বা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এক ধরনের উত্তেজনা বা উদ্দীপনা যা মানুষকে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে।
👉ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা:
(ক) মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনের জন্য খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেষণা তাদের আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল বাড়ায়, যা খেলার সময় তাদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
(খ) কর্মক্ষমতার উন্নতি: প্রেষণা খেলোয়াড়দের তাদের সর্বোচ্চ শক্তি এবং দক্ষতা প্রয়োগ করতে সহায়ক হয়। এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং আরও উন্নত ফলাফলের দিকে নিয়ে যায়।
(গ) তাড়না এবং উদ্যোগ সৃষ্টি: প্রেষণার মাধ্যমে খেলোয়াড়রা তাদের প্রশিক্ষণে আরও মনোযোগী হয় এবং ধারাবাহিক পরিশ্রম করতে উৎসাহী হয়। এটি তাদের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়ক।
(ঘ) মোটিভেশন এবং উদ্দীপনা: প্রেষণা খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা তাদের সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং নিবেদন করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি দলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব এবং শক্তির সঞ্চার করে।
(ঙ) চাপ সহ্য করার ক্ষমতা: ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চাপ বা উদ্বেগ সাধারণ, তবে প্রেষণা খেলোয়াড়দের চাপের মোকাবিলা করার ক্ষমতা উন্নত করে। এটি তাদের মনোবল শক্তিশালী করে এবং খেলার মধ্যে শিথিল হওয়ার সুযোগ দেয়।
উপসংহার: প্রেষণা ক্রীড়াক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিকভাবে উত্সাহিত করে, তাদের পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়ক হয় এবং সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় পরিশ্রমের দিকে পরিচালিত করে।
প্রেষণা বলতে বোঝানো হয় কোনো কাজ বা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা বা অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া। এটি মানসিক বা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এক ধরনের উত্তেজনা বা উদ্দীপনা যা মানুষকে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে।
👉ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা:
(ক) মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনের জন্য খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেষণা তাদের আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল বাড়ায়, যা খেলার সময় তাদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
(খ) কর্মক্ষমতার উন্নতি: প্রেষণা খেলোয়াড়দের তাদের সর্বোচ্চ শক্তি এবং দক্ষতা প্রয়োগ করতে সহায়ক হয়। এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং আরও উন্নত ফলাফলের দিকে নিয়ে যায়।
(গ) তাড়না এবং উদ্যোগ সৃষ্টি: প্রেষণার মাধ্যমে খেলোয়াড়রা তাদের প্রশিক্ষণে আরও মনোযোগী হয় এবং ধারাবাহিক পরিশ্রম করতে উৎসাহী হয়। এটি তাদের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়ক।
(ঘ) মোটিভেশন এবং উদ্দীপনা: প্রেষণা খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা তাদের সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং নিবেদন করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি দলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব এবং শক্তির সঞ্চার করে।
(ঙ) চাপ সহ্য করার ক্ষমতা: ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চাপ বা উদ্বেগ সাধারণ, তবে প্রেষণা খেলোয়াড়দের চাপের মোকাবিলা করার ক্ষমতা উন্নত করে। এটি তাদের মনোবল শক্তিশালী করে এবং খেলার মধ্যে শিথিল হওয়ার সুযোগ দেয়।
উপসংহার: প্রেষণা ক্রীড়াক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিকভাবে উত্সাহিত করে, তাদের পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়ক হয় এবং সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় পরিশ্রমের দিকে পরিচালিত করে।
8.‘প্রক্ষোভ' বা ‘আবেগ' কাকে বলে ? ' ক্যানন-বার্ড' তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করো ।2+5
উঃ 👉প্রক্ষোভ বা আবেগ কাকে বলে:
প্রক্ষোভ বা আবেগ হলো এক ধরনের মানসিক অবস্থা যা মানুষ তার অভ্যন্তরীণ অনুভূতি বা বাহ্যিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে অনুভব করে। এটি শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এবং একে 'ইমোশন' বা 'ফিলিং'ও বলা হয়। আবেগ মানুষের মনের গতি, আচরণ এবং সামাজিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
👉ক্যানন-বার্ড তত্ত্বটি ব্যাখ্যা:
ক্যানন-বার্ড তত্ত্ব, যা ‘দ্বৈত তত্ত্ব’ হিসেবে পরিচিত, আবেগ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত একটি তত্ত্ব। ১৯২৭ সালে উইলিয়াম ক্যানন এবং ফিলিপ বার্ড এটি প্রস্তাব করেন।
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, আবেগ এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলেও তারা একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে ঘটে। ক্যানন এবং বার্ড বলেছিলেন যে, একটি আবেগ অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরে একাধিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, পেশী শিথিলতা, শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন ইত্যাদি।
তবে, ক্যানন-বার্ড তত্ত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল যে, এই দুটি (আবেগ এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া) একসাথে ঘটে, কিন্তু সেগুলির জন্য পৃথক পৃথক মস্তিষ্কীয় কেন্দ্র দায়ী। এর মানে হলো, অনুভূতি (আবেগ) এবং শারীরিক পরিবর্তন একটি সময়ে ঘটে, কিন্তু তারা একে অপরকে প্রভাবিত করে না, বরং একে অপরের পাশাপাশি চলে।
এই তত্ত্বটি অঙ্গভঙ্গি এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সমন্বয়কে গুরুত্ব দেয়, যা পরবর্তীতে আবেগের সৃষ্টি ও প্রকাশের জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
উপসংহার: ক্যানন-বার্ড তত্ত্ব আবেগ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে এবং মনে করিয়ে দেয় যে, দুটি আলাদা প্রক্রিয়া হলেও তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করে।
প্রক্ষোভ বা আবেগ হলো এক ধরনের মানসিক অবস্থা যা মানুষ তার অভ্যন্তরীণ অনুভূতি বা বাহ্যিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে অনুভব করে। এটি শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এবং একে 'ইমোশন' বা 'ফিলিং'ও বলা হয়। আবেগ মানুষের মনের গতি, আচরণ এবং সামাজিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
👉ক্যানন-বার্ড তত্ত্বটি ব্যাখ্যা:
ক্যানন-বার্ড তত্ত্ব, যা ‘দ্বৈত তত্ত্ব’ হিসেবে পরিচিত, আবেগ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত একটি তত্ত্ব। ১৯২৭ সালে উইলিয়াম ক্যানন এবং ফিলিপ বার্ড এটি প্রস্তাব করেন।
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, আবেগ এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলেও তারা একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে ঘটে। ক্যানন এবং বার্ড বলেছিলেন যে, একটি আবেগ অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরে একাধিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, পেশী শিথিলতা, শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন ইত্যাদি।
তবে, ক্যানন-বার্ড তত্ত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল যে, এই দুটি (আবেগ এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া) একসাথে ঘটে, কিন্তু সেগুলির জন্য পৃথক পৃথক মস্তিষ্কীয় কেন্দ্র দায়ী। এর মানে হলো, অনুভূতি (আবেগ) এবং শারীরিক পরিবর্তন একটি সময়ে ঘটে, কিন্তু তারা একে অপরকে প্রভাবিত করে না, বরং একে অপরের পাশাপাশি চলে।
এই তত্ত্বটি অঙ্গভঙ্গি এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সমন্বয়কে গুরুত্ব দেয়, যা পরবর্তীতে আবেগের সৃষ্টি ও প্রকাশের জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
উপসংহার: ক্যানন-বার্ড তত্ত্ব আবেগ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে এবং মনে করিয়ে দেয় যে, দুটি আলাদা প্রক্রিয়া হলেও তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করে।
9.শীতলীকরণ কাকে বলে? শীতলীকরণ এর প্রয়োজনীয়তাগুলি আলোচনা করো।2+5
উঃ👉 খেলাধূলায় শীতলীকরণ কাকে বলে:
খেলাধূলায় শীতলীকরণ হলো শরীরকে ধীরে ধীরে বিশ্রাম এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একটি প্রক্রিয়া, যা সাধারণত ব্যায়াম বা খেলার পর করা হয়। শীতলীকরণের মাধ্যমে শরীরের হার্ট রেট, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, এবং পেশীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসে।
👉শীতলীকরণের প্রয়োজনীয়তাগুলি:
(ক) হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণ: খেলাধূলা বা ব্যায়ামের সময় হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা শীতলীকরণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং শরীরকে অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত করে।
(খ) পেশীর শিথিলতা: খেলার পর পেশী অনেক সময় শক্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শীতলীকরণের ফলে পেশীগুলি শিথিল হয় এবং পেশীর ব্যথা বা শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
(গ) রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি: শীতলীকরণ ধীরে ধীরে রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে, যাতে শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ক্লান্তি কমে।
(ঘ) দুর্ঘটনা প্রতিরোধ: শীতলীকরণ না করলে পেশী সংকোচনজনিত আঘাত বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। শীতলীকরণের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমে এবং খেলোয়াড়রা সুরক্ষিত থাকে।
(ঙ) মানসিক স্বস্তি প্রদান: শীতলীকরণের মাধ্যমে মন ও শরীর ধীরে ধীরে শান্ত হয়, যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে শিথিলতা আনে।
উপসংহার: খেলাধূলায় শীতলীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরকে পুনরুদ্ধার করে, পেশীকে রক্ষা করে, এবং খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
খেলাধূলায় শীতলীকরণ হলো শরীরকে ধীরে ধীরে বিশ্রাম এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একটি প্রক্রিয়া, যা সাধারণত ব্যায়াম বা খেলার পর করা হয়। শীতলীকরণের মাধ্যমে শরীরের হার্ট রেট, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, এবং পেশীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসে।
👉শীতলীকরণের প্রয়োজনীয়তাগুলি:
(ক) হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণ: খেলাধূলা বা ব্যায়ামের সময় হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা শীতলীকরণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং শরীরকে অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত করে।
(খ) পেশীর শিথিলতা: খেলার পর পেশী অনেক সময় শক্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শীতলীকরণের ফলে পেশীগুলি শিথিল হয় এবং পেশীর ব্যথা বা শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
(গ) রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি: শীতলীকরণ ধীরে ধীরে রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে, যাতে শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ক্লান্তি কমে।
(ঘ) দুর্ঘটনা প্রতিরোধ: শীতলীকরণ না করলে পেশী সংকোচনজনিত আঘাত বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। শীতলীকরণের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমে এবং খেলোয়াড়রা সুরক্ষিত থাকে।
(ঙ) মানসিক স্বস্তি প্রদান: শীতলীকরণের মাধ্যমে মন ও শরীর ধীরে ধীরে শান্ত হয়, যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে শিথিলতা আনে।
উপসংহার: খেলাধূলায় শীতলীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরকে পুনরুদ্ধার করে, পেশীকে রক্ষা করে, এবং খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
10.বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে? বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে মেয়েদের আকাঙ্খা বা চাহিদাগুলো আলোচনা করো।2+5
উঃ 👉বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে:
বয়ঃসন্ধিকাল হলো শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকাল, যা সাধারণত ১২ থেকে ১৯ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে। এই সময়ে শারীরিক, মানসিক, এবং মানসিক পরিপক্বতা আসে। এই সময়ে শরীরে বিভিন্ন হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে, যা ব্যক্তির আচরণ, মানসিকতা এবং সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে।
👉বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের আকাঙ্খা বা চাহিদাগুলো:
(ক) স্বাধীনতা অর্জনের ইচ্ছা: এই সময়ে ছেলেমেয়েরা নিজেদের স্বাধীনভাবে চলতে ও সিদ্ধান্ত নিতে চায়। পরিবার ও সমাজে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা কামনা করে।
(খ) সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা: এই সময়ে ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা চায় এবং তাদের কাছ থেকে সমর্থন পেতে চায়। তারা বন্ধুদের কাছে ভালোভাবে মিশতে এবং মানিয়ে নিতে চায়।
(গ) আত্মবিশ্বাস এবং সম্মান: বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা আত্মবিশ্বাসী হতে চায় এবং নিজের প্রতি সম্মান এবং গুরুত্ব প্রত্যাশা করে। তারা নিজের মানসিকতা ও সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
(ঘ) শারীরিক পরিবর্তনের উপলব্ধি: এই সময়ে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে, যেমন উচ্চতা বৃদ্ধি, মুখমণ্ডলে লোমের বৃদ্ধি, এবং কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন। ছেলেমেয়েরা এসব পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হয় এবং নিজের চেহারা ও শারীরিক গঠনের প্রতি আগ্রহী হয়।
(ঙ) ভবিষ্যতের প্রতি আগ্রহ: বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বপ্ন পূরণে আগ্রহী হয়। এই সময়ে তারা ক্যারিয়ার বা জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে চিন্তা করে।
(চ) আবেগীয় সমর্থন ও ভালোবাসা: এই সময়ে ছেলেমেয়েরা আবেগীয় সমর্থন ও ভালোবাসা প্রত্যাশা করে, বিশেষ করে পরিবার থেকে। তারা নিজেদের অনুভূতি ভাগ করতে ও নিরাপত্তা পেতে চায়।
উপসংহার: বয়ঃসন্ধিকাল একটি সংবেদনশীল সময়, যখন ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এই সময়ে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা, সমর্থন, এবং যত্ন প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের ব্যক্তিত্বের গঠনে সহায়ক হয়।
বয়ঃসন্ধিকাল হলো শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকাল, যা সাধারণত ১২ থেকে ১৯ বছর বয়সের মধ্যে ঘটে। এই সময়ে শারীরিক, মানসিক, এবং মানসিক পরিপক্বতা আসে। এই সময়ে শরীরে বিভিন্ন হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘটে, যা ব্যক্তির আচরণ, মানসিকতা এবং সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে।
👉বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের আকাঙ্খা বা চাহিদাগুলো:
(ক) স্বাধীনতা অর্জনের ইচ্ছা: এই সময়ে ছেলেমেয়েরা নিজেদের স্বাধীনভাবে চলতে ও সিদ্ধান্ত নিতে চায়। পরিবার ও সমাজে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা কামনা করে।
(খ) সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা: এই সময়ে ছেলেমেয়েরা বন্ধুদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা চায় এবং তাদের কাছ থেকে সমর্থন পেতে চায়। তারা বন্ধুদের কাছে ভালোভাবে মিশতে এবং মানিয়ে নিতে চায়।
(গ) আত্মবিশ্বাস এবং সম্মান: বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা আত্মবিশ্বাসী হতে চায় এবং নিজের প্রতি সম্মান এবং গুরুত্ব প্রত্যাশা করে। তারা নিজের মানসিকতা ও সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
(ঘ) শারীরিক পরিবর্তনের উপলব্ধি: এই সময়ে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে, যেমন উচ্চতা বৃদ্ধি, মুখমণ্ডলে লোমের বৃদ্ধি, এবং কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন। ছেলেমেয়েরা এসব পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হয় এবং নিজের চেহারা ও শারীরিক গঠনের প্রতি আগ্রহী হয়।
(ঙ) ভবিষ্যতের প্রতি আগ্রহ: বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বপ্ন পূরণে আগ্রহী হয়। এই সময়ে তারা ক্যারিয়ার বা জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে চিন্তা করে।
(চ) আবেগীয় সমর্থন ও ভালোবাসা: এই সময়ে ছেলেমেয়েরা আবেগীয় সমর্থন ও ভালোবাসা প্রত্যাশা করে, বিশেষ করে পরিবার থেকে। তারা নিজেদের অনুভূতি ভাগ করতে ও নিরাপত্তা পেতে চায়।
উপসংহার: বয়ঃসন্ধিকাল একটি সংবেদনশীল সময়, যখন ছেলেমেয়েরা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এই সময়ে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা, সমর্থন, এবং যত্ন প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের ব্যক্তিত্বের গঠনে সহায়ক হয়।
11.‘প্রাণায়াম' কী ? ‘অষ্টাঙ্গ’ যোগের ধাপগুলির নাম লেখো। দৈনন্দিন জীবনে যোগাভ্যাসের উপকারিতা সম্বন্ধে যা জানো লেখো।1+2+4
উঃ 👉প্রাণায়াম কী:
প্রাণায়াম হলো শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রক্রিয়া, যা যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। 'প্রাণায়াম' শব্দটি মূলত দুটি সংস্কৃত শব্দ 'প্রাণ' (জীবনশক্তি) এবং 'আয়াম' (নিয়ন্ত্রণ) থেকে এসেছে। প্রাণায়ামের মাধ্যমে শ্বাসের নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা শারীরিক এবং মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সহায়ক।
👉অষ্টাঙ্গ যোগের ধাপগুলি:
অষ্টাঙ্গ যোগের আটটি ধাপ নিম্নরূপ:
(ক) যম: নিয়মাবলী বা নৈতিক আচরণ
(খ) নিয়ম: ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা
(গ) আসন: শারীরিক ভঙ্গি বা আসন
(ঘ) প্রাণায়াম: শ্বাস নিয়ন্ত্রণ
(ঙ) প্রত্যাহার: ইন্দ্রিয় সংযম
(চ) ধারণা: মনোসংযোগ
(ছ) ধ্যান: গভীর ধ্যান
(জ) সমাধি: আত্মার মুক্তি বা আত্মজ্ঞান
👉দৈনন্দিন জীবনে যোগাভ্যাসের উপকারিতা:
(ক) শারীরিক সুস্থতা: নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে দেহের নমনীয়তা, পেশীর শক্তি, এবং ভারসাম্য বৃদ্ধি পায়। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শারীরিক স্থিতি বজায় রাখতে সহায়ক।
(খ) মানসিক স্বস্তি: যোগাভ্যাস মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান ও প্রাণায়াম মনের প্রশান্তি আনে এবং মনকে সুসংগঠিত করে।
(গ) সাহস এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: নিয়মিত যোগাভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং মনকে দৃঢ় করে, যা দৈনন্দিন জীবনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।
(ঘ) সামগ্রিক জীবনযাত্রার উন্নতি: যোগ জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। এটি নিয়মিত অভ্যাস করলে জীবনযাপনে শৃঙ্খলা এবং স্থিরতা আসে, যা সুস্থ ও সফল জীবনযাপনে সহায়ক।
উপসংহার: যোগাভ্যাস শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশেও সহায়ক। এটি স্বাস্থ্যকর, সুস্থ এবং আনন্দময় জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।
প্রাণায়াম হলো শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রক্রিয়া, যা যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। 'প্রাণায়াম' শব্দটি মূলত দুটি সংস্কৃত শব্দ 'প্রাণ' (জীবনশক্তি) এবং 'আয়াম' (নিয়ন্ত্রণ) থেকে এসেছে। প্রাণায়ামের মাধ্যমে শ্বাসের নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা শারীরিক এবং মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সহায়ক।
👉অষ্টাঙ্গ যোগের ধাপগুলি:
অষ্টাঙ্গ যোগের আটটি ধাপ নিম্নরূপ:
(ক) যম: নিয়মাবলী বা নৈতিক আচরণ
(খ) নিয়ম: ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা
(গ) আসন: শারীরিক ভঙ্গি বা আসন
(ঘ) প্রাণায়াম: শ্বাস নিয়ন্ত্রণ
(ঙ) প্রত্যাহার: ইন্দ্রিয় সংযম
(চ) ধারণা: মনোসংযোগ
(ছ) ধ্যান: গভীর ধ্যান
(জ) সমাধি: আত্মার মুক্তি বা আত্মজ্ঞান
👉দৈনন্দিন জীবনে যোগাভ্যাসের উপকারিতা:
(ক) শারীরিক সুস্থতা: নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে দেহের নমনীয়তা, পেশীর শক্তি, এবং ভারসাম্য বৃদ্ধি পায়। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শারীরিক স্থিতি বজায় রাখতে সহায়ক।
(খ) মানসিক স্বস্তি: যোগাভ্যাস মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ধ্যান ও প্রাণায়াম মনের প্রশান্তি আনে এবং মনকে সুসংগঠিত করে।
(গ) সাহস এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: নিয়মিত যোগাভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং মনকে দৃঢ় করে, যা দৈনন্দিন জীবনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।
(ঘ) সামগ্রিক জীবনযাত্রার উন্নতি: যোগ জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। এটি নিয়মিত অভ্যাস করলে জীবনযাপনে শৃঙ্খলা এবং স্থিরতা আসে, যা সুস্থ ও সফল জীবনযাপনে সহায়ক।
উপসংহার: যোগাভ্যাস শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশেও সহায়ক। এটি স্বাস্থ্যকর, সুস্থ এবং আনন্দময় জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।
12.‘উম্মীকরণ' বা ‘গা-গরম' কাকে বলে ? উম্মীকরণের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।2+5
উঃ 👉উম্মীকরণ বা গা-গরম কাকে বলে:
উম্মীকরণ বা গা-গরম হলো ব্যায়াম বা খেলাধুলার আগে শরীরকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া, যাতে পেশী, হাড় ও জয়েন্টগুলো খেলাধুলার জন্য সঠিক অবস্থায় আসে। এটি সাধারণত হালকা দৌড়, স্ট্রেচিং এবং শ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করা হয়, যা পেশী ও সংযোগস্থলগুলিকে কার্যকরী করে তোলে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য শরীরকে সঠিক প্রস্তুতি দেয়।
👉উম্মীকরণের প্রয়োজনীয়তা:
(ক) পেশীর নমনীয়তা বৃদ্ধি: উম্মীকরণ পেশীগুলিকে উষ্ণ এবং নমনীয় করে তোলে, যা খেলাধুলায় চোট-আঘাতের সম্ভাবনা কমায়।
(খ) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: এটি রক্তপ্রবাহকে সক্রিয় করে, যা পেশীগুলিকে আরও শক্তিশালী করে এবং ব্যায়ামের সময় সঠিক শক্তি সরবরাহে সহায়ক হয়।
(গ) হৃদযন্ত্রের প্রস্তুতি: গা-গরম করলে হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে বাড়ে, যা হার্টকে ক্রিয়াশীল করে এবং হঠাৎ অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা করে।
(ঘ) মনের প্রস্তুতি: এটি মানসিকভাবে শরীরকে প্রস্তুত করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যা খেলাধুলায় আরও ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।
উপসংহার: উম্মীকরণ শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতির জন্য অপরিহার্য, যা শারীরিক কার্যকলাপের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
উম্মীকরণ বা গা-গরম হলো ব্যায়াম বা খেলাধুলার আগে শরীরকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া, যাতে পেশী, হাড় ও জয়েন্টগুলো খেলাধুলার জন্য সঠিক অবস্থায় আসে। এটি সাধারণত হালকা দৌড়, স্ট্রেচিং এবং শ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করা হয়, যা পেশী ও সংযোগস্থলগুলিকে কার্যকরী করে তোলে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য শরীরকে সঠিক প্রস্তুতি দেয়।
👉উম্মীকরণের প্রয়োজনীয়তা:
(ক) পেশীর নমনীয়তা বৃদ্ধি: উম্মীকরণ পেশীগুলিকে উষ্ণ এবং নমনীয় করে তোলে, যা খেলাধুলায় চোট-আঘাতের সম্ভাবনা কমায়।
(খ) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: এটি রক্তপ্রবাহকে সক্রিয় করে, যা পেশীগুলিকে আরও শক্তিশালী করে এবং ব্যায়ামের সময় সঠিক শক্তি সরবরাহে সহায়ক হয়।
(গ) হৃদযন্ত্রের প্রস্তুতি: গা-গরম করলে হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে বাড়ে, যা হার্টকে ক্রিয়াশীল করে এবং হঠাৎ অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা করে।
(ঘ) মনের প্রস্তুতি: এটি মানসিকভাবে শরীরকে প্রস্তুত করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যা খেলাধুলায় আরও ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।
উপসংহার: উম্মীকরণ শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতির জন্য অপরিহার্য, যা শারীরিক কার্যকলাপের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।