১. তোমার এলাকার ঐতিহ্যবাহী পুরনো গ্রন্থাগারটির উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে সংবাদপত্র সম্পাদকের কাছে একটি
পত্র লেখো।
সম্পাদক
আনন্দবাজার পত্রিকা
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
২৬ নভেম্বর ২০২৪
বিষয়: এলাকার ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগারের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
মহাশয়/মহাশয়া,
আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের এলাকার ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগারের বেহাল অবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বহু পুরনো পাণ্ডুলিপি, গ্রন্থ এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনসমৃদ্ধ এই গ্রন্থাগারটি একসময় জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রস্থল ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে।
গ্রন্থাগারের ভবনটি ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে, বইগুলোতে পোকা লেগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এবং পাঠকদের জন্য কোনো সুষ্ঠু বসার বা আলোর ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়াও, পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং আধুনিক সুবিধার ঘাটতিও চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে, পাঠকদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, যা আমাদের প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।
আমি বিনীত অনুরোধ জানাই, এই ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগারটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। নতুন বই সংগ্রহ, পাঠকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা এবং স্থাপনার সংস্কার করা হলে এটি আবারও আমাদের শিক্ষিত সমাজের গর্ব হয়ে উঠতে পারে।
আপনার পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে এবং সমাধানের পথে অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।
সাদরান্তে,
সানিয়া খাতুন
গ্ৰাম-মাটিয়াল,
পোস্ট অফিস- চানডুল,
জেলা- পূর্ব বর্ধমান,
পিন-৭১৩১৪১
২. হাসপাতালের সামনে জোরে মাইক বাজানো অমার্জনীয় অপরাধ । এই মর্মে সচেতনতা গড়ে তুলতে সংবাদপত্রে চিঠি লেখো।
সম্পাদক
আনন্দবাজার পত্রিকা
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
২৬ নভেম্বর ২০২৪
বিষয়: হাসপাতালের সামনে মাইক বাজানো বন্ধের আবেদন
মহাশয়/মহাশয়া,
আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমাদের এলাকায় হাসপাতালের সামনে বিভিন্ন সময় জোরে মাইক বাজানো হয়, যা রোগীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। এই বিষয়টি নিয়ে আমি একটি চিঠি লিখতে চেয়েছি।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় থাকেন। তাদের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুবই জরুরি, কিন্তু জোরে মাইক বাজানোর কারণে তাদের বিশ্রাম এবং চিকিৎসা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। বিশেষ করে নবজাতক শিশুরা, বৃদ্ধরা এবং অপারেশন পরবর্তী রোগীরা এই শব্দদূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
এছাড়া, এটি একটি আইনগত বিষয়ও বটে, কারণ হাসপাতালের সামনে এমন শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি, হাসপাতালের আশেপাশে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করার জন্য কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। বিশেষ করে, 'নো হর্ন' এবং 'মাইক নিষিদ্ধ' সাইনবোর্ড স্থাপন করা যেতে পারে।
আপনার পত্রিকার মাধ্যমে যদি এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়, তবে এটি ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে এবং এই অমার্জনীয় অপরাধ বন্ধ হবে।
সাদর,
সানিয়া খাতুন
গ্ৰাম-মাটিয়াল,
পোস্ট অফিস- চানডুল,
জেলা- পূর্ব বর্ধমান,
পিন-৭১৩১৪১
৩. বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে— নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এবিষয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো ।
সম্পাদক
আনন্দবাজার পত্রিকা
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
২৬ নভেম্বর ২০২৪
বিষয়: বন্যার কারণে নদীর পাড়ের ক্ষতি এবং স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
মহাশয়/মহাশয়া,
আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে চাই। সম্প্রতি আমাদের এলাকার নদীটিতে বন্যার প্রকোপ বাড়ছে এবং তার প্রভাব আমাদের কৃষিজমি ও জীবনযাত্রার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। প্রতিনিয়ত নদীর পানি বাড়ছে, যার ফলে বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের গ্রামের কৃষকরা নানান সমস্যায় পড়ছেন এবং তাদের জীবিকা অর্জন একেবারে সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
যতই সময় যাচ্ছে, নদীর পাড়গুলি আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে, এবং ছোটবড় খালের মাধ্যমে পানি নদীভাঙন সৃষ্টি করছে। এই কারণে নদীর পাড়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত ও স্থায়ীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। নদীর পাড়ে বাঁধ নির্মাণ, পলি জমাট বাঁধানো, এবং অন্যান্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক জমি ও জীবন বাচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই, দ্রুত নদীর পাড়গুলোর স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে নদীভাঙন রোধ করা যায় এবং কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়।
আপনার পত্রিকার মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরা হলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আমি আশা করি।
সাদর,
[আপনার নাম]
[ঠিকানা]
[যোগাযোগ নম্বর]
8. তোমার অঞ্চলে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের
সম্পাদককে চিঠি পাঠাও ।
সম্পাদক
আনন্দবাজার পত্রিকা
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
২৬ নভেম্বর ২০২৪
বিষয়: এলাকায় আবর্জনার স্তূপের কারণে সৃষ্ট সমস্যা
মহাশয়/মহাশয়া,
আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের এলাকার একটি গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমাদের গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন স্থান জুড়ে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকছে, যা পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা এবং মার্কেটের পাশেই প্লাস্টিকের বোতল, খাবারের প্যাকেট, পুরনো কাপড়, এবং অন্যান্য আবর্জনা জমে পড়ছে। এই অবস্থা শুধু সৌন্দর্যহানিই ঘটাচ্ছে না, বরং জীবাণু ও পোকামাকড়ের কারণে রোগবালাইয়েরও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বর্ষাকালে এসব আবর্জনা দ্রুত পচে গিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
এছাড়া, প্লাস্টিকের আবর্জনা নদী, পুকুর এবং খালের মধ্যে মিশে যাওয়ার কারণে জলাভূমির দূষণও হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরিবেশের জন্য আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে।
আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, দ্রুত আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পরিষ্কারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। এলাকায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আবর্জনা সঞ্চয়স্থল নির্মাণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আপনার পত্রিকার মাধ্যমে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হলে আশা করি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে এবং সমাধানের পথ খোলা যাবে।
সাদর,
[আপনার নাম]
[ঠিকানা]
[যোগাযোগ নম্বর]
৫. গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলার
আশু প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে বহুল প্রচারিত দৈনিকে
একটি চিঠি প্রেরণ করো।
সম্পাদক
আনন্দবাজার পত্রিকা
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
২৬ নভেম্বর ২০২৪
বিষয়: গ্রামীণ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা
মহাশয়/মহাশয়া,
আমি আপনার পত্রিকার মাধ্যমে গ্রামীণ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরতে চাই। বর্তমান যুগে প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে দুঃখজনকভাবে, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিশ্বায়নের এই যুগে, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। কম্পিউটার ব্যবহার এবং ডিজিটাল দক্ষতার অভাব তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যালয়গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে ছাত্ররা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পারে।
কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন হলে, ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য প্রযুক্তি, অনলাইন শিক্ষা, এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে। এর ফলে তাদের দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানাই, দ্রুত গ্রামীণ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
আপনার পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হলে, এটি গ্রামীণ শিক্ষার উন্নতির জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সাদর,
[আপনার নাম]
[ঠিকানা]
[যোগাযোগ নম্বর]