📚অষ্টম শ্রেণির পরিবেশ বিজ্ঞান সাজেশন(উত্তরসহ): তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ণ:পার্ট-৩📚
✍️প্রশ্নের মান-৩:
১. কচুরিপানা ও বাঁশ গাছের তিনটি করে ব্যবহার লেখো:
উত্তর:
কচুরিপানা:
1. জলাশয় থেকে জল শোধন করতে ব্যবহৃত হয়।
2. বাগান বা খামারে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
3. কৃষি খামারে পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
বাঁশ গাছ:
1. বাড়ি, ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়।
2. মাটির সেচ এবং পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
3. বাঁশের কাঠি দিয়ে আসবাবপত্র, হাতিয়ার, এবং সামগ্রী তৈরি করা হয়।
২. অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশ দূষণের কারণগুলি লেখো।
উত্তর:
1. শিল্পবর্জ্য: বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত রাসায়নিক বর্জ্য অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করছে।
2. জলবায়ু পরিবর্তন: অ্যান্টার্কটিকের তুষার গলিয়ে যাওয়া এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
3. পর্যটন এবং বিজ্ঞান গবেষণার কারণে দূষণ: অধিক পর্যটন এবং গবেষণার কারণে প্লাস্টিক ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে।
৩. মরুভূমির প্রাণীরা কীভাবে তাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করে তার তিনটি উপায় লেখো।
উত্তর:
1. সকালের বা সন্ধ্যার সময় সক্রিয় থাকে, দিনের বেলা অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচতে গর্ত বা ছায়ায় আশ্রয় নেয়।
2. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে তারা প্রায়ই জল কম খরচ করে।
3. তারা নিজেদের শরীরে পাতলা বা হালকা রঙের আচ্ছাদন রাখে, যা সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে।
৪. জীবনকুশলতা শিক্ষা কী? যে-কোনো দুটি জীবনকুশলতা চর্চার দিক লেখো।
উত্তর:
জীবনকুশলতা শিক্ষা হলো ব্যক্তিগত দক্ষতা, সম্পর্ক নির্মাণ, মানসিক সুস্থতা ও স্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জীবনের দক্ষতা শেখানোর প্রক্রিয়া।
1. সময় ব্যবস্থাপনা: সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে কাজের মান বাড়ানো।
2. আত্মবিশ্বাস: নিজের সক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস রেখে উন্নতির দিকে কাজ করা।
৫. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিতে অণুজীবের ভূমিকা লেখো।
উত্তর:
1. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ: অণুজীব যেমন ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় সহায়ক, যা দই, মিষ্টি, মদ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
2. কৃষিতে: অণুজীব মাটির গুণগত মান উন্নত করতে, পুষ্টি উপাদান পুনর্ব্যবহার করতে এবং ফসলের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
উত্তর:
কচুরিপানা:
1. জলাশয় থেকে জল শোধন করতে ব্যবহৃত হয়।
2. বাগান বা খামারে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
3. কৃষি খামারে পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
বাঁশ গাছ:
1. বাড়ি, ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়।
2. মাটির সেচ এবং পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
3. বাঁশের কাঠি দিয়ে আসবাবপত্র, হাতিয়ার, এবং সামগ্রী তৈরি করা হয়।
২. অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশ দূষণের কারণগুলি লেখো।
উত্তর:
1. শিল্পবর্জ্য: বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত রাসায়নিক বর্জ্য অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করছে।
2. জলবায়ু পরিবর্তন: অ্যান্টার্কটিকের তুষার গলিয়ে যাওয়া এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
3. পর্যটন এবং বিজ্ঞান গবেষণার কারণে দূষণ: অধিক পর্যটন এবং গবেষণার কারণে প্লাস্টিক ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে।
৩. মরুভূমির প্রাণীরা কীভাবে তাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করে তার তিনটি উপায় লেখো।
উত্তর:
1. সকালের বা সন্ধ্যার সময় সক্রিয় থাকে, দিনের বেলা অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচতে গর্ত বা ছায়ায় আশ্রয় নেয়।
2. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে তারা প্রায়ই জল কম খরচ করে।
3. তারা নিজেদের শরীরে পাতলা বা হালকা রঙের আচ্ছাদন রাখে, যা সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে।
৪. জীবনকুশলতা শিক্ষা কী? যে-কোনো দুটি জীবনকুশলতা চর্চার দিক লেখো।
উত্তর:
জীবনকুশলতা শিক্ষা হলো ব্যক্তিগত দক্ষতা, সম্পর্ক নির্মাণ, মানসিক সুস্থতা ও স্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জীবনের দক্ষতা শেখানোর প্রক্রিয়া।
1. সময় ব্যবস্থাপনা: সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে কাজের মান বাড়ানো।
2. আত্মবিশ্বাস: নিজের সক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস রেখে উন্নতির দিকে কাজ করা।
৫. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিতে অণুজীবের ভূমিকা লেখো।
উত্তর:
1. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ: অণুজীব যেমন ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় সহায়ক, যা দই, মিষ্টি, মদ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
2. কৃষিতে: অণুজীব মাটির গুণগত মান উন্নত করতে, পুষ্টি উপাদান পুনর্ব্যবহার করতে এবং ফসলের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৬. আর্কিমিডিসের নীতিটি লেখো। লোহার পেরেক জলে ডুবে গেলেও লোহার তৈরি জাহাজ জলে ভাসে কেন?
উত্তর: 👉 “কোন বস্তুকে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থে নিমজ্জিত করলে বস্তুটি যে ওজন হারায়, তা বস্তু কর্তৃক অপসারিত তরল বা বয়বীয় পদার্থের ওজনের সমান”।
👉লোহার পেরেক জলে ডুবে যাওয়ার কারণ হলো তার আয়তন ছোট এবং ঘনত্ব বেশি। কিন্তু লোহার তৈরি জাহাজের আয়তন অনেক বড়, যার কারণে তার ঘনত্ব কমে যায় এবং এটি জলেতে ভাসে।
৭. অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কী? এটি হওয়ার শর্ত কী? হিরে চকচকে দেখায় কেন?
উত্তর: 👉 ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় আলােকরশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতলে মাধ্যম দুটির সংকট কোণ অপেক্ষা বেশি কোণে আপতিত হলে আপতিত আলােকরশ্মির প্রায় সবটুকু অংশই বিভেদতল থেকে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। এই আলােকীয় ঘটনাকেই অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলা হয়।
উত্তর: 👉 “কোন বস্তুকে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থে নিমজ্জিত করলে বস্তুটি যে ওজন হারায়, তা বস্তু কর্তৃক অপসারিত তরল বা বয়বীয় পদার্থের ওজনের সমান”।
👉লোহার পেরেক জলে ডুবে যাওয়ার কারণ হলো তার আয়তন ছোট এবং ঘনত্ব বেশি। কিন্তু লোহার তৈরি জাহাজের আয়তন অনেক বড়, যার কারণে তার ঘনত্ব কমে যায় এবং এটি জলেতে ভাসে।
৭. অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কী? এটি হওয়ার শর্ত কী? হিরে চকচকে দেখায় কেন?
উত্তর: 👉 ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় আলােকরশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতলে মাধ্যম দুটির সংকট কোণ অপেক্ষা বেশি কোণে আপতিত হলে আপতিত আলােকরশ্মির প্রায় সবটুকু অংশই বিভেদতল থেকে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। এই আলােকীয় ঘটনাকেই অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলা হয়।
👉পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন সংঘটিত হতে প্রধানত দুটি শর্ত রয়েছে, যথা:
১.আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে ঘন ও তুলনামূলক হালকা মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হতে হবে।
২.আপতন কোণ সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।
👉হিরে চকচকে দেখায় কারণ এটি আলোর রশ্মির অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন ঘটায়, ফলে আলো অনেক বার প্রতিফলিত হয়ে চোখে পৌঁছায়।
৮. একটি কঠিন আয়নীয় ও তরল সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও। 1 মিলিগ্রাম লোহা ও 1 মিলিগ্রাম সোনার মধ্যে কোনোটিতে বেশি সংখ্যক পরমাণু আছে?
উত্তর: 👉একটি কঠিন আয়নীয় যৌগের উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
একটি তরল সমযোজী যৌগের উদাহরণ: জলের (H₂O) মধ্যে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের যৌগ।
১.আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে ঘন ও তুলনামূলক হালকা মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হতে হবে।
২.আপতন কোণ সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।
👉হিরে চকচকে দেখায় কারণ এটি আলোর রশ্মির অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন ঘটায়, ফলে আলো অনেক বার প্রতিফলিত হয়ে চোখে পৌঁছায়।
৮. একটি কঠিন আয়নীয় ও তরল সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও। 1 মিলিগ্রাম লোহা ও 1 মিলিগ্রাম সোনার মধ্যে কোনোটিতে বেশি সংখ্যক পরমাণু আছে?
উত্তর: 👉একটি কঠিন আয়নীয় যৌগের উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
একটি তরল সমযোজী যৌগের উদাহরণ: জলের (H₂O) মধ্যে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের যৌগ।
👉1 মিলিগ্রাম লোহা এবং 1 মিলিগ্রাম সোনার মধ্যে সোনায় বেশি কোসংখ্যক পরমাণু থাকে, কারণ সোনার ঘনত্ব বেশি (১৯.৩ গ/সেমি³) এবং লোহার ঘনত্ব (৭.৮ গ/সেমি³) কম।
৯. অন্তর্ধৃতি কী? অক্সিজেনের জারণ ক্রিয়া ও হাইড্রোজেনের বিজারণ বিক্রিয়ার উদাহরণ দাও।
উত্তর: 👉প্যালাডিয়াম, প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতু উত্তপ্ত অবস্থায় বা সাধারণ উষ্ণতায় হাইড্রোজেন গ্যাস কে শোষণ করতে পারে। আবার তাপ দিলে এই শোষিত হাইড্রোজেন গ্যাস বেরিয়ে আসে। এই ঘটনাকে অন্তর্ধৃতি বলে।
👉অক্সিজেনের জারণ ক্রিয়া:
2Mg + O₂ → 2MgO
হাইড্রোজেনের বিজারণ বিক্রিয়া:
2H₂O → 2H₂ + O₂
১০. জ্বালানির তাপন মূল্য বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ বিকল্প জ্বালানির সুবিধা লেখো। সংক্ষেপে কার্বন চক্রের ধাপসমূহ রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর: 👉"তাপন মূল্য" বলতে বোঝায় কোনো জ্বালানি সম্পূর্ণ দহন হলে যে পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
👉বিকল্প জ্বালানির সুবিধা:
1. পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকারক।
2. নবায়নযোগ্য, যেমন সৌর শক্তি বা বায়ু শক্তি।
3. দীর্ঘমেয়াদী প্রাপ্যতা।
👉**কার্বন চক্রের ধাপসমূহ:**
1. উদ্ভিদ সূর্যের আলো থেকে শোষিত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে।
2. প্রাণী সেই উদ্ভিদ খেয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত করে।
3. মৃত প্রাণী বা উদ্ভিদ পদার্থ জৈব দ্রব্যে পরিণত হয়ে মাটিতে কার্বন সংরক্ষণ করে।
4. ভৌত প্রক্রিয়া যেমন আগ্নেয়গিরির উদগীরণ এবং আগুনের মাধ্যমে আবার কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
১১. জলকে দূষণ মুক্ত করতে কচুরিপানার ভূমিকা লেখো। স্কুইডের দুটি দৈহিক বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: 👉কচুরিপানা জল থেকে ভারী ধাতু এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ শোষণ করে জলকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি জলাশয়ে ফেলে রাখা দূষণ উপাদানগুলিকে শোষণ করে, ফলে জলের মান উন্নত হয়।
👉স্কুইডের দুটি দৈহিক বৈশিষ্ট্য:
1. স্কুইডের দেহে একটি জেট প্রোপালশন ব্যবস্থা থাকে, যার মাধ্যমে এটি দ্রুত গতিতে চলতে পারে।
2. স্কুইডের ত্বকে রঞ্জক কোষ থাকে যা পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিজেকে রঙ পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, ফলে এটি শিকারিদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে।
১২. ‘কোশের মস্তিষ্ক’ কোন্ কোশীয় অঙ্গাণুকে বলা হয় এবং কেন?
উত্তর: ‘কোশের মস্তিষ্ক’ বলতে নিউক্লিয়াস বা কোষকেন্দ্রকে বোঝানো হয়। কারণ নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং এতে কোষের জিনগত উপাদান থাকে যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে।
১৩. তরলের চাপ তরলের গভীরতার ওপর নির্ভর করে' – চাপের রাশিমালা প্রতিষ্ঠা করে উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: তরলের চাপ তরলের গভীরতার সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। একটি তরলের চাপ \( P \) এর উপর নির্ভর করে তরলের ঘনত্ব \( \rho \), মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ \( g \), এবং তরলের গভীরতা \( h \) এর উপর, যা প্রকাশ করা যায় এই সূত্রে:
\[ P = \rho gh \]
এখানে, \( \rho \) হলো তরলের ঘনত্ব, \( g \) হলো মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ, এবং \( h \) হলো গভীরতা। অর্থাৎ, গভীরতা বাড়ার সাথে চাপও বাড়ে, কারণ তরলের ওজনও বাড়ে, যা নিচের অংশে বাড়তি চাপ তৈরি করে।
১৪. পরীক্ষাগারে O₂ প্রস্তুতির নীতি সমীকরণসহ লেখো।
উত্তর: পরীক্ষাগারে অক্সিজেন (O₂) প্রস্তুত করার জন্য সাধারণত পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) এর তাপীয় বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিক্রিয়ায় ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড (MnO₂) অনুঘটক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
\[ 2KClO₃ \xrightarrow{heat, MnO₂} 2KCl + 3O₂ \uparrow \]
১৫. শুষ্ক বরফ কী? এটি কীভাবে উৎপন্ন হয়? এর তাপমাত্রা কত?
উত্তর: শুষ্ক বরফ হলো কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)। এটি উচ্চ চাপের অধীনে তরল কার্বন ডাই অক্সাইডকে দ্রুত ঠান্ডা করে কঠিন অবস্থায় পরিবর্তিত করার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। শুষ্ক বরফের তাপমাত্রা প্রায় −৭৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৬. বহুরূপতা কাকে বলে? কার্বনের বহুরূপতার তালিকাটি লেখো।
উত্তর: বহুরূপতা (Allotropy) হলো এমন একটি বৈশিষ্ট্য যেখানে একটি মৌল একই অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে বিদ্যমান থাকতে পারে। কার্বনের বহুরূপতার তালিকাটি হলো:
1. হীরা (Diamond)
2. গ্রাফাইট (Graphite)
3. ফুলারিন (Fullerene)
4. গ্রাফিন (Graphene)
5. কার্বন ন্যানোটিউব (Carbon Nanotubes)
১৭. ZnO কী ধরনের অক্সাইড? NaOH দ্রবণ Zn-এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় কী কী পদার্থ উৎপন্ন করে সমীকরণসহ লেখো।
উত্তর: ZnO হলো একটি অ্যামফোটেরিক অক্সাইড, যা অম্ল ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে।
NaOH দ্রবণের সাথে Zn-এর বিক্রিয়ায় সোডিয়াম জিঙ্কেট (Na₂ZnO₂) এবং হাইড্রোজেন (H₂) গ্যাস উৎপন্ন হয়।
বিক্রিয়া:
\[ Zn + 2NaOH → Na₂ZnO₂ + H₂ \uparrow \]
১৮. 60° কোণে আনত দুটি সমতল দর্পণের মাঝে একটি বিন্দুবস্তু থাকলে দর্পণে কয়টি প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়? এই প্রতিবিম্ব সদ্ না অসদ উল্লেখ করো।
উত্তর: 60° কোণে দুটি আনত সমতল দর্পণের মাঝে একটি বিন্দুবস্তু থাকলে প্রতিবিম্বের সংখ্যা হয়:
\[ \text{প্রতিবিম্বের সংখ্যা} = \frac{360°}{60°} - 1 = 5 \]
এই প্রতিবিম্বগুলি সদ্ প্রতিবিম্ব।
উত্তর: তরলের চাপ তরলের গভীরতার সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। একটি তরলের চাপ \( P \) এর উপর নির্ভর করে তরলের ঘনত্ব \( \rho \), মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ \( g \), এবং তরলের গভীরতা \( h \) এর উপর, যা প্রকাশ করা যায় এই সূত্রে:
\[ P = \rho gh \]
এখানে, \( \rho \) হলো তরলের ঘনত্ব, \( g \) হলো মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ, এবং \( h \) হলো গভীরতা। অর্থাৎ, গভীরতা বাড়ার সাথে চাপও বাড়ে, কারণ তরলের ওজনও বাড়ে, যা নিচের অংশে বাড়তি চাপ তৈরি করে।
১৪. পরীক্ষাগারে O₂ প্রস্তুতির নীতি সমীকরণসহ লেখো।
উত্তর: পরীক্ষাগারে অক্সিজেন (O₂) প্রস্তুত করার জন্য সাধারণত পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) এর তাপীয় বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিক্রিয়ায় ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড (MnO₂) অনুঘটক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
\[ 2KClO₃ \xrightarrow{heat, MnO₂} 2KCl + 3O₂ \uparrow \]
১৫. শুষ্ক বরফ কী? এটি কীভাবে উৎপন্ন হয়? এর তাপমাত্রা কত?
উত্তর: শুষ্ক বরফ হলো কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)। এটি উচ্চ চাপের অধীনে তরল কার্বন ডাই অক্সাইডকে দ্রুত ঠান্ডা করে কঠিন অবস্থায় পরিবর্তিত করার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। শুষ্ক বরফের তাপমাত্রা প্রায় −৭৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৬. বহুরূপতা কাকে বলে? কার্বনের বহুরূপতার তালিকাটি লেখো।
উত্তর: বহুরূপতা (Allotropy) হলো এমন একটি বৈশিষ্ট্য যেখানে একটি মৌল একই অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে বিদ্যমান থাকতে পারে। কার্বনের বহুরূপতার তালিকাটি হলো:
1. হীরা (Diamond)
2. গ্রাফাইট (Graphite)
3. ফুলারিন (Fullerene)
4. গ্রাফিন (Graphene)
5. কার্বন ন্যানোটিউব (Carbon Nanotubes)
১৭. ZnO কী ধরনের অক্সাইড? NaOH দ্রবণ Zn-এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় কী কী পদার্থ উৎপন্ন করে সমীকরণসহ লেখো।
উত্তর: ZnO হলো একটি অ্যামফোটেরিক অক্সাইড, যা অম্ল ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে।
NaOH দ্রবণের সাথে Zn-এর বিক্রিয়ায় সোডিয়াম জিঙ্কেট (Na₂ZnO₂) এবং হাইড্রোজেন (H₂) গ্যাস উৎপন্ন হয়।
বিক্রিয়া:
\[ Zn + 2NaOH → Na₂ZnO₂ + H₂ \uparrow \]
১৮. 60° কোণে আনত দুটি সমতল দর্পণের মাঝে একটি বিন্দুবস্তু থাকলে দর্পণে কয়টি প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়? এই প্রতিবিম্ব সদ্ না অসদ উল্লেখ করো।
উত্তর: 60° কোণে দুটি আনত সমতল দর্পণের মাঝে একটি বিন্দুবস্তু থাকলে প্রতিবিম্বের সংখ্যা হয়:
\[ \text{প্রতিবিম্বের সংখ্যা} = \frac{360°}{60°} - 1 = 5 \]
এই প্রতিবিম্বগুলি সদ্ প্রতিবিম্ব।
১৯. পটাশিয়াম ক্লোরেট থেকে অক্সিজেন প্রস্তুতিতে ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করা হয় কেন? সমীকরণ লেখো।
উত্তর: পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) থেকে অক্সিজেন প্রস্তুতিতে ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO₂) ব্যবহার করা হয় কারণ এটি একটি অনুঘটক (catalyst) হিসেবে কাজ করে এবং বিক্রিয়ার গতি দ্রুত করে। ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড বিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকলেও নিজে পরিবর্তিত হয় না, শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। এটি অক্সিজেন গ্যাসের উৎপাদনকে সহজ করে।
বিক্রিয়া:
\[ 2KClO₃ \xrightarrow{MnO₂, heat} 2KCl + 3O₂ \uparrow \]
২০. বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও।
উত্তর: বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার হলো এমন পলিমার যা প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা সহজেই ক্ষয় হয় বা বিশ্লেষিত হয়, যেমন—ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজমের মাধ্যমে। এই পলিমার পরিবেশে কম ক্ষতি করতে সহায়ক হয়।
উদাহরণ:
1. পলিল্যাকটিক অ্যাসিড (PLA)
2. পলিহাইড্রোক্সি অ্যালকানোয়েটস (PHA)
২১. 15 kg ভরের একটি বস্তুকে পৃথিবী কত বল দ্বারা টানে? খনির মধ্যে বস্তুর ওজন বাড়বে না কমবে?
উত্তর: 👉ভরের একটি বস্তু পৃথিবীর দিকে যে বল দ্বারা টানা হয়, তা হলো তার ওজন। পৃথিবীতে গৃহীত বলের মান হিসাব করা হয় নিম্নলিখিত সূত্রে:
\[ F = m \cdot g \]
এখানে,
\( F \) হলো ওজন,
\( m \) হলো ভর (15 kg),
\( g \) হলো মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (প্রায় 9.8 মি/সেকেন্ড²)।
তাহলে,
\[ F = 15 \, \text{kg} \times 9.8 \, \text{m/s}^2 = 147 \, \text{N} \]
অর্থাৎ, 15 kg ভরের একটি বস্তুকে পৃথিবী 147 নিউটন বল দ্বারা টানে।
👉খনির মধ্যে, বস্তুর ওজন কমে যাবে, কারণ পৃথিবীর পৃষ্ঠের তুলনায় খনির গভীরে মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ কিছুটা কম থাকে, যার ফলে ওজনও কিছুটা কম হবে।
উত্তর: পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) থেকে অক্সিজেন প্রস্তুতিতে ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO₂) ব্যবহার করা হয় কারণ এটি একটি অনুঘটক (catalyst) হিসেবে কাজ করে এবং বিক্রিয়ার গতি দ্রুত করে। ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড বিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকলেও নিজে পরিবর্তিত হয় না, শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। এটি অক্সিজেন গ্যাসের উৎপাদনকে সহজ করে।
বিক্রিয়া:
\[ 2KClO₃ \xrightarrow{MnO₂, heat} 2KCl + 3O₂ \uparrow \]
২০. বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও।
উত্তর: বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার হলো এমন পলিমার যা প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা সহজেই ক্ষয় হয় বা বিশ্লেষিত হয়, যেমন—ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজমের মাধ্যমে। এই পলিমার পরিবেশে কম ক্ষতি করতে সহায়ক হয়।
উদাহরণ:
1. পলিল্যাকটিক অ্যাসিড (PLA)
2. পলিহাইড্রোক্সি অ্যালকানোয়েটস (PHA)
২১. 15 kg ভরের একটি বস্তুকে পৃথিবী কত বল দ্বারা টানে? খনির মধ্যে বস্তুর ওজন বাড়বে না কমবে?
উত্তর: 👉ভরের একটি বস্তু পৃথিবীর দিকে যে বল দ্বারা টানা হয়, তা হলো তার ওজন। পৃথিবীতে গৃহীত বলের মান হিসাব করা হয় নিম্নলিখিত সূত্রে:
\[ F = m \cdot g \]
এখানে,
\( F \) হলো ওজন,
\( m \) হলো ভর (15 kg),
\( g \) হলো মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (প্রায় 9.8 মি/সেকেন্ড²)।
তাহলে,
\[ F = 15 \, \text{kg} \times 9.8 \, \text{m/s}^2 = 147 \, \text{N} \]
অর্থাৎ, 15 kg ভরের একটি বস্তুকে পৃথিবী 147 নিউটন বল দ্বারা টানে।
👉খনির মধ্যে, বস্তুর ওজন কমে যাবে, কারণ পৃথিবীর পৃষ্ঠের তুলনায় খনির গভীরে মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ কিছুটা কম থাকে, যার ফলে ওজনও কিছুটা কম হবে।
২২. পরীক্ষাগারে অক্সিজেন প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্যের নাম, সংকেত ও বিক্রিয়াটির সমীকরণ লেখো।
উত্তর: অক্সিজেন প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষাগারে সাধারণত পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) এবং ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO₂) ব্যবহার করা হয়। ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এবং পটাশিয়াম ক্লোরেটের বিক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য:
1. পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃)
2. ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO₂)
বিক্রিয়া সমীকরণ:
2KClO₃ →[MnO₂, heat] 2KCl + 3O₂ ↑
২৩. আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখো।
উত্তর: আলোর প্রতিসরণের দুটি সূত্র হলো:
প্রথম সূত্র:
আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব (normal) একই সমতলে অবস্থান করে।
দ্বিতীয় সূত্র (স্নেলের সূত্র):
একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট বর্ণের আলোক রশ্মির ক্ষেত্রে আপতন কোণের sine এবং প্রতিসরণ কোণের sine এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক। একে স্নেলের সূত্রও বলা হয়।
এটি গণিতের ভাষায় এইভাবে প্রকাশিত হয়:
\[\frac{\sin i}{\sin r} = \mu\]
এখানে,
\(i\) = আপতন কোণ,
\(r\) = প্রতিসরণ কোণ,
\(\mu\) = প্রতিসরণ সূচক (refractive index)।
২৪. তুমি একটি আয়না থেকে 60 cm দূরে দাঁড়িয়ে আছো। তোমার থেকে তোমার প্রতিবিম্বের দূরত্ব কত হবে?
উত্তর: একটি আয়নায় প্রতিবিম্বের দূরত্ব বস্তুটির দূরত্বের সমান হয়, যদি আয়না সমতল আয়না হয়। সুতরাং, তুমি যদি আয়না থেকে 60 cm দূরে দাঁড়াও, তাহলে তোমার প্রতিবিম্বও 60 cm দূরে হবে, কিন্তু এটি আয়নার অপর পাশে হবে।
অর্থাৎ, তোমার প্রতিবিম্বের দূরত্বও 60 cm।
উত্তর: অক্সিজেন প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষাগারে সাধারণত পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) এবং ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO₂) ব্যবহার করা হয়। ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এবং পটাশিয়াম ক্লোরেটের বিক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য:
1. পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃)
2. ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO₂)
বিক্রিয়া সমীকরণ:
2KClO₃ →[MnO₂, heat] 2KCl + 3O₂ ↑
২৩. আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখো।
উত্তর: আলোর প্রতিসরণের দুটি সূত্র হলো:
প্রথম সূত্র:
আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব (normal) একই সমতলে অবস্থান করে।
দ্বিতীয় সূত্র (স্নেলের সূত্র):
একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট বর্ণের আলোক রশ্মির ক্ষেত্রে আপতন কোণের sine এবং প্রতিসরণ কোণের sine এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক। একে স্নেলের সূত্রও বলা হয়।
এটি গণিতের ভাষায় এইভাবে প্রকাশিত হয়:
\[\frac{\sin i}{\sin r} = \mu\]
এখানে,
\(i\) = আপতন কোণ,
\(r\) = প্রতিসরণ কোণ,
\(\mu\) = প্রতিসরণ সূচক (refractive index)।
২৪. তুমি একটি আয়না থেকে 60 cm দূরে দাঁড়িয়ে আছো। তোমার থেকে তোমার প্রতিবিম্বের দূরত্ব কত হবে?
উত্তর: একটি আয়নায় প্রতিবিম্বের দূরত্ব বস্তুটির দূরত্বের সমান হয়, যদি আয়না সমতল আয়না হয়। সুতরাং, তুমি যদি আয়না থেকে 60 cm দূরে দাঁড়াও, তাহলে তোমার প্রতিবিম্বও 60 cm দূরে হবে, কিন্তু এটি আয়নার অপর পাশে হবে।
অর্থাৎ, তোমার প্রতিবিম্বের দূরত্বও 60 cm।
✍️প্রশ্নের মান-৫:
১. বনভূমি ধ্বংস হলে কী কী সমস্যা হতে পারে? শ্বাসমূল কী?
উত্তর: 👉বনভূমি ধ্বংস হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি হতে পারে:
1. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নের কারণ হতে পারে।
2. মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়, কারণ গাছপালা মাটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
3. জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়, কারণ অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ বনভূমির ওপর নির্ভরশীল।
👉শ্বাসমূল: শ্বাসমূল হলো বিশেষ ধরনের মূল, যা সাধারণত জলাভূমিতে জন্মায়। উদ্ভিদ শ্বাসমূলের সাহায্যে বায়ু থেকে অক্সিজেন শোষণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়, যেমন—কেওড়া ও সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়।
২. নিমগাছের বিভিন্ন অংশের ঔষধি গুণ সম্পর্কে লেখো। পুকুর ও হ্রদে যদি কচুরিপানার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে কী সমস্যা সৃষ্টি হবে?
উত্তর: 👉নিমগাছের বিভিন্ন অংশের ঔষধি গুণাবলি হলো:
1. নিমের পাতা: ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
2. নিমের ছাল: চর্মরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
3. নিমের তেল: এটি চুল ও ত্বকের যত্নে এবং কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
👉কচুরিপানার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা হলে পুকুর ও হ্রদে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যেমন:
1. জলাশয়ে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, যা মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
2. জলাশয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
3. পুকুর ও হ্রদে মশার জন্ম বাড়ে, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
৩. শৈবালের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো। হাইফি কী?
উত্তর: 👉শৈবালের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
1. এগুলি প্রধানত জলজ উদ্ভিদ, যা স্বাদু ও লবণাক্ত উভয় পানিতে জন্মাতে পারে।
2. শৈবালকে সাধারণত ক্লোরোফিলযুক্ত ফটোসিন্থেটিক উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
3. এরা এককোষী বা বহুকোষী উভয় হতে পারে এবং সাধারণত বংশবৃদ্ধি করে স্পোরের মাধ্যমে।
👉হাইফি: হাইফি হলো ছত্রাকের দেহের একটি প্রধান অংশ, যা দীর্ঘ সুতা সদৃশ গঠন নিয়ে গঠিত এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি ও পুষ্টি সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪. মাইটোকনড্রিয়ার গঠন বর্ণনা করো। জিন কী?
উত্তর: 👉মাইটোকনড্রিয়ার গঠন: মাইটোকনড্রিয়া ডবল মেমব্রেনযুক্ত কোষীয় অঙ্গাণু। এর বাইরের ঝিল্লি মসৃণ এবং অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি অনেকটা ভাঁজযুক্ত, যাকে ক্রিস্টি বলা হয়। ক্রিস্টিগুলি মাইটোকনড্রিয়ার পৃষ্ঠতল বৃদ্ধি করে, যা কোষীয় শ্বসনের মাধ্যমে এনার্জি (ATP) উৎপন্ন করে। মাইটোকনড্রিয়ার অভ্যন্তরভাগে মাইটোকন্ড্রিয়াল ম্যাট্রিক্স থাকে, যেখানে বিভিন্ন উৎসেচক ও মাইটোকন্ড্রিয়াল DNA উপস্থিত থাকে।
👉জিন: জিন হলো ডিএনএ (DNA) এর একটি নির্দিষ্ট অংশ, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। এটি প্রোটিন সংশ্লেষণ ও জীবের বৈশিষ্ট্য প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উত্তর: 👉বনভূমি ধ্বংস হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি হতে পারে:
1. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নের কারণ হতে পারে।
2. মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়, কারণ গাছপালা মাটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
3. জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়, কারণ অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ বনভূমির ওপর নির্ভরশীল।
👉শ্বাসমূল: শ্বাসমূল হলো বিশেষ ধরনের মূল, যা সাধারণত জলাভূমিতে জন্মায়। উদ্ভিদ শ্বাসমূলের সাহায্যে বায়ু থেকে অক্সিজেন শোষণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়, যেমন—কেওড়া ও সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়।
২. নিমগাছের বিভিন্ন অংশের ঔষধি গুণ সম্পর্কে লেখো। পুকুর ও হ্রদে যদি কচুরিপানার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে কী সমস্যা সৃষ্টি হবে?
উত্তর: 👉নিমগাছের বিভিন্ন অংশের ঔষধি গুণাবলি হলো:
1. নিমের পাতা: ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
2. নিমের ছাল: চর্মরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
3. নিমের তেল: এটি চুল ও ত্বকের যত্নে এবং কীটনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
👉কচুরিপানার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা হলে পুকুর ও হ্রদে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যেমন:
1. জলাশয়ে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, যা মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
2. জলাশয়ে সূর্যের আলো প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
3. পুকুর ও হ্রদে মশার জন্ম বাড়ে, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
৩. শৈবালের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো। হাইফি কী?
উত্তর: 👉শৈবালের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
1. এগুলি প্রধানত জলজ উদ্ভিদ, যা স্বাদু ও লবণাক্ত উভয় পানিতে জন্মাতে পারে।
2. শৈবালকে সাধারণত ক্লোরোফিলযুক্ত ফটোসিন্থেটিক উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
3. এরা এককোষী বা বহুকোষী উভয় হতে পারে এবং সাধারণত বংশবৃদ্ধি করে স্পোরের মাধ্যমে।
👉হাইফি: হাইফি হলো ছত্রাকের দেহের একটি প্রধান অংশ, যা দীর্ঘ সুতা সদৃশ গঠন নিয়ে গঠিত এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি ও পুষ্টি সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪. মাইটোকনড্রিয়ার গঠন বর্ণনা করো। জিন কী?
উত্তর: 👉মাইটোকনড্রিয়ার গঠন: মাইটোকনড্রিয়া ডবল মেমব্রেনযুক্ত কোষীয় অঙ্গাণু। এর বাইরের ঝিল্লি মসৃণ এবং অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি অনেকটা ভাঁজযুক্ত, যাকে ক্রিস্টি বলা হয়। ক্রিস্টিগুলি মাইটোকনড্রিয়ার পৃষ্ঠতল বৃদ্ধি করে, যা কোষীয় শ্বসনের মাধ্যমে এনার্জি (ATP) উৎপন্ন করে। মাইটোকনড্রিয়ার অভ্যন্তরভাগে মাইটোকন্ড্রিয়াল ম্যাট্রিক্স থাকে, যেখানে বিভিন্ন উৎসেচক ও মাইটোকন্ড্রিয়াল DNA উপস্থিত থাকে।
👉জিন: জিন হলো ডিএনএ (DNA) এর একটি নির্দিষ্ট অংশ, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। এটি প্রোটিন সংশ্লেষণ ও জীবের বৈশিষ্ট্য প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।