🌹বি.এ সেমিস্টার-২: বাংলা SEC-2: সাজেশন(উত্তরসহ):পার্ট-১🌹

📚বি.এ সেমিস্টার-২: বাংলা SEC-2: সাজেশন(উত্তরসহ):পার্ট-১📚

 

✍️প্রশ্নমান-২:

 

 1. পত্র কাকে বলে? 
   উত্তর : পরস্পরের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের জন্য মানুষ যখন লেখ্যরূপকে ব্যবহার করে, তাকেই পত্র বলে।

2. পত্র কয় প্রকার ও কী কী?  
   উত্তর : পত্র তিন প্রকার। (১) ব্যক্তিগত পত্র, (২) সামাজিক পত্র, (৩) প্রাতিষ্ঠানিক পত্র।

3. প্রাতিষ্ঠানিক পত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।  
   উত্তর : কোনো ব্যক্তি সরকারি বিভাগকে কিংবা প্রতিষ্ঠান বিশেষকে অথবা এক প্রতিষ্ঠান যখন অন্য প্রতিষ্ঠানকে পত্র লেখে, তখন সেই পত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক পত্র বলে। যেমন: অধ্যক্ষের নিকট ছাত্রের পত্র।

4. প্রাতিষ্ঠানিক পত্র কয় প্রকার ও কী কী?  
   উত্তর : প্রাতিষ্ঠানিক পত্র দুই প্রকার। (১) বাণিজ্যিক পত্র, (২) ব্যবহারিক পত্র।

5. প্রতিষ্ঠানিক পত্র কয় প্রকার ও কী কী?  
   উত্তর : (১) শিরোনাম, (২) অন্তবর্তী ঠিকানা, (৩) পূর্ব সূত্র, (৪) সম্ভাষণ, (৫) বিষয়বস্তু, (৬) বিদায় ভাষণ, (৭) স্বাক্ষর, (৮) প্রেরকের ঠিকানা ও তারিখ, (৯) ক্রোড়পত্র।

6. প্রাতিষ্ঠানিক পত্র ও ব্যক্তিগত পত্রের মধ্যে পার্থক্য লেখ।  
   উত্তর : প্রাতিষ্ঠানিক পত্র কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কোনো পক্ষ থেকে লেখা হয়। এখানে বিশেষ রীতি মেনে কেবল দরকারী কথাবার্তা লেখা হয়। ব্যক্তিগত পত্রে ব্যক্তিগত আবেগবহুল আলাপচারিতা লেখা হয়।

7. বিদায় সম্ভাষণ কাকে বলে?  
   উত্তর : প্রাতিষ্ঠানিক পত্রের শেষে মূল পত্র শেষ করবার পর পত্র লেখক আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার জন্য যে সকল শব্দ ব্যবহার করে থাকেন, তাকে বলা হয় বিদায় সম্ভাষণ।

8. প্রাতিষ্ঠানিক পত্রের পত্র বিষয় সূচনায় উল্লেখ করতে হয় কেন?  
   উত্তর : প্রাতিষ্ঠানিক পত্র যাদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়, তারা কর্মব্যস্ত হতে পারেন। তাদের বুঝতে সুবিধার জন্য এবং সময় সংক্ষেপ করতে পত্রের মূল বিষয়টিকে সংক্ষেপে বলে দিতে হয়।

9. ব্যবহারিক পত্র কাকে বলে?  
   উত্তর : ব্যবহারিক জীবনের প্রয়োজনে যে সব পত্র লেখা হয়, সেই সব পত্রকে ব্যবহারিক পত্র বলে। যেমন- বিভিন্ন জায়গায় লেখা আবেদন পত্র।

10. পূর্বসূত্র কাকে বলে?  
    উত্তর : যে বা যে প্রতিষ্ঠান পত্র লেখে, সেই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠির পূর্ব সূত্রে সংকেত ও তারিখ উল্লেখ হওয়ার নাম পূর্ব সূত্র।

11. আধুনিক যুগে চিঠির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে কেন?  
    উত্তর : আধুনিক যুগ উন্নততর প্রযুক্তির যুগ। টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ই-মেল প্রভৃতির কারণে চিঠির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে।

12. প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : সংবাদপত্রে প্রকাশিত বা যে কোনো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্যে কোনো ঘটনা বা বিষয়বস্তুকে যখন ভাষ্যরূপ দেওয়া হয়, যাতে বিভিন্ন তথ্য বা তত্ত্বকে পরিবেশন করা হয়, তাকে প্রতিবেদন বলে।

13. একটি প্রতিবেদনে কয়টি অংশ থাকে ও কী কী?  
   উত্তর : একটি আদর্শ প্রতিবেদনে সাধারণত ৪টি অংশ থাকে। যথাঃ—(১) শিরোনাম, (২) প্রতিবেদকের নাম, (৩) স্থান, তারিখ, (৪) বিষয়বস্তু।

14. প্রতিবেদন সাধারণত কয় প্রকার হতে পারে ও কী কী?  
   উত্তর : প্রতিবেদন চার প্রকারের হতে পারে। যথাঃ (১) নাটকীয়, (২) সাহিত্যধর্মী, (৩) বিশ্লেষণধর্মী, (৪) সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন।

15. পরিবেশনগত দিক দিয়ে প্রতিবেদনকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?  
   উত্তর : প্রতিবেদন পরিবেশনগত দিক দিয়ে ৬ প্রকার হতে পারে। যথাঃ (১) বস্তুধর্মী প্রতিবেদন, (২) তত্ত্বধর্মী প্রতিবেদন, (৩) মানবিক প্রতিবেদন, (৪) তদন্তমূলক প্রতিবেদন, (৫) উন্নয়নধর্মী প্রতিবেদন, (৬) ফিচারধর্মী প্রতিবেদন।

16. একটি প্রতিবেদনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?  
   উত্তর : একটি প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—  
   (১) সংহত,  
   (২) ভাষারীতি সহজ সরল চলিত রীতি,  
   (৩) ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য,  
   (৪) লোকমান্য প্রচলিত শব্দের ব্যবহার,  
   (৫) প্রতিবেদন থাকবে নিরপেক্ষ,  
   (৬) যুক্তিযুক্ত,  
   (৭) পরিমিতিবোধ,  
   (৮) অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ।

17. বস্তুধর্মী প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : যে প্রতিবেদন ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিখিত হয় এবং বিষয়বস্তুগত প্রাধান্য থাকে, তাকে বস্তুধর্মী প্রতিবেদন বলে।

18. মানবিক প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : যে প্রতিবেদনে মানবকল্যাণ বিষয়ক ভাবনা প্রাধান্য পায়, তাকে মানবিক প্রতিবেদন বলে।

19. তদন্তমূলক প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : যে প্রতিবেদনে অনুসন্ধানের মাধ্যমে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয় বা সত্যকে প্রকাশ করা হয়, তাকে তদন্তমূলক প্রতিবেদন বলে।

20. উন্নয়নধর্মী প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : যে প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন তথ্য পরিবেশিত হয়, তাকে উন্নয়নধর্মী প্রতিবেদন বলে।

21. ফিচারধর্মী প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : যে প্রতিবেদনে কাহিনীর আকারে বিভিন্ন তথ্য পরিবেশিত হয় ও বিশ্লেষণধর্মীতা থাকে, তাকে ফিচারধর্মী প্রতিবেদন বলে।

22. সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : যে প্রতিবেদনে একবার পরিবেশিত সংবাদকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয়, তাকে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন বলে।

23. প্রতিবেদনের ভাষা কেমন হওয়া প্রয়োজন?  
   উত্তর : প্রতিবেদনের ভাষা সর্বজনবোধ্য ও মৌখিক ভাষা হওয়া উচিত।

24. প্রতিবেদন ও গল্পের পার্থক্য কী?  
   উত্তর : প্রতিবেদন তথ্য ও বর্ননামূলক; আর গল্প ভাবমূলক।

25. প্রতিবেদনের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?  
   উত্তর : প্রতিবেদনের ভাষা সহজ বোধগম্য হওয়া উচিত।

26. পরিবেশগত দিক দিয়ে প্রতিবেদনকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?  
   উত্তর : পরিবেশগত দিক দিয়ে প্রতিবেদনকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়।

27. বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন কাকে বলে?  
   উত্তর : বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তাকেই বলা হয় যে সংবাদে ঘটনার নিরপেক্ষতা প্রকাশ পায় বা ঘটনার নিরপেক্ষ বিবরণ প্রকাশিত হয়।

28. একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম কেমন হওয়া উচিত?  
   উত্তর : একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম হবে সংক্ষিপ্ত অথচ আকর্ষণীয়, যার মধ্যে বিষয়বস্তুর সম্পৃক্ততা নিহীত থাকবে।

29. একটি ভালো প্রতিবেদন কখন হবে?  
   উত্তর : একটি ভালো প্রতিবেদন সবসময় তথ্য সমৃদ্ধ ও নিরপেক্ষ হবে।

30. কোনো প্রতিবেদন রচনার সময় একজন সাংবাদিককে কোন্ কোন্ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে?  
   উত্তর : প্রতিবেদন রচনার সময় সাংবাদিককে প্রথমেই দৃষ্টি রাখতে হবে প্রতিবেদনটি সত্য এবং বাস্তবসম্পন্ন হবে। আর হবে সর্বজনের বোধগম্য, সরল এবং সংক্ষিপ্ত।

31. একটি প্রতিবেদন রচনার সময় প্রতিবেদক প্রথমেই কোন বিষয়টি উল্লেখ করবেন?  
   উত্তর : একটি উপযুক্ত শিরোনাম।

32. বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম কী হবে?  
   উত্তর : বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের জন্মদিবস।

33. 'মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি' সংক্রান্ত প্রতিবেদন কোন ধরনের প্রতিবেদন?  
   উত্তর : এটি একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদন।

34. কারা সাধারণ প্রতিবেদক?  
   উত্তর : মফঃস্বল শহর, অজ গঞ্জ-গ্রামের খবর সংগ্রহের জন্য যে সব প্রতিবেদক কাজ করেন তাঁরা সাধারণ প্রতিবেদক নামে পরিচিত।

35. সাধারণ প্রতিবেদকের কাজ কী?  
   উত্তর : বিশাল দেশের কোথায় কী ঘটছে, সে সব খবর সাধারণ প্রতিবেদকরাই সংগ্রহ করেন। সংবাদ মাধ্যমে এদের সংখ্যাই বেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতা এদের কম।

36. প্রতিবেদক ক'ধরনের এবং কী কী?  
   উত্তর : প্রতিবেদক সাধারণতঃ চার প্রকারের। যথা—  
   (ক) প্রধান প্রতিবেদক,  
   (খ) বিশেষ প্রতিবেদক,  
   (গ) সাধারণ প্রতিবেদক,  
   (ঘ) শিক্ষানবীশ প্রতিবেদক।

37. রিপোর্টাজ কী?  
   উত্তর : ‘রিপোর্টাজ' শব্দটি খরানী শব্দ ভান্ডারের অন্তর্গত। এক বিশেষ শৈলিতে প্রতিবেদন রচনাকেই রিপোর্টাজ বলা হয়।

38. রিপোর্ট ও রিপোর্টাজের মধ্যে পার্থক্য কী?  
   উত্তর : রিপোর্ট ও রিপোর্টারের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল—প্রথমত শৈলিগত, দ্বিতীয়ত, রিপোর্টের মধ্যে গুণগত ও মানগত। ঘটে যাওয়া তথ্য যুক্ত সংবাদ কে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন বলে। আর যে প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব রচনাশৈলী, দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভবযুক্ত হয়ে রিপোর্টকে আস্বাদ্য করে তোলে, তাকে রিপোর্টাজ বলে।

39. রিপোর্টাজকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?  
   উত্তর : রিপোর্টাজকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :  
   (ক) সম্পাদকীয় রিপোর্টাজ,  
   (খ) সংক্ষিপ্ত রিপোর্টাজ,  
   (গ) সাক্ষাৎকারভিত্তিক রিপোর্টাজ,  
   (ঘ) সংবাদভিত্তিক রিপোর্টাজ,  
   (ঙ) বিজ্ঞাপনী রিপোর্টাজ।

40. 'নিজস্ব সংবাদদাতা' কথাটির অর্থ কী?  
   উত্তর : কোনো সংবাদপত্র বা মিডিয়ার নিজস্ব সংবাদদাতা বা সাংবাদিককে ‘নিজস্ব সংবাদদাতা' বলে।

41. ‘PTI’ এর পুরো নাম কী?  
   উত্তর : Press Trust of India।

42. PTI এর কাজ কী?  
   উত্তর : বিভিন্ন সংবাদপত্রকে সংবাদ বিক্রি করা।

43. একজন সাংবাদিকের কোন্ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা অনুচিত?  
   উত্তর : একজন সাংবাদিকের অসত্য, সাম্প্রদায়িক এবং দেশের পক্ষে ক্ষতি হয় এমন ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা অবশ্যই অনুচিত।

44. শিক্ষানবীশ প্রতিবেদক বলতে কী বোঝ?  
   উত্তর : শিক্ষানবীশ প্রতিবেদক হল একেবারে নীচুস্তরের সাংবাদিক। সংবাদ কীভাবে সংগ্রহ করতে হয়, কীভাবেই বা প্রতিবেদন লিখতে হয়—এসব তারা শেখে তখন।

45. কোন ধরনের সাংবাদিকতা সাংবাদিক পেশার আদর্শ বিরোধী?  
   উত্তর : হলুদ সাংবাদিকতা।

46. প্রধান প্রতিবেদক কাকে বলে? তার কাজ কী?  
   উত্তর : যিনি প্রতিবেদন বিভাগের দায়িত্বে থাকেন তাঁকেই প্রধান প্রতিবেদক বলে। তার দায়িত্ব হল প্রতিবেদন বিভাগটি পরিচালনা করা।

47. সংবাদমূলক প্রতিবেদনের ক'টি অংশ থাকে ও কী কী?  
   উত্তর : তিনটি অংশ থাকে। যথা—  
   (ক) শিরোনাম বা শীর্ষনাম,  
   (খ) প্রথম বা প্রধান অনুচ্ছেদ,  
   (গ) প্রধান অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ।

48. বিশেষ প্রতিবেদন রচনার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।  
   উত্তর : বিশেষ প্রতিবেদন রচনা প্রধানর বৈশিষ্ট্য হল—  
   (১) অপ্রাসঙ্গিক তথ্য পরিবর্জন করতে হবে।  
   (২) বক্তব্যের আকর্ষণীয় উপস্থাপন হবে।  
   (৩) সরল-প্রাঞ্জল ও কথ্যচলিত ভাষায় প্রতিবেদন রচনা করতে হবে।  
   (৪) সংবাদ পরিবেশন কালে ব্যক্তিগত ভাবাবেগ থাকবে না।  
   (৫) নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।

49. ভাবার্থ কী?  
   উত্তর : কবিতা বা গদ্য থেকে দেওয়া অনুচ্ছেদ বা পরিচ্ছেদ বিশেষকে তার ভাব অনুসারে সহজ, সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় সংক্ষেপে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে ভাবার্থ বলে।  

50. ভাবার্থের দুটি শর্ত উল্লেখ কর।  
   উত্তর : ভাবার্থের দু'টি শর্ত হল—  
   (১) ভাবার্থে প্রত্যক্ষ উক্তি পরিত্যাগ করে পরোক্ষ উক্তি ব্যবহার করতে হয়।  
   (২) মূল বিষয়টিকে অনুধাবন করে সংক্ষেপে ভাব অনুসারী বক্তব্যটি পেশ করতে হয়।

51. ভাবার্থ ও ভাবসম্প্রসারণের দুটি পার্থক্য লেখ।  
   উত্তর :  
   (১) একটি বড় অনুচ্ছেদকে সংক্ষেপে তুলে ধরা ভাবার্থ, যেখানে কিছু ভাবসম্প্রসারণে একটি ছোটো বা সংক্ষিপ্ত অংশকে বড় আকারে ভাবের সম্প্রসারণ ঘটানো হয়।  
   (২) ভাবার্থ প্রকাশে বাইরের কোনো উপমা স্থান পায় না, কিন্তু ভাবসম্প্রসারণে বাইরের উপমা দেওয়া যেতে পারে ভাবকে প্রকাশ করতে।

52. ভাবার্থ লেখার ভাষা কেমন হওয়া উচিত বলে তুমি মনে কর?  
   উত্তর : ভাবার্থ লেখার ভাষা যতটা সম্ভব সহজ, সরল, প্রাঞ্জল এবং শিল্পীত হওয়া বাঞ্ছনীয়, যাতে সহজ বোধগম্য হতে পারে।

53. ভাবার্থ লেখো - মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।  
   উত্তর : এই সৌন্দর্যে ভরা জগৎ ছেড়ে পরলোকে গমন না করে মানুষের মাঝে থেকে আনন্দলাভ করা উচিত।

54. ভাবার্থ লেখো— বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা।  
   উত্তর : অচেনার আনন্দ পেতে চায় মানুষ। সেই উদ্দেশ্যে বহু অর্থ-ব্যয় করে দেশ দেশান্তরের নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র দেখতে বেরোয়।

55. ভাবসম্প্রসারণ বলতে কী বোঝ?  
উত্তর: সংক্ষিপ্ত, ক্ষুদ্র পরিসরে লুকিয়ে থাকা কোনো গূঢ় ভাবকে সম্প্রসারিত করে সুন্দর, সহজ, সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় প্রকাশ করার যে শিল্পীত রূপ, রীতি বা প্রকরণ তাকেই ভাবসম্প্রসারণ বলা যেতে পারে।  

56. ভাবসম্প্রসারণের দুটি শর্তের উল্লেখ কর।  
উত্তর: ভাবসম্প্রসারণের দুটি শর্ত হল:  
১. উপমা, রূপকের গূঢ় আবরণে থাকা ভাবকে সহজ ভাষায় বিশ্লেষিত রূপে প্রকাশ করা।  
২. বিশ্লেষিত বিষয়ের মধ্য দিয়ে যেন মূল সংক্ষিপ্ত অংশটির অর্থ বজায় থাকে।  

57. ভাবসম্প্রসারণের ভাষা কেমন হওয়া উচিত বলে তুমি মনে কর?  
উত্তর: ভাবসম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ভাষাকে সরল, সহজ বোধগম্য হয় এমন, প্রাঞ্জল ভাষায় হওয়া উচিত। সাধু চলিতের সংমিশ্রিত 'গুরু চণ্ডালী দোষ' পরিহার করা দরকার।  

58. ভাবসম্প্রসারণ কর—জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।  
উত্তর: জীবকূলের সৃষ্টি ঈশ্বরের হাতে। মানুষ সেবা করে ঈশ্বরের। কিন্তু জীব জানে না ঈশ্বরের অবস্থান কোথায়। ঈশ্বর থাকেন প্রতিটি মানুষের মধ্যে, অনলে, অনীলে, ধূলায়। তাই জীব তথা মানব সেবা করলেই ঈশ্বর সেবা হয়। আলাদা করে ঈশ্বর উপাসনার দরকার পড়ে না।  

58. ‘পরিভাষা' শব্দটির উৎস কী?  
উত্তর: পরিভাষা শব্দটি ইংরাজী ‘Terminology' থেকে এসেছে।  

59. 'পরিভাষা' কীভাবে ব্যবহৃত হয়?  
উত্তর: ইংরাজী, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বা দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে যে বিশেষ বিশেষ শব্দের প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে পরিভাষাই ব্যবহৃত হয়।  

60. ভাষা ও পরিভাষার মধ্যে পার্থক্য লেখ।  
উত্তর:  
ভাষা  
(i) ভাষা সকলের জন্য ব্যবহার্য।  
(ii) ভাষা একটি অর্থে ব্যবহৃত। সেই অর্থের প্রবর্তন কে করেছিলেন, তা জানা যায় না।  

(iii) সাধারণ ভাষা অর্থ বদলে যেতে পারে। 

পরিভাষা  
(i) পরিভাষা বিশেষ বিশেষ শাখার জন্য ব্যবহার্য।  
(ii) কোন শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হবে, তা কেউ না কেউ ঠিক করে দেবেন। 
(iii) পরিভাষাতে অর্থ নির্দিষ্ট, তা বদলে যায় না।  

61. পরিভাষা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ উল্লেখযোগ্য মন্তব্যটি লেখ।  
উত্তর: পরিভাষা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য মন্তব্যটি হল—“বাংলায় বৈজ্ঞানিক পরিভাষা স্থির হয় নাই; অতএব পরিভাষার প্রয়োগ লইয়া আলোচনা কৰ্তব্য, কিন্তু বিবাদ করা অসঙ্গত।”  

62. পরিভাষা তৈরীর জন্য কী দরকার?  
উত্তর: পরিভাষা তৈরীর জন্য সহজবোধ্য শব্দগ্রহণ করা দরকার।  

63. পরিভাষার উদ্ভাবন ও প্রয়োগ কটি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে ও কী কী?  
উত্তর: পরিভাষার উদ্ভাবন ও প্রয়োগ চারটি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে—  
(i) প্রত্যক্ষ ঋণ  
(ii) অনুদিত ঋণ  
(iii) নব উদ্ভাবন  
(iv) লোকনিরুক্তি  

64. পরিভাষার প্রত্যক্ষ ঋণ পদ্ধতি কী?  
উত্তর: বিদেশি ভাষা ও ইংরাজি, ফার্সি, সংস্কৃত থেকে ঋণ নিয়ে সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে পরিভাষার উদ্বোধন ঘটে প্রত্যক্ষ ঋণ পদ্ধতিতে।

65. লোকনিরুক্তির ফলে কীভাবে পরিভাষিক শব্দ গঠিত হয়?  
উত্তর: অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত লোকের মুখে অনেক শব্দ পাল্টে যায়। যেমন—স্কুলকে বলা হয় ইস্কুল ইত্যাদি।  

66. পরিভাষার ব্যবহার কীভাবে সঠিক হয়?  
উত্তর: বানানে সমস্যা না থাকলে তবেই পরিভাষার ব্যবহার সঠিক হয়।  

67. কী কারণে প্রাচীনকাল থেকে পারিভাষিক শব্দ বাংলা ভাষায় প্রত্যক্ষ ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে?  
উত্তর: প্রাচীনকালের ধর্ম, সংস্কৃতি, আচার-বিচার, আইন-কানুন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরবি ফার্সি থেকে বহু পারিভাষিক শব্দ বাংলা ভাষায় প্রত্যক্ষ ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।  

68. ভাষার সঙ্গে পরিভাষার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য কী?  
উত্তর: পরিভাষা ভাষার থেকে আলাদা কোনও ব্যবস্থা নয়। এটি ভাষারই একটি অংশ। ভাষার ধ্বনিগত ও রূপগত উপাদান যা, পরিভাষারও তাই-ই। তবে অর্থের দিক থেকে ভাষা ও পরিভাষা ক্ষেত্র বিশেষে আলাদা আলাদা হয়।  

69. নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাঁর কোন গ্রন্থে পরিভাষা তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন?  
উত্তর: ‘জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি' নামক গ্রন্থে।  

70. পরিভাষা নির্ণয় করতে গেলে প্রয়োজন কী?  
উত্তর: পরিভাষা নির্ণয় করতে গেলে প্রয়োজন প্রত্যেকটি শব্দের একটিমাত্র অর্থ থাকা।

71. প্রুফ্ বলতে কী বোঝ?  
উত্তর: প্রুফ্ হ'ল মুদ্রণের প্রয়োজনে কম্পোজ করা টাইপ বা অক্ষরগুলির প্রতিলিপি, যা সংশোধনের উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়।  

72. প্রুফ্ সংশোধন কীভাবে করা হয়?  
উত্তর: মুদ্রণের উদ্দেশ্যে কম্পোজ করা অক্ষর সন্নিবেশের প্রতিলিপি নিয়ে তারই উপর লাল কালিতে বিভিন্ন রকম ভুলের জন্য বিভিন্ন রকম সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে ভুল সংশোধনের নির্দেশ দিতে হয়। সাংকেতিক চিহ্নগুলি অবশ্যই প্রুফের দু'পাশে, মার্জিনে দিতে হয়, ঠিক লাইনের পাশে।

73. শব্দের কোনো অক্ষর ভুল কম্পোজ করা হ'লে কীভাবে তা সংশোধন করা হয়?  
উত্তর: শব্দের ভুল অক্ষর সংশোধন করার জন্য ভুল অক্ষরটির উপর ‘/’ চিহ্নটি বসাতে হয় এবং ঐ লাইনের পাশে সঠিক অক্ষরটি লিখে তার পাশেও ‘/’ চিহ্নটি বসাতে হবে।  

74. কোনো শব্দের মধ্যে কোনো একটা অক্ষর না লেখা হ'লে কীভাবে সেটা লেখার নির্দেশ দিতে হয়?  
উত্তর: শব্দের কোনো অক্ষর না-লেখা থাকলে যেখানে অক্ষরটি ঢুকবে, সেখানে ‘/’ এই চিহ্ন দিয়ে লাইনের পাশে, মার্জিনে সেই অক্ষরটি লিখে তার পাশে ‘/’– এই চিহ্নটি বসাতে হয়।  

75. বাক্যের দু'টো শব্দ জুড়ে গেলে তাদের মধ্যে ব্যবধান আনতে কী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়?  
উত্তর: দুটি শব্দ জুড়ে গেলে তাদের মধ্যে ব্যবধান আনতে শব্দ দু'টির মধ্যে 'X'–এই চিহ্ন দিয়ে লাইনের পাশে মার্জিনে '#/ ' চিহ্ন দুটি বসাতে হবে।  

76. কোনো একটা শব্দ ভেঙে দুটুকরো হয়ে গেলে কীভাবে তা জোড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়?  
উত্তর: কম্পোজের সময় কোনো শব্দ ভেঙে গেলে জোড়ার জন্য শব্দের খণ্ডগুলির এই চিহ্ন দিতে হবে এবং লাইনের পাশে মার্জিনে '/-' এই চিহ্ন দিতে হবে।  

77. শব্দের কোনো অক্ষরে বা বর্ণে রেফ্‌^ চিহ্ন দিতে ভুল হ'লে কীভাবে তা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়?  
উত্তর: শব্দের মধ্যে রেফ্‌^ চিহ্ন না-দেওয়া হ'লে যেস্থানে চিহ্নটি দেওয়ার কথা, সেখানে 'Y'–এই চিহ্ন দিয়ে লাইনের পাশে দিতে হবে। 'Y' এই চিহ্ন, লুপ্তি ক'মার চিহ্নও এভাবেই সংশোধন করতে হয়।  

78. কমার চিহ্ন দিতে ভুলে গেলে কীভাবে প্রুফ সংশোধন করা যাবে?  
উত্তর: কমার চিহ্ন দিতে ভুল হলে নির্দিষ্ট স্থানে 'X' এই চিহ্ন এবং লাইনের পাশে '<-' চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।  

79. কোনো প্যারাগ্রাফের বা রচনাংশের মধ্যে নতুন প্যারাগ্রাফ করার নির্দেশ দেওয়া হবে কীভাবে?  
উত্তর: কোনো প্যারাগ্রাফের বা রচনাংশের মধ্যে নতুন প্যারাগ্রাফ করতে হ'লে যেখান থেকে নতুন প্যারার শুরু হবে সেখানে ‘['– এই চিহ্ন দিয়ে পাশে মার্জিনে '[N.P.' লিখে দিতে হবে।  

80. আলাদা প্যারা না ক'রে যদি আগের প্যারাগ্রাফের মধ্যেই পরের অংশটুকু রাখার নির্দেশ দিতে হয়, কীভাবে দেবে?  
উত্তর: আলাদা প্যারা না ক'রে, পরের অংশটুকু এই প্যারাগ্রাফের মধ্যে রাখতে আগের প্যারা যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে পরের প্যারা যেখানে শুরু হয়েছে, সেখান পর্যন্ত '** **' চিহ্নটি দিয়ে মার্জিনে 'Run on ***' লিখে দিতে হয়।  

81. বাক্যের মধ্যে দুটো শব্দ, বা শব্দের মধ্যে দুটো অক্ষরের স্থান বদল হয়ে গেলে কীভাবে সংশোধন করা হবে?  
উত্তর: শব্দ বা অক্ষরের আগে-পিছে স্থান বদল হ'লে সংশোধনের জন্য সেই শব্দ বা অক্ষর দু'টিকে নিয়ে '** **' চিহ্ন দিতে হবে এবং লাইনের পাশে 'Trs' লিখে দিতে হবে।  

82. প্রুফের কোনো অংশ কেটে দিয়ে যদি মনে হয় অংশটি থাকবে, তাহলে কীভাবে সংকেত দিতে হয়?  
উত্তর: প্রুফের কোনো অংশ কেটে দিয়ে পরে অংশটুকু রাখা নির্দেশ দিতে হ'লে ঐ কাটা অংশের নীচে '._.' চিহ্ন দিয়ে পাশে মার্জিনে ‘stet' লিখে দিতে হয়।  

83. বাক্যের কোনো শব্দ, বা শব্দের কোনো অক্ষর যদি কেটে বাদ দিতে হয় তাহলে প্রুফে কোন্ চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়? চিহ্নটিকে কী বলা হয়?  
উত্তর: বাক্যের কোনো শব্দ বা শব্দের কোনো অক্ষর কেটে বাদ দিতে হ'লে প্রুফে ঐ শব্দ বা অক্ষরটি কেটে দিয়ে মার্জিনে ‘#' চিহ্নটি বসাতে হয়। এই চিহ্নটিকে বলা হয় ‘delete’ (ডিলেট্‌) চিহ্ন।  

84. প্রুফে কোনো লাইন বা শব্দকে ডান দিকে বা বাম দিকে সরাতে গেলে কোন্ চিহ্ন দিতে হয়?  
উত্তর: কোনো লাইন বা শব্দকে ডান দিকে সরাতে গেলে ঐ লাইনের নীচে দাগ দিয়ে ডান দিকের মার্জিনে '→' চিহ্ন দিতে হয়। বাম দিকে সরাতে হলে বাম দিকের মার্জিনে '←' চিহ্ন দিতে হয়।  

85. প্রুফে কোনো শব্দের অক্ষর আকারে বড়ো বা ছোটো করার নির্দেশ কী?  
উত্তর: এখনকার কম্পিউটারে, অক্ষরের আকার বড়ো বা ছোটো করার জন্য পাশে ফন্ট নম্বর লিখে দিলেই হয়।  

86. প্রুফে বিভিন্ন প্রকার ছেদ চিহ্ন ভুল হ'লে কীভাবে সংশোধন করা হয়?  
উত্তর: প্রুফে ছেদ চিহ্ন বসানো না হ'লে নির্দিষ্ট স্থানে ‘/*’–এই চিহ্নটি বসিয়ে মার্জিনে সঠিক চিহ্নটি বসাতে হয়। যদি ভুল চিহ্ন থাকে, তবে তার উপরে ‘/’ চিহ্ন বসিয়ে মার্জিনে সঠিক চিহ্নটি বসিয়ে পাশে ‘/’ চিহ্নটি বসাতে হয়।

87. যদি পাণ্ডুলিপির কোনো লাইন বা শব্দ বাদ পড়ে যায়, তাহলে প্রুফে কোন নির্দেশ কীভাবে দিতে হবে?  
উত্তর: পাণ্ডুলিপির কোনো শব্দ, বাক্য, বা লাইন বাদ পড়ে গেলে যেখানে বা যেখান থেকে শব্দ বা লাইনটি বসবে, সেখান থেকে তির চিহ্ন দিয়ে মার্জিনে এসে বৃত্তের মধ্যে শব্দটি বা বাদ যাওয়া অংশটি লিখে দিতে হয়। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে মার্জিনে ‘See copy’ লিখে দিতে হয়। আর মূল পাণ্ডুলিপির যে অংশটি বাদ গেছে সেটি প্রথম বন্ধনীর মধ্যে নীচে রেখা দিয়ে পাশে ‘ছাড়’ কথাটি লিখে দিতে হবে।  

88. প্রুফ সংশোধন কোন কালিতে হওয়া উচিত? কেন?  
উত্তর: প্রুফ সংশোধন লাল কালিতে হওয়া উচিত। এতে সংশোধনের নির্দেশগুলি সহজেই কম্পোজিটরের চোখে পড়ে।  

89. যিনি প্রুফ সংশোধন করেন, তাঁকে কী বলা হয়?  
উত্তর: যিনি প্রুফ সংশোধন করেন, তাঁকে প্রুফ সংশোধনকারী বা ‘প্রুফ রিডার’ বলা হয়।  

90. কোনো গ্রন্থ নির্ভুলভাবে ছাপতে হলে ক'বার প্রুফ দেখা উচিত?  
উত্তর: কোনো গ্রন্থ নির্ভুলভাবে ছাপতে হলে অন্তত তিনবার প্রুফ দেখা উচিত।