✍️সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-২):
১. ক্রোফেসিমা ও নিফেসিমা-এর দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: প্রথমত, ক্রোফেসিমা লোহা ও নিকেল দ্বারা গঠিত, আর নিফেসিমা সিলিকা ও ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা গঠিত।
দ্বিতীয়ত, ক্রোফেসিমা কঠিন অবস্থায় থাকে, আর নিফেসিমা আংশিক তরল অবস্থায়ও থাকতে পারে।
২. পৃষ্ঠ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: প্রথমত, পৃষ্ঠ তরঙ্গ ভূকম্পনের সময় পৃথিবীর পৃষ্ঠ বরাবর চলতে থাকে।
দ্বিতীয়ত, এটি সবচেয়ে ধীরগতির হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে।
৩. পরিচলন কক্ষ কী ?
উত্তর: পরিচলন কক্ষ হল মহাকর্ষ শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি নির্দিষ্ট পথ, যার মধ্য দিয়ে একটি গ্রহ, উপগ্রহ বা বস্তু কোনও গ্রহ বা নক্ষত্রকে আবর্তন করে।
৪. সার্ক সম্পর্কে টীকা লেখো।
উত্তর: সার্ক (SAARC) হল দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা, যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য হলো সদস্য দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। সদস্য দেশগুলি হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান।
৫. পৃথিবীপৃষ্ঠ কতগুলি পাতের সমন্বয়ে গঠিত?
উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠ ৭টি প্রধান ও বেশ কিছু ছোট পাতের সমন্বয়ে গঠিত।
৬. যেখানে পাতগুলো পরস্পরের দিকে এগোতে থাকে, সেটি কোন্ ধরনের পাত সীমান্ত? একে 'বিনাশকারী পাত সীমান্ত' বলা হয় কেন ?
উত্তর: এই ধরনের পাত সীমান্তকে অভিসারী পাত সীমান্ত বলা হয়। একে 'বিনাশকারী পাত সীমান্ত' বলা হয় কারণ এখানে একটি পাত অন্য পাতের নিচে সেঁধিয়ে যায় ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
৭. ‘মধ্য-সামুদ্রিক শৈলশিরা' কোন্ ধরনের পাতসীমান্তে অবস্থিত? এখানে সমুদ্রবক্ষের বিস্তার কীভাবে ঘটে?
উত্তর: ‘মধ্য-সামুদ্রিক শৈলশিরা’ বিভঙ্গী পাত সীমান্তে অবস্থিত। এখানে নতুন ভূত্বক তৈরি হয়, যা সমুদ্রবক্ষের বিস্তার ঘটায়।
৮. ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত সান-আন্দিজ চ্যুতি (San Andreas Fault) কোন্ ধরনের পাত সীমান্তে অবস্থিত? সান ফ্রান্সিসকো এবং লস এঞ্জেলস্ শহরে বসবাস করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কেন?
উত্তর: সান-আন্দিজ চ্যুতি রূপান্তরী পাত সীমান্তে অবস্থিত। এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই সান ফ্রান্সিসকো ও লস এঞ্জেলস্ শহরে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ।
৯. আগ্নেয়গিরি কাকে বলে ?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের এমন একটি ফাটল বা দ্বার, যার মাধ্যমে ভূ-অভ্যন্তর থেকে গলিত শিলা, গ্যাস ও ছাই নির্গত হয়ে বের হয়, তাকে আগ্নেয়গিরি বলা হয়।
১০. লাভা ও ম্যাগমার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: লাভা হল ভূপৃষ্ঠের উপরে নির্গত গলিত শিলা, আর ম্যাগমা হল ভূ-অভ্যন্তরে অবস্থিত গলিত শিলা।
১১. সাতটি প্রধান পাতের নাম লেখো।
উত্তর: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, উত্তর আমেরিকান পাত, দক্ষিণ আমেরিকান পাত, আফ্রিকান পাত, ইউরেশীয় পাত, অস্ট্রেলিয়া-ভারতীয় পাত এবং অ্যান্টার্কটিক পাত।
১২. ভূমিকম্পের কোন্ তরঙ্গে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় ও কেন?
উত্তর: পৃষ্ঠ তরঙ্গে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় কারণ এটি ভূত্বকের উপরে চলাচল করে এবং এর কম্পন অনুভূমিক ও উল্লম্ব উভয় দিকেই হতে পারে, যা ভবন ও অবকাঠামোর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
১৩. পরিবেশের অবনমন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পরিবেশের অবনমন বলতে এমন প্রক্রিয়া বোঝানো হয় যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ ও বাস্তুতন্ত্রের গুণমান ও পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায় এবং পরিবেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৪. পাতসীমানা বরাবর অগ্ন্যুৎপাত হয় কেন?
উত্তর:পাতসীমানা বরাবর টেকটোনিক পাতের সংঘর্ষ বা বিভঙ্গনের কারণে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে উঠে আসে, যা অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
১৫. নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ হয় কেন?
উত্তর: নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে পাতের সংঘর্ষ ও ভাঁজ সৃষ্টি অব্যাহত থাকে, যা ভূত্বকে প্রচুর চাপ তৈরি করে এবং ভূমিকম্পের কারণ হয়।
১৬. নেপাল দেশটি পর্যটন শিল্পে উন্নত কেন?
উত্তর: নেপাল হিমালয়ের সৌন্দর্য, এভারেস্ট পর্বত, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় স্থানগুলির কারণে পর্যটন শিল্পে উন্নত।
১৭. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান কৃষিকাজে উন্নত কেন?
উত্তর: পাকিস্তান সেচ ব্যবস্থা ও সেচনির্ভর কৃষির উন্নতির মাধ্যমে কৃষিকাজে উন্নত হয়েছে। সিন্ধু নদীর জল এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৮. নিরপেক্ষ পাত সীমানা বলতে কী বোঝো?
উত্তর: নিরপেক্ষ পাত সীমানা হল সেই অঞ্চলের সীমান্ত, যেখানে দুটি পাত পরস্পরের সমান্তরালে সরে যায় এবং কোনও নতুন ভূত্বক তৈরি হয় না বা ধ্বংস হয় না।
১৯. শিলা গঠনকারী প্রধান চারটি খনিজের নাম লেখো।
উত্তর: কোয়ার্টজ, ফেল্ডসপার, মাইকা এবং ক্যালসাইট।
টীকা লেখ:
২০. ফার শিল্প:
উত্তর: ফার শিল্প হলো পশুর লোম বা চামড়া থেকে তৈরি পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী উৎপাদনের শিল্প। এটি প্রধানত ঠান্ডা অঞ্চলে বিকশিত হয়েছে।
২১. পঞ্চহ্রদ:
উত্তর: পঞ্চহ্রদ হলো উত্তর আমেরিকার পাঁচটি বৃহত্তম হ্রদের সমষ্টি — সুপিরিয়র, মিশিগান, হিউরন, ইরি ও অন্টারিও। এদের মিলিতভাবে গ্রেট লেকসও বলা হয়।
২২. জীবাশ্ম:
উত্তর: জীবাশ্ম হলো বহু বছর আগে মৃত প্রাণী বা উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ বা চিহ্ন যা শিলা বা অন্য পদার্থের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে। এটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২৩. প্যানজিয়া:
উত্তর: প্যানজিয়া ছিল একটি বিশাল মহাদেশ যা প্রায় ৩০ কোটি বছর আগে সমস্ত ভূমিরাশি একত্রে মিলিত হয়ে গঠিত হয়েছিল। এটি পরে বিভিন্ন পাতের সরে যাওয়ার কারণে ভেঙে বর্তমান মহাদেশগুলিতে বিভক্ত হয়েছে।
২৪. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা:
উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা, যাকে 'রিং অফ ফায়ার'ও বলা হয়, এটি প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বিস্তৃত একটি আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এই অঞ্চলে প্রচুর টেকটোনিক পাতের সংঘর্ষ ও বিভঙ্গন ঘটে।
টীকা লেখ:
২৫. অশ্ব অক্ষাংশ:
উত্তর: অশ্ব অক্ষাংশ হলো ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশ (কর্কটক্রান্তি রেখা) ও ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ (মকরক্রান্তি রেখা)। এই অঞ্চলগুলিতে সূর্য সারা বছর উচ্চ কোণে অবস্থান করে, ফলে এখানে গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে।
২৬. ভূকম্পন তরঙ্গ:
উত্তর: ভূকম্পন তরঙ্গ হল ভূমিকম্পের সময় সৃষ্ট শক্তির তরঙ্গ যা ভূপৃষ্ঠ ও অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এটি প্রধানত তিন প্রকার — পি-তরঙ্গ, এস-তরঙ্গ এবং পৃষ্ঠ তরঙ্গ। পৃষ্ঠ তরঙ্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
২৭. 'Pa hoe hoe' এবং 'aa' লাভা কী?
উত্তর: 'Pa hoe hoe' লাভা হলো মসৃণ, সাপের মত পাকানো ও প্রবাহিত লাভা যা ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয়।
'aa' লাভা হলো খসখসে, ধারালো ও অসমান লাভা যা দ্রুত প্রবাহিত হয়ে কঠিন ও খণ্ড খণ্ড আকারে জমাট বাঁধে।
২৮. সার্ক কী?
উত্তর: সার্ক (SAARC) হলো দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা, যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলি হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান। এর মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা বাড়ানো।
২৯. নিফেসিমা কী?
উত্তর: নিফেসিমা হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরের কেন্দ্রীয় অঞ্চল যা মূলত লোহা ও নিকেল দিয়ে গঠিত এবং এটি কঠিন ও তরল উভয় স্তরে বিভক্ত।
৩০. সিসমোগ্রাফ কাকে বলে?
উত্তর: সিসমোগ্রাফ হলো এমন একটি যন্ত্র, যা ভূমিকম্পের কম্পন রেকর্ড করে ও তার তীব্রতা ও সময় নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।
৩১. জ্যাকোস কাদের বলে?
উত্তর: জ্যাকোস হলো উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের উপকূলে পাওয়া এক ধরনের শীতল জলের সামুদ্রিক উদ্ভিদ যা খাদ্য ও শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩২. গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ কী?
উত্তর: গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ হলো পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর ব্যবস্থা, যা অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল বরাবর কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত। এটি জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
৩৩. ভূতাপ শক্তি কাকে বলে?
উত্তর: ভূতাপ শক্তি হলো পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে প্রাপ্ত তাপ শক্তি যা ভূত্বক ও গলিত শিলার তাপমাত্রার পার্থক্যের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। এটি নবায়নযোগ্য শক্তির একটি উৎস।
৩৪. ভারতের দুটি প্রতিবেশী দেশের নাম লেখো যারা পুরোপুরি সমুদ্রবেষ্টিত বা দ্বীপরাষ্ট্র।
উত্তর: শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।
৩৫. ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: ভূমিকম্পের কেন্দ্র হলো ভূত্বকের অভ্যন্তরে সেই স্থান, যেখানে ভূকম্পন সৃষ্টির প্রকৃত কারণ ঘটে। উপকেন্দ্র হলো ভূত্বকের উপরিভাগে কেন্দ্রের ঠিক উপরে অবস্থিত স্থান, যেখানে ভূকম্পনের তীব্রতা সর্বাধিক অনুভূত হয়।
৩৬. পরিচলন স্রোত কী?
উত্তর: পরিচলন স্রোত হলো তাপমাত্রা ও ঘনত্বের পার্থক্যের কারণে তরল পদার্থের অভ্যন্তরে সৃষ্ট চলাচল। এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরে ম্যাগমার গতিবিধি ও প্লেটের চলাচলের কারণ।
৩৭. কেন্দ্রমণ্ডল কোন কোন খনিজ দিয়ে তৈরি?
উত্তর: লোহা ও নিকেল।
৩৮. পেট্রোলজি ও মিনেরোলজি বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পেট্রোলজি হলো শিলা ও তাদের গঠন, গঠন প্রক্রিয়া এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যয়ন। মিনেরোলজি হলো খনিজ ও তাদের রাসায়নিক গঠন, গঠন প্রক্রিয়া ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যয়ন।
৩৯. সিমা ও সিয়াল বলতে কী বোঝো?
উত্তর:
সিমা হলো পৃথিবীর ভূত্বকের নিম্নস্তর যা প্রধানত সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত।
সিয়াল হলো পৃথিবীর ভূত্বকের উপরিভাগ যা প্রধানত সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত।
৩৮. পেট্রোলজি ও মিনেরোলজি বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পেট্রোলজি হলো শিলা ও তাদের গঠন, গঠন প্রক্রিয়া এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যয়ন। মিনেরোলজি হলো খনিজ ও তাদের রাসায়নিক গঠন, গঠন প্রক্রিয়া ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যয়ন।
৩৯. সিমা ও সিয়াল বলতে কী বোঝো?
উত্তর: সিমা হলো পৃথিবীর ভূত্বকের নিম্নস্তর যা প্রধানত সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত।
সিয়াল হলো পৃথিবীর ভূত্বকের উপরিভাগ যা প্রধানত সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গঠিত।
৪০. প্যানজিয়া ও প্যানথালাসা কী?
উত্তর: প্যানজিয়া ছিল পৃথিবীর সমস্ত ভূমিভাগের মিলিত বিশাল মহাদেশ এবং প্যানথালাসা ছিল সেই সময়ের একক বৃহৎ মহাসাগর যা প্যানজিয়াকে পরিবেষ্টিত করেছিল।
৪১. অপসারী পাত সীমানা কাকে বলে?
উত্তর: অপসারী পাত সীমানা হলো সেই অঞ্চল, যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট বিপরীত দিকে সরে যায় এবং নতুন ভূত্বক সৃষ্টি হয়।
৪২. ‘আ আ’ লাভা ও 'পা হো হো’ লাভার পার্থক্য লেখো।
উত্তর: ‘আ আ’ লাভা হলো খসখসে, অসমান ও কঠিন লাভা যা দ্রুত প্রবাহিত হয়ে জমাট বাঁধে।
'পা হো হো’ লাভা হলো মসৃণ, সাপের মত পাকানো ও ধীরে প্রবাহিত লাভা।
৪৩. ক্যারেজ প্রথা কী?
উত্তর: ক্যারেজ প্রথা হল এক ধরনের জলসেচ ব্যবস্থা, যেখানে পাকিস্তানের পশ্চিমের শুষ্ক অঞ্চলে প্রচন্ড তাপের কারণে মাটির উপর দিয়ে জল পরিবহন সম্ভব হয় না। তাই মাটির তলায় সুরঙ্গ কেটে কৃষিজমিতে জল নিয়ে যাওয়া হয়।
৪৪. পর্যটন শিল্পকে নেপালের বৃহত্তম শিল্প বলা হয় কেন?
উত্তর: নেপালে হিমালয় পর্বতমালা, মাউন্ট এভারেস্ট, ঐতিহাসিক মন্দির ও সংস্কৃতির জন্য বহু পর্যটক আসে। পর্যটন নেপালের অর্থনীতিতে প্রধান অবদান রাখে এবং কর্মসংস্থানের অন্যতম উৎস।
৪৫. বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ বেশি হয়েছে কেন?
উত্তর: বাংলাদেশে উর্বর ভূমি, প্রচুর জলসেচ ব্যবস্থা ও কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রচলনের কারণে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ বেশি হয়েছে।
৪৬. বাংলাদেশ থেকে ভারত কী কী দ্রব্য আমদানি করে থাকে?
উত্তর: ভারত বাংলাদেশ থেকে প্রধানত পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, তৈরি পোশাক, খাদ্যদ্রব্য, চামড়াজাত পণ্য ইত্যাদি আমদানি করে।
৪৭. প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের দেশ ভারতবর্ষের সুসম্পর্ক বজায় রাখার দুটি কারণ লেখো।
উত্তর: প্রথমত, বাণিজ্যিক সুবিধা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখা।
✍️সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও(প্রশ্নের মান-৩):
১. কোন্ অঞ্চলকে 'মৃত্যু উপত্যকা' বলে ও কেন?
উত্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ডেথ ভ্যালি অঞ্চলকে 'মৃত্যু উপত্যকা' বলা হয়।
এর কারণ হলো এই অঞ্চলে অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকে, যা প্রাণের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
২. কানাডার শিল্ড অঞ্চল ‘খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কানাডার শিল্ড অঞ্চল হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম ভূভাগের মধ্যে একটি। এখানে প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়, যেমন লোহা, নিকেল, তামা, সোনা, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি। এই খনিজ সম্পদগুলি মূলত আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলার মধ্যে পাওয়া যায়। প্রাচীন শিলাগুলির কারণে এই অঞ্চল খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ।
৩. বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল থেকে পৃথিবীর চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয়েছে কেন?
উত্তর: বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল তরল অবস্থায় থাকা লোহা ও নিকেলের মিশ্রণ নিয়ে গঠিত। এই তরল ধাতুগুলি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে ঘুর্ণায়িত হয় এবং এতে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। এই তড়িৎ প্রবাহের কারণে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়।
৪. পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলির ঘনত্ব বেশি হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রা থাকে। কেন্দ্রের কাছে লোহা ও নিকেল জাতীয় ভারী ধাতুগুলি জমা হয়ে থাকে, যা বেশি ঘনত্বের কারণ। মহাকর্ষীয় বলের কারণে ভারী পদার্থগুলি কেন্দ্রের দিকে টানতে থাকে, ফলে ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
৫. প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয় অধিকমাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয় হল এমন একটি অঞ্চল যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলি সক্রিয়ভাবে একে অপরের সাথে সংঘর্ষ, বিচ্ছেদ ও সঞ্চালন ঘটায়।
এই অঞ্চলে প্লেটগুলির সাবডাকশন, রূপান্তর ও সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া, ভূত্বকের দুর্বলতা এবং গভীর সমুদ্রের ট্রেঞ্চগুলি এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
৬. অগ্ন্যুদ্গম ও আগ্নেয়গিরির পার্থক্য লেখো।
উত্তর: অগ্ন্যুদ্গম: অগ্ন্যুদ্গম হলো পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে গলিত শিলা, গ্যাস, ছাই ইত্যাদির নির্গমন প্রক্রিয়া।
আগ্নেয়গিরি: আগ্নেয়গিরি হলো ভূত্বকের এমন গঠন যা অগ্ন্যুদ্গমের ফলে তৈরি হয় এবং এর মাধ্যমে গলিত শিলা ও গ্যাস নির্গত হয়।
অগ্ন্যুদ্গম একটি প্রক্রিয়া, আর আগ্নেয়গিরি হলো সেই প্রক্রিয়ার ফলে তৈরি হওয়া ভৌগোলিক গঠন।
৭. অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে কেন?
উত্তর: অভিসারী পাত সীমানা হলো এমন সীমানা যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট মুখোমুখি হয়ে একে অপরের দিকে সরে আসে। এই সংঘর্ষের সময় একটি পাত অন্যটির নিচে স্লাব হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ও ধ্বংস হয়। এই কারণে অভিসারী পাত সীমানাকে 'বিনাশকারী পাত সীমানা' বলা হয়।
৮. আগ্নেয়শিলার শ্রেণীবিভাগ:
উত্তর: উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলা দুটি ভাগে বিভক্ত: নিঃসারী আগ্নেয় শিলা (যেমন: ব্যাসল্ট, টাফ) এবং উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা। উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা আবার দুটি ভাগে বিভক্ত: পাতালিক শিলা (যেমন: গ্রানাইট) এবং উপপাতালিক শিলা (যেমন: ডোলেরাইট, পরফাইরি)।
রাসায়নিক গঠন অনুসারে আগ্নেয় শিলা চারটি ভাগে বিভক্ত:
আম্লিক শিলা (যেমন: গ্রানাইট),
মধ্যবর্তী শিলা (যেমন: ডাইওরাইট),
ক্ষারকীয় শিলা (যেমন: ব্যাসল্ট),
অতি ক্ষারকীয় শিলা (যেমন: পেরিডোটাইট)।
৯. গুরুমণ্ডলের গঠন বর্ণনা করো।
উত্তর: গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টেল হল পৃথিবীর ভূত্বক ও কেন্দ্রের মধ্যবর্তী স্তর, যা প্রায় ২,৯০০ কিমি গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি প্রধানত সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, ও অক্সিজেনের যৌগ দিয়ে গঠিত। গুরুমণ্ডলকে উপরি গুরুমণ্ডল (ঠান্ডা ও কঠিন) এবং নিম্ন গুরুমণ্ডল (আংশিক গলিত ও তরল) - এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এটি প্লেট টেকটোনিকস ও শক্তি স্থানান্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১০. ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলির নাম লেখো।
উত্তর: ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়, হিমালয় অঞ্চল, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চিলি, আলাস্কা, ক্যারিবীয় অঞ্চল, ইরান এবং তুরস্ক।
১১. নেপালের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর: নেপালের ভূপ্রকৃতি প্রধানত তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত: হিমালয় অঞ্চল (পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টসহ বহু পর্বতশৃঙ্গের অবস্থান), পাহাড়ি অঞ্চল (মাঝারি উচ্চতার পর্বত ও উপত্যকা বিশিষ্ট অঞ্চল), তরাই অঞ্চল (সমতল ভূমি, যা কৃষিকাজ ও বসবাসের জন্য উপযোগী)।
১২. পাকিস্তানের জলসেচ ব্যবস্থার বর্ণনা দাও।
উত্তর: পাকিস্তানের জলসেচ ব্যবস্থা প্রধানত সেচ খাল ও বাঁধের উপর নির্ভরশীল। ইন্দাস নদী ও এর শাখাগুলি সেচের প্রধান উৎস। গুরুত্বপূর্ণ সেচ প্রকল্পগুলির মধ্যে তারবেলা বাঁধ ও মঙ্গলা বাঁধ অন্তর্ভুক্ত, যা পানি সংরক্ষণ ও সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়। ইন্দাস বেসিন ইরিগেশন সিস্টেম বিশ্বের বৃহত্তম সেচ ব্যবস্থাগুলির একটি। খাল ও জলসেচের মাধ্যমে কৃষিজমিতে জল সরবরাহ করা হয়।
১৩. প্রশান্ত মহাসাগরের দুপাশে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি তৈরি হয়েছে কেন?
উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরের দুপাশে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি তৈরি হয়েছে কারণ এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়ের অংশ, যেখানে পাতসমূহের অভিসরণ ও অপসারণ ঘটে। টেকটোনিক প্লেটগুলি একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ বা সরে যাওয়ার ফলে ভূত্বকের ফাটল ও ভাঙন ঘটে, যার ফলে ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠে উঠে আসে এবং আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়।
১৪. অপসারী ও অভিসারী পাতসীমানা কাকে বলে?
উত্তর: অপসারী পাতসীমানা: যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট একে অপরের থেকে দূরে সরে যায়। এটি সাধারণত সমুদ্রের মাঝের অংশে ঘটে এবং নতুন ভূত্বক সৃষ্টি করে। উদাহরণ: মধ্য-আটলান্টিক রিজ।
অভিসারী পাতসীমানা: যেখানে দুটি টেকটোনিক প্লেট একে অপরের দিকে সরে আসে এবং সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষের ফলে এক প্লেট অন্য প্লেটের নিচে প্রবেশ করে, যা ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করে। উদাহরণ: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয়।
১৫. আগ্নেয় শিলা কাকে বলে? উৎপত্তি অনুযায়ী আগ্নেয় শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: আগ্নেয় শিলা হলো ভূ-গর্ভের গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলা গঠিত হয়।
উৎপত্তি অনুযায়ী আগ্নেয় শিলার শ্রেণিবিভাগ:
১. নিঃসারী আগ্নেয় শিলা (Extrusive Rock): ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠে লাভারূপে বের হয়ে দ্রুত শীতল হয়ে এই শিলা গঠিত হয়। উদাহরণ: ব্যাসল্ট।
২. উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা (Intrusive Rock): ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠের নিচেই ধীরে ধীরে শীতল হয়ে জমাট বেঁধে এই শিলা গঠিত হয়। উদাহরণ: গ্রানাইট।
- পাতালিক শিলা: ভূ-পৃষ্ঠের অনেক নিচে গঠিত শিলা। উদাহরণ: গ্রানাইট।
- উপপাতালিক শিলা: ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি গঠিত শিলা। উদাহরণ: ডোলেরাইট।
১৬. শিলাচক্র বলতে কী বোঝো?
উত্তর: শিলাচক্র হলো শিলার গঠন, পরিবর্তন ও পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া যা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে। এটি তিনটি প্রধান পর্যায় নিয়ে গঠিত:
১. আগ্নেয় শিলা গঠন।
২. ক্ষয় ও সঞ্চয়নের মাধ্যমে পাললিক শিলা গঠন।
৩. তাপ ও চাপের প্রভাবে রূপান্তরিত শিলা গঠন।
এই প্রক্রিয়াটি ক্রমাগত চলতে থাকে এবং শিলার পুনর্গঠন ঘটে।
১৭. উদাহরণসহ আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: আগ্নেয়গিরিকে তার অগ্ন্যুৎপাতের প্রকৃতি অনুযায়ী দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (Active Volcano): যা নিয়মিত বা মাঝেমধ্যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
উদাহরণ: মাউন্ট এটনা (ইতালি), মাউনা লোয়া (হাওয়াই)।
২. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano): যা দীর্ঘদিন অগ্ন্যুৎপাত না করলেও ভবিষ্যতে ঘটাতে পারে।
উদাহরণ: মাউন্ট ফুজি (জাপান)।
৩. মৃত আগ্নেয়গিরি (Extinct Volcano): যা কখনোই পুনরায় অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় না।
উদাহরণ: কিলিমানজারো (তানজানিয়া)।
১৮. গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট শিলার পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
বৈশিষ্ট্য | গ্রানাইট (Granite) | ব্যাসল্ট (Basalt) |
---|---|---|
গঠন | ভূগর্ভের গভীরে ধীরে ধীরে জমাট বাঁধে। | ভূ-পৃষ্ঠে দ্রুত শীতল হয়ে জমাট বাঁধে। |
শিলার ধরন | উদ্বেধী পাতালিক শিলা। | নিঃসারী শিলা। |
দানার আকার | বড় ও স্পষ্ট। | সূক্ষ্ম ও ক্ষুদ্র। |
রঙ | হালকা (সাদা, ধূসর, গোলাপি)। | গাঢ় (কালো বা গাঢ় ধূসর)। |
উদাহরণ | ছোটনাগপুর মালভূমির শিলা। | রাজমহল পাহাড়ের শিলা। |
১৯. ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ভূমিকম্পের কেন্দ্র হল ভূ-পৃষ্ঠের নিচে যে স্থানে ভূ-অভ্যন্তরের শিলাস্তর ভেঙে যায় বা সঞ্চিত শক্তি মুক্ত হয়।
উপকেন্দ্র হল ভূ-পৃষ্ঠের সেই বিন্দু যা ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ঠিক উপরে অবস্থিত।
২০. অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয় কেন?
উত্তর: অভিসারী পাত সীমানায় দুটি প্লেট একে অপরের দিকে সরতে থাকে এবং সংঘর্ষের ফলে এক প্লেট অন্যটির নিচে প্রবেশ করে বা নিমজ্জিত হয়। এই নিমজ্জনের সময় প্লেটটি ধ্বংস হয়ে যায় বলে একে বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয়।
২১. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কী?
উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা হল প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বিস্তৃত একটি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় অঞ্চল, যা আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পের জন্য বিখ্যাত। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা ঘিরে রিং-এর মতো আকৃতির, তাই একে "রিং অফ ফায়ার" বলা হয়।
২২. SIMA ও SIAL-এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
বিষয় | SIMA | SIAL |
---|---|---|
গঠন | সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম | সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম |
ঘনত্ব | বেশি (ভারি) | কম (হালকা) |
অবস্থান | প্রধানত সমুদ্রের তলদেশে | প্রধানত মহাদেশীয় ভূত্বকে |
২৩. আগ্নেয় ও পাললিক শিলার মধ্যে উদাহরণসহ পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
বিষয় | আগ্নেয় শিলা | পাললিক শিলা |
---|---|---|
গঠন | গলিত শিলা ঠান্ডা হয়ে জমাট বাঁধে | পলল, কাদা ইত্যাদির স্তর জমা হয়ে তৈরি হয় |
উদাহরণ | গ্রানাইট, বাসল্ট | চুনাপাথর, বালুকাপাথর |
উৎপত্তি স্থান | অন্তর্ভাগ (ভূগর্ভ) থেকে | ভূপৃষ্ঠে বা জলাশয়ের নিচে |
<<<<<<<<<<<<<<🌹 সমাপ্ত 🌹>>>>>>>>>>>>