🌹বি.এ(সেমিস্টার-২):মাইনর-২ ইতিহাস সাজেশন:Part-1🌹

📚বি.এ(সেমিস্টার-২):মাইনর-২ ইতিহাস সাজেশন:Part-1📚

 

 

✍️প্রশ্নের মান-২:

1. গুপ্ত যুগে আগত দুজন চৈনিক পর্যটকের নাম করো।  
   উঃ ই-সিং ও ফা-হিয়েন।

2. গুপ্তাব্দ কে কবে প্রচলন করেন?  
   উঃ গুপ্ত সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ৩১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে।

3. এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেন? এই লিপির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কি?  
   উঃ চন্দ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেন। এই লিপি থেকে সমুদ্র গুপ্তের উত্তর ও দক্ষিণ ভারত অভিযানের বিবরণ পাওয়া যায়। পাশাপাশি সমুদ্র গুপ্তের কৃতিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

4. গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে? তিনি কবে সিংহাসন আরোহন করেন?  
   উঃ গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীগুপ্ত। তিনি ২৭৫ খ্রিস্টাব্দের সিংহাসন আরোহন করেন।

5. গুপ্ত যুগের প্রথম সার্বভৌম রাজার নাম কি? তিনি কি উপাধি নেন?  
   উঃ গুপ্ত যুগের প্রথম সার্বভৌম শাসকের নাম প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। তিনি মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।

6. কাকে ভারতের নেপোলিয়ান বলা হয় এবং কেন?  
   উঃ গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তকে ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয়। সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন যুদ্ধে সমুদ্রগুপ্তের অসাধারণ সাফল্যের জন্য স্মিথ তাঁকে এই অভিধান প্রদান করেছেন।

7. গ্রহণ মোক্ষ অনুগ্রহ নীতি কি?  
   উঃ গুপ্ত সন্ধ্যার সমুদ্র গুপ্তের সাম্রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির সম্পর্কে যে নীতি নেন, তাকে গ্রহণ মোক্ষ অনুগ্রহ নীতি বলা হয়। এই নীতি অনুসারে তিনি দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিকে পরাজিত করেন।

8. কোন গুপ্ত সম্রাট অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন? বিবরণ থেকে এটি জানা যায়?  
   উঃ গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত রাজ্য জয়ের পর অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে এটি জানা যায়।

9. সমুদ্র গুপ্ত কি কি উপাধি গ্রহণ করেছিলেন?  
   উঃ কবিরাজ, পরাক্রমাঙ্ক, সর্বরাজোচ্ছেত্তা।

10. কোন গুপ্ত রাজাকে ভারতের রক্ষাকারী বলা হয় এবং কেন?  
    উঃ স্কন্দ গুপ্তকে ভারতের রক্ষাকারী বলা হয়। স্কন্দগুপ্ত হুন জাতিকে পরাজিত করে গুপ্ত সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন। তাই তাঁকে এই উপাধি দেয়া হয়।

11. অগ্রহার প্রথা কী?  
    উঃ গুপ্ত রাজারা ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত শ্রেণিকে প্রচুর জমি ও গ্রাম দান করতেন। এগুলির জন্য তাদের কোন কর দিতে হতো না। এই নিষ্কর জমি ব্রাহ্মণদের চিরকালের জন্য দান করার নীতিকে অগ্রহার প্রথা বলা হয়।

12. শকারি কাকে বলা হয় এবং কেন?  
    উঃ গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে বলা হয়। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত পশ্চিম ভারত থেকে দুর্ধর্ষ শকদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে শকারি উপাধি গ্রহণ করেন।

14. ব্রহ্মবাদিনী কাদের বলা হত?  
    উঃ গুপ্ত যুগে যে সমস্ত মহিলা আজীবন বেদ অধ্যায়নের কাজ করতেন, তাদের ব্রহ্মবাদিনী বলা হত।

15. গুপ্ত যুগের দুজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নাম লেখ। তাঁদের লেখা বিখ্যাত গ্রন্থগুলির নাম কি?  
    উঃ আর্যভট্ট এবং বরাহমিহির।  
    আর্যভট্টের লেখা গ্রন্থগুলি হল সূর্যসিদ্ধান্ত এবং আর্যভট্টীয়ম।  
    বরাহমিহিরের লেখা বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল বৃহৎসংহিতা ও পঞ্চসিদ্ধান্তিকা।

16. অমরকোষ কি? এটি কে রচনা করেছিলেন?  
    উঃ অমরকোষ গুপ্ত যুগের রচিত একটি বিশ্বকোষ গ্রন্থ। এই গ্রন্থটির রচনা করেন বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার সদস্য অমরসিংহ।

17. সমুদ্রগুপ্তের লেখা কাব্যের নাম। তিনি কেন কবিরাজ উপাধি নেন?  
    উঃ সমুদ্রগুপ্তের লেখা কাব্যের নাম কৃষ্ণচরিতম। তিনি কবিতা ও সাহিত্য রচনার জন্য কবিরাজ উপাধি নেন।

18. গুপ্ত যুগকে কেন সুবর্ণ যুগ বলা হয়?  
    উঃ গুপ্ত যুগের রাজনৈতিক ঐক্যের পাশাপাশি আর্থিক উন্নতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশ, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, বিজ্ঞান প্রভৃতি ব্যাপক উন্নতি ঘটেছিল। এই সমস্ত কারণে অনেকে গুপ্ত যুগকে সুবর্ণ যুগের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

19. কাকে ভারতের শেক্সপিয়ার বলা হয়? তাঁর লেখা দুটি নাটকের নাম।  
    উঃ কবি কালিদাসকে ভারতের শেক্সপিয়ার বলা হয়। তাঁর লেখা দুটি নাটকের নাম অভিজ্ঞান শকুন্তলম এবং মালবিকাগ্নিমিত্রম।

20. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের মূল কারণ কি ছিল?  
    উঃ বিশাল সাম্রাজ্যে যোগাযোগের অভাব, দুর্বল উত্তরাধিকারীদের শাসন, স্থায়ী সেনাবাহিনীর অভাব, হুন আক্রমণ প্রভৃতি।

21. বানভট্ট কে ছিলেন?  
    উঃ গুপ্ত যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন।

 22. হর্ষবর্ধন কোন অব্দের প্রচলন করেন? তিনি এই অব্দটি কবে চালু করেন?  
    উঃ হর্ষবর্ধন হর্ষাব্দ নামে একটি অব্দের প্রচলন করেন। হর্ষবর্ধন ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণের পর এই অব্দটি চালু করেন।

23. সকল উত্তরাপথনাথ হিসেবে কোন সম্রাটকে অভিহিত করা হতো? কোন উপাদান থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়?  
    উঃ থানেশ্বরের রাজা হর্ষবর্ধনকে অভিহিত করা হতো। আইহোল প্রশস্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।

24. কোন চিনা পর্যটক হর্ষবর্ধনের সভায় এসেছিলেন? তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম কি?  
    উঃ হিউয়েন সাং। তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম "সি ইউ কি"।

 25. হর্ষবর্ধনের রাজধানীর নাম কি ছিল?  
    উঃ হর্ষবর্ধনের রাজধানীর নাম ছিল কনৌজ।

26. হর্ষবর্ধনের রাজত্বকাল কত বছর ছিল?  
    উঃ হর্ষবর্ধনের রাজত্বকাল ছিল ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় ৪১ বছর।

27. হর্ষবর্ধন কোন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?  
    উঃ হর্ষবর্ধন প্রথমে হিন্দুধর্মের অনুসারী ছিলেন, পরে মহাযান বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।

28. হর্ষবর্ধনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক কৃতিত্ব কি ছিল?  
    উঃ হর্ষবর্ধন নিজেই নাট্যকার ছিলেন এবং তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত নাটক হল “নাগানন্দ” এবং “রত্নাবলী”।

29. হর্ষবর্ধনের রাজসভায় কোন বিখ্যাত কবি ছিলেন?  
    উঃ হর্ষবর্ধনের রাজসভায় বিখ্যাত কবি বানভট্ট ছিলেন, যিনি "হর্ষচরিত" নামে হর্ষের জীবনী রচনা করেছিলেন।

 30. হর্ষবর্ধনকে কেন সকল উত্তরাপথনাথ বলা হত?  
    উঃ বানভট্টের বিবরণ অনুসারে, হর্ষবর্ধন সমগ্র উত্তর ভারত জয় করেছিলেন। তাঁর সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয় পর্বতের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে নর্মদা নদী এবং পূর্বে গঞ্জাম জেলা থেকে পশ্চিমে বলভী রাজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এজন্য তাঁকে সকল উত্তরাপথনাথ বলা হত।

31. শশাঙ্ক কে ছিলেন?  
    উঃ শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম শাসক। তিনি প্রথম জীবনে একজন সামন্ত রাজা ছিলেন। পরে তিনি গৌড়ের শাসক হন। তাঁর শাসনকালে গৌড়ের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল।

32. হর্ষবর্ধনের সম্রাজ্য বিস্তারের প্রধান শত্রু কে ছিলেন?  
    উঃ হর্ষবর্ধনের সম্রাজ্য বিস্তারের প্রধান শত্রু ছিলেন বাংলার রাজা শশাঙ্ক এবং দক্ষিণ ভারতের চালুক্য রাজা পুলকেশিন দ্বিতীয়।

33. কোন যুদ্ধের পর হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্য বিস্তার থেমে যায়?  
    উঃ পুলকেশিন দ্বিতীয়ের সাথে নর্মদা নদীর তীরে সংঘটিত যুদ্ধের পর হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্য বিস্তার থেমে যায়, কারণ তিনি এই যুদ্ধে পরাজিত হন।

34. হর্ষবর্ধনের রাজ্যে কোন দুটি ধর্ম প্রধান ছিল?  
    উঃ হর্ষবর্ধনের রাজ্যে প্রধানত হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধধর্ম প্রচলিত ছিল।

 35. হর্ষবর্ধনের সভাকবি কে ছিলেন? হর্ষবর্ধনের লেখা কয়েকটি গ্রন্থের নাম।  
    উঃ হর্ষবর্ধনের সভাকবির নাম ছিল বানভট্ট। হর্ষবর্ধনের লেখা কয়েকটি গ্রন্থ হল "নাগানন্দ", "রত্নাবলী", এবং "প্রিয়দর্শিকা"।

36. হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে কোন বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন? তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম।  
    উঃ চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাঙ হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে ভারতে আসেন। তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম "সি-ইউ-কি"।

 37. দক্ষিণ ভারতে কোন কোন রাজশক্তি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল?  
    উঃ দক্ষিণ ভারতে বিশেষ উল্লেখযোগ্য রাজশক্তিগুলি হল চালুক্য, পল্লব, চোল, এবং রাষ্ট্রকূট।

38. পল্লব বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন? তিনি কি উপাধি নেন এবং কেন?  
    উঃ পল্লব বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম নরসিংহবর্মন। তিনি বাতাপির চালুক্য রাজাদের পরাজিত করে "বাতাপিকোণ্ড" উপাধি গ্রহণ করেন।

 39. প্রথম নরসিংহবর্মনের শাসনকালে কোন বিখ্যাত স্থাপত্য নির্মিত হয়?  
    উঃ প্রথম নরসিংহবর্মনের শাসনকালে মহাবলিপুরমে বিখ্যাত রথমন্দিরগুলি নির্মিত হয়, যা পল্লব স্থাপত্যশৈলীর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

40. চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক কে ছিলেন?  
    উঃ চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন পুলকেশিন দ্বিতীয়। তিনি হর্ষবর্ধনের মতো শক্তিশালী শাসকদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন।

41. হিউয়েন সাঙ কোন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন?  
    উঃ হিউয়েন সাঙ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন এবং সেখানে বহু বছর ধরে অধ্যয়ন করেছিলেন।

42. পুলকেশিন দ্বিতীয় কোন যুদ্ধে হর্ষবর্ধনকে পরাজিত করেন?  
    উঃ পুলকেশিন দ্বিতীয় নর্মদা নদীর তীরে সংঘটিত যুদ্ধে হর্ষবর্ধনকে পরাজিত করেন, যা দক্ষিণ ভারতের চালুক্য রাজবংশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

43. পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?  
    উঃ পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল। তিনি বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন, যা ভারতীয় ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিল।

 44. ব্রহ্মদেয় বলতে কী বোঝো?  
    উঃ পল্লব যুগে ব্রাহ্মণদের সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করা হত। এই যুগে রাজারা ব্রাহ্মণদের নিষ্কর জমি ও গ্রাম দান করতেন। ব্রাহ্মণদের দান করা জমি ও গ্রামগুলিকে বলা হত ব্রহ্মদেয়।

45. আইহোল প্রশস্তি কে রচনা করেন? এর বিষয়বস্তু কি ছিল?  
    উঃ দ্বিতীয় পুলকেশীর সভাকবি রবিকীর্তি আইহোল প্রশস্তি রচনা করেন। এতে চালুক্য রাজা দ্বিতীয় পুলকেশীর শাসনকালের কার্যাবলীর বিবরণ দেয়া হয়েছে।

46. পল্লব রাজাদের আমলে কোন স্থাপত্যশিল্প বিখ্যাত ছিল?  
    উঃ পল্লব রাজাদের আমলে মহাবলিপুরমের মন্দির ও রথমন্দির স্থাপত্যশিল্প বিশেষভাবে বিখ্যাত ছিল।

47. কোন রাজা চালুক্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন?  
    উঃ চালুক্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পুলকেশিন প্রথম।

48. দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজত্বকালে কোন বিদেশি শাসকের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল?  
    উঃ দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজত্বকালে পারস্যের সাসানীয় রাজবংশের শাসক খসরু দ্বিতীয়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল।

 49. বিলহনের লেখা বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কি? তিনি কোন রাজার সভাকবি ছিলেন?  
    উঃ বিলহনের লেখা বিখ্যাত গ্রন্থটি হল "বিক্রমাঙ্কদেবচরিত"। তিনি বিক্রমাদিত্যের সভাকবি ছিলেন।

50. রাষ্ট্রকূট রাজবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে?  
    উঃ রাষ্ট্রকূট বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দন্তিদুর্গ। এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম ছিল তৃতীয় গোবিন্দ।

51. তৃতীয় গোবিন্দ কেন রাষ্ট্রকূট বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে পরিচিত?  
    উঃ তৃতীয় গোবিন্দ তার সামরিক সাফল্য এবং সাম্রাজ্যের বিস্তারের জন্য রাষ্ট্রকূট বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে পরিচিত। তাঁর শাসনকালে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্য দক্ষিণ ভারতের অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্য হয়ে ওঠে।

52. রাষ্ট্রকূট বংশের শাসনকালে কোন বিখ্যাত মন্দির নির্মিত হয়েছিল?  
    উঃ রাষ্ট্রকূট বংশের শাসনকালে এলোরার কৈলাস মন্দির নির্মিত হয়েছিল, যা তাদের স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

53. তৃতীয় গোবিন্দ কোন বিখ্যাত যুদ্ধ জয় করেছিলেন?  
    উঃ তৃতীয় গোবিন্দ বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন, যা তার সামরিক সাফল্যের অন্যতম প্রধান উদাহরণ।

 54. স্বাধীন চোল রাজ্যের স্রষ্টা কাকে বলা হয়? তিনি কোথায় রাজধানী স্থাপন করেন?  
    উঃ স্বাধীন চোল রাজ্যের স্রষ্টা ছিলেন বিজয়ালয়। তিনি তাঞ্জোরে রাজধানী স্থাপন করেন।

55. চোল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন? তিনি কোন উপাধি নেন?  
    উঃ চোল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম রাজেন্দ্র চোল। তিনি "গঙ্গাইকোন্ড" উপাধি নেন।

56. প্রথম রাজেন্দ্র চোল কেন "গঙ্গাইকোন্ড" উপাধি নেন?  
    উঃ প্রথম রাজেন্দ্র চোল "গঙ্গাইকোন্ড" উপাধি নেন কারণ তিনি গঙ্গা নদী অতিক্রম করে উত্তর ভারতে অভিযান চালিয়ে বিজয়ী হন।

57. চোল রাজত্বের শাসনকালে কোন দুটি উল্লেখযোগ্য সামরিক অভিযান সংঘটিত হয়?  
    উঃ চোল রাজত্বের শাসনকালে দক্ষিণ ভারত এবং সেলোনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সামরিক অভিযান সংঘটিত হয়েছিল।

58. চোল বংশের স্থাপত্যশিল্পে কোন বিখ্যাত মন্দির নির্মিত হয়েছিল?  
    উঃ চোল বংশের স্থাপত্যশিল্পে বিখ্যাত ব্রহাদীশ্বর মন্দির নির্মিত হয়েছিল, যা তাঞ্জোরে অবস্থিত।

59. গঙ্গাইকোন্ড উপাধি কে এবং কখন গ্রহণ করেন?  
    উঃ চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল "গঙ্গাইকোন্ড" উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ জয় করার পর এই উপাধি নেন।

60. মন্ডলম ও নাড়ু বলতে কী বোঝো?  
    উঃ চোল যুগের শাসন ব্যবস্থায় প্রদেশগুলোকে বলা হত "মন্ডলম" এবং জেলাগুলিকে কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত করে "নাড়ু" বলা হতো।

61. উর ও সভা কি ছিল?  
    উঃ চোল যুগের স্থানীয় শাসনের গ্রাম পরিচালনার দুটি সভার নাম ছিল "উর" এবং "সভা"। "উর" সমস্ত করদাতা প্রাপ্তবয়স্ক গ্রামবাসীদের নিয়ে গঠিত হত, আর "সভা" ব্রাহ্মণদের নিয়ে গঠিত হতো।

62. চোল যুগের শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও স্থানীয় সরকারের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল?  
    উঃ চোল যুগের শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্র এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে সুসংহত সম্পর্ক ছিল। স্থানীয় সরকারগুলি স্থানীয় উন্নয়ন ও প্রশাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বায়ত্তশাসিত ছিল।

63. চোল রাজাদের আমলে সংস্কৃতির কোন ক্ষেত্রগুলির উন্নতি হয়েছিল?  
    উঃ চোল রাজাদের আমলে স্থাপত্য, সংগীত, নৃত্য এবং সাহিত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলির ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল।

64. নগরম বলতে কী বোঝো? কাসু কি ছিল?  
    উঃ চোল যুগে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সংঘকে বলা হত "নগরম"। চোল যুগের স্বর্ণ মুদ্রার নাম ছিল "কাসু"।

65. রাষ্ট্রকূট রাজবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে?  
    উঃ রাষ্ট্রকূট বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দন্তিদুর্গ। এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম ছিল তৃতীয় গোবিন্দ।

66. কোন পাল রাজার সময় কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল? এই বিদ্রোহের নেতা কে ছিল?  
    উঃ পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল। কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা ছিলেন ভীম এবং দিব্য।

67. কৈবর্ত বিদ্রোহের উদ্দেশ্য কী ছিল?  
    উঃ কৈবর্ত বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল শোষিত শ্রেণীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং ভূমির অধিকার পুনরুদ্ধার করা।

68. দ্বিতীয় মহীপালের শাসনকালে পাল রাজ্যের পরিস্থিতি কেমন ছিল?  
    উঃ দ্বিতীয় মহীপালের শাসনকালে পাল রাজ্যের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে স্থিতিশীল ছিল, তবে বিদ্রোহের কারণে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

69. মাৎস্যন্যায় বলতে কি বোঝায়?  
    উঃ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলা দেশে চরম অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। হত্যা, গৃহযুদ্ধ এবং দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়। এই অরাজকতায় "মাৎস্যন্যায়" নামে পরিচিত।

70. মাৎস্যন্যায়ের সময়কার সমাজের অবস্থা কেমন ছিল?  
    উঃ মাৎস্যন্যায়ের সময়কার সমাজে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা ছিল, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। শাসক শ্রেণির অবৈধ কার্যকলাপের জন্য জনগণের মধ্যে ভীতি এবং অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

71. মাৎস্যন্যায়ের ফলে বাংলায় কোন প্রভাব পড়েছিল?  
    উঃ মাৎস্যন্যায়ের ফলে বাংলায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব দেখা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ও পতনের প্রভাব ফেলেছিল।

72. মাৎস্যন্যায়ের সময়কালের পরবর্তী শাসকরা কারা ছিলেন?  
    উঃ মাৎস্যন্যায়ের পর বাংলায় পাল ও সেন রাজবংশের শাসন শুরু হয়, যা বাংলার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

73. মাৎস্যন্যায়ের পর সমাজে কি পরিবর্তন ঘটেছিল?  
    উঃ মাৎস্যন্যায়ের পর সমাজে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে, যেখানে নতুন শাসকশ্রেণী এবং প্রশাসনিক কাঠামো গঠিত হয় এবং জনগণের মধ্যে নতুন আশা ও উদ্যোগের জন্ম হয়।

74. গৌড়তন্ত্র বলতে কী বোঝো?  
    উঃ শশাঙ্কের শাসনকালে গৌড়ে যে শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তা ইতিহাসে "গৌড়তন্ত্র" নামে পরিচিত।

75. চর্যাপদ কোন যুগের রচনা? চর্যাপদের পুঁথি কে কোথা থেকে উদ্ধারণ করেছিলেন?  
    উঃ "চর্যাপদ" পাল যুগের রচনা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে এই পুঁথি উদ্ধার করেছিলেন।

76. চর্যাপদের গুরুত্ব কী?  
    উঃ চর্যাপদ বৌদ্ধধর্মের দীক্ষা ও সাধনার সাথে যুক্ত বিভিন্ন কবিতার সংকলন, যা বাংলার প্রাচীন সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অমূল্য দলিল।

77. চর্যাপদে কোন ধরনের বিষয়বস্তু রয়েছে?  
    উঃ চর্যাপদে সাধক ও সিদ্ধাদের জীবন, তাদের দর্শন, বৌদ্ধ ধর্মের মৌলিক নীতি এবং বিভিন্ন আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা রয়েছে।

78. চর্যাপদের রচনার সময়কাল সম্পর্কে কিছু বলো।  
    উঃ চর্যাপদের রচনা মূলত ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে ঘটে, যা পাল যুগের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।

79. চর্যাপদ কি?  
    উঃ পাল যুগে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন ছিল চর্যাপদ। বৌদ্ধ সাধকরা যে দোঁহা বা গান রচনা করেছিলেন, সেগুলোকে বলা হয় চর্যাপদ।

80. অতীস দীপঙ্কর কে ছিলেন?  
    উঃ অতীস দীপঙ্কর ছিলেন পাল যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পন্ডিত ও দার্শনিক। তিনি ৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ঢাকার কাছে বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিক্রমশিলা মহাবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন এবং পরে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি তিব্বতে যান।

81. অতীস দীপঙ্করের মূল অবদান কী?  
    উঃ অতীস দীপঙ্কর বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও দার্শনিক চিন্তাধারার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি তিব্বতে গিয়ে বৌদ্ধ শিক্ষার বিস্তার ঘটান।

82. বিক্রমশিলা মহাবিহার কি?  
    উঃ বিক্রমশিলা মহাবিহার ছিল একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষা কেন্দ্র, যা পাল যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ভারতের অন্যতম প্রধান বৌদ্ধ মহাবিহার হিসাবে পরিচিত ছিল।

83. অতীস দীপঙ্করের সময়কালে বৌদ্ধ ধর্মের অবস্থা কেমন ছিল?  
    উঃ অতীস দীপঙ্করের সময়কালে বৌদ্ধ ধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হিসাবে প্রসারিত হচ্ছিল, তবে হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানের কারণে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছিল।

84. কাদের মধ্যে এবং কেন ত্রিশক্তি সংগ্রাম হয়েছিল?  
    উঃ পাল, প্রতিহার ও রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে কনৌজকে কেন্দ্র করে ২০০ বছর এই সংগ্রাম চলেছিল। এই সংগ্রাম মূলত রাজনৈতিক ক্ষমতা ও আধিপত্যের জন্য সংঘটিত হয়েছিল।

85. পাল যুগে নির্মিত কয়েকটি মহা বিহারের নাম।  
    উঃ পাল যুগে নির্মিত মহাবিহারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:  
    - বিক্রমশীলা মহাবিহার  
    - ওদন্তপুরী মহাবিহার  
    - সোমপুরী মহাবিহার

86. দায়ভাগ গ্রন্থটি কে রচনা করেন? এই গ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু কী?  
    উঃ দায়ভার গ্রন্থটি জীমূতবাহন রচনা করেন। এটি হলো সম্পত্তি ও সামাজিক আইন সংক্রান্ত একটি গ্রন্থ, যা বিশেষভাবে উত্তরাধিকার ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে।

87. পাল যুগে নির্মিত বিহারগুলোর গুরুত্ব কী?  
    উঃ পাল যুগে নির্মিত বিহারগুলি শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ও গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল।

88. দায়ভার গ্রন্থের প্রভাব কী?  
    উঃ দায়ভার গ্রন্থটি প্রাচীন ভারতীয় সমাজের আইন ও নীতি বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, যা সমাজের বিভিন্ন দায়বদ্ধতা এবং সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে ধারণা দেয়।

89. পাল বংশ কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন? এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন?  
    উঃ রাজা গোপাল ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে পাল বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। এই বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম দেবপাল।

90. চক্রপাণি দত্ত কে ছিলেন? তাঁর লেখা কয়েকটি গ্রন্থের নাম।  
    উঃ চক্রপাণি দত্ত ছিলেন পাল যুগের একজন বিখ্যাত চিকিৎসক। তাঁর লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল:  
    - চিকিৎসা সংগ্রহ  
    - শব্দচন্ডিকা

91. দেবপালের শাসনকালের বৈশিষ্ট্য কী ছিল?  
    উঃ দেবপালের শাসনকালে পাল সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করে এবং এটি সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধ ধর্মের উন্নতির জন্য পরিচিত ছিল।

92. চক্রপাণি দত্তের চিকিৎসা পদ্ধতির বিশেষত্ব কী ছিল?  
    উঃ চক্রপাণি দত্তের চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে তিনি প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি এবং তথ্যাবলী সমন্বয় করেন।

93. পাল বংশের প্রতিষ্ঠা ও তাৎপর্য কী ছিল?  
    উঃ পাল বংশের প্রতিষ্ঠা ভারতীয় ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করে, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটে এবং রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্র তৈরি হয়।

94. রামচরিত গ্রন্থটির লেখক কে? এই গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য কি ছিল?  
    উঃ রামচরিত গ্রন্থটির লেখক সন্ধ্যাকার নন্দী। এই গ্রন্থটির মধ্যে দুই ধরনের অর্থ স্পষ্ট হয়েছে: একদিকে শ্রী রামচন্দ্রের গুণ কীর্তন করা হয়েছে, অন্যদিকে পাল রাজা রামপালের বিজয় অভিযানের প্রশংসা করা হয়েছে।

95. প্রতিহার বংশের শ্রেষ্ঠ রাজার নাম কি? তাঁর সময় কোন বিদেশি পর্যটক ভারতবর্ষ এসেছিল?  
    উঃ প্রতিহার বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম ভোজ বা মিহিরভোজ। প্রথম ভোজের সময় আরবের পর্যটক সুলেমান এদেশে আসেন।

96. রামচরিতের রচনার উদ্দেশ্য কী ছিল?  
    উঃ রামচরিতের উদ্দেশ্য ছিল শ্রী রামচন্দ্রের গুণগান ও রাজা রামপালের শাসনকাল ও বিজয়ের কাহিনীকে জনগণের কাছে প্রচার করা।

97. প্রথম ভোজের শাসনকালের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?  
    উঃ প্রথম ভোজের শাসনকাল ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সাংস্কৃতিক উন্নতির সময়, যেখানে প্রতিহার বংশের রাজত্ব সুদৃঢ় হয় এবং আরবের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়।

98. সুলেমানের ভ্রমণের গুরুত্ব কী ছিল?  
    উঃ সুলেমানের ভ্রমণের মাধ্যমে ভারতবর্ষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় এবং এটি ভারতীয় ইতিহাসের সংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

99.পাল যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের প্রধান কারণ কী ছিল?  
উঃ পাল যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের প্রধান কারণ ছিল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিহার ও মন্দিরের নির্মাণ।

100.পাল যুগের শাসন ব্যবস্থা কেমন ছিল?  
উঃ পাল যুগের শাসন ব্যবস্থা ছিল কেন্দ্রীভূত এবং কার্যকর, যেখানে রাজা নিজেই শাসন ব্যবস্থার প্রধান ছিলেন।

101.পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজার শাসন কালে কোন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গৃহীত হয়েছিল?  
উঃ রাজা গোপাল শাসনকালে কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন সংস্কার গৃহীত হয়েছিল।

102.পাল যুগের একজন বিখ্যাত কবির নাম লেখ।  
উঃ পাল যুগের একজন বিখ্যাত কবির নাম কালীদাস।

103.পাল বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন?  
উঃ পাল বংশের শেষ রাজা ছিলেন রাজা রামপাল।

104.কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ করেন?  
উঃ কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লিতে কুতুব মিনার নির্মাণ করেন, যা ইসলামী স্থাপত্যের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।  

105.মুসলিম শাসনের সময় ভারতে কোন ধর্মের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল?  
উঃ মুসলিম শাসনের সময় হিন্দু ধর্মের প্রতি সাধারণত সহনশীলতা বজায় রাখা হয়েছিল, তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কিছু সময়ে নির্যাতনও দেখা গেছে।  

106.শাহজাহানের সময় ভারতে কোন স্থাপত্য শৈলী উন্নতি লাভ করে?  
উঃ শাহজাহানের সময় মোঘল স্থাপত্য শৈলী উন্নতি লাভ করে, বিশেষ করে তাজমহল, যা একটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত।  

107.মোঘল সম্রাট আকবর কিভাবে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠা করেন?  
উঃ আকবর ধর্মীয় সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠার জন্য "দীন-ই-ইলাহী" নামক একটি ধর্ম প্রচার করেন, যা বিভিন্ন ধর্মের নীতিকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছিল।  

109.মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের প্রধান কারণ কী ছিল?  
উঃ মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের প্রধান কারণ ছিল দুর্বল উত্তরাধিকার, অভ্যন্তরীণ সংঘাত, এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শক্তির উত্থান।  

110.মহম্মদ বিন কাশিমের নেতৃত্বে সিন্ধু বিজয়ের ফলে কোন প্রশাসনিক পরিবর্তন ঘটে?  
উঃ মহম্মদ বিন কাশিমের নেতৃত্বে সিন্ধু বিজয়ের ফলে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে আরবি প্রশাসনিক পদ্ধতি, রাজস্ব ব্যবস্থা এবং সেনাবাহিনী পরিচালনার নতুন কৌশল প্রবর্তন করা হয়।  

111.মুসলিম শাসনের সময় ভারতবর্ষে সংস্কৃতি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে?  
উঃ মুসলিম শাসনের সময় ভারতবর্ষে নতুন সংস্কৃতি, যেমন ফারসি ভাষা, ইসলামী সাহিত্য, স্থাপত্য এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষাপদ্ধতির বিকাশ ঘটে।  

112.সিন্ধু জয়ের পর আরবদের ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে প্রবেশের প্রধান কারণ কী ছিল?  
উঃ সিন্ধু জয়ের পর আরবদের ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে প্রবেশের প্রধান কারণ ছিল বাণিজ্যিক লাভ, রাজনৈতিক শাসন বিস্তার এবং ইসলাম ধর্মের প্রসার।  

113.পৃথ্বীরাজ চৌহান এবং মহম্মদ ঘুরির মধ্যে যুদ্ধের প্রধান কারণ কী ছিল?  
উঃ পৃথ্বীরাজ চৌহান এবং মহম্মদ ঘুরির মধ্যে যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল ক্ষমতা বিস্তারের প্রতিযোগিতা এবং উপমহাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল।  

114.মহম্মদ ঘুরির বিজয়ের পরে ভারতে কী ধরনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়?  
উঃ মহম্মদ ঘুরির বিজয়ের পরে ভারতে সুলতানী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে সাম্রাজ্য পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সুলতান নিয়োগ করা হয়।  

115.আরব শাসনের অধীনে ভারতীয় সমাজের ওপর কি প্রভাব পড়েছিল?
উঃ আরব শাসনের অধীনে ভারতীয় সমাজে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। ইসলাম ধর্মের প্রচার এবং আরবদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণ ঘটে। এর ফলে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাড়ে এবং অনেক সমাজে আরব সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়।

116.সামান্য মুসলিম শাসকদের সময় ভারতে কি পরিস্থিতি ছিল?
উঃ সামান্য মুসলিম শাসকদের সময় ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি দেখা যায়। বিভিন্ন সাম্রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘর্ষ চলতে থাকে, যার ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিপর্যস্ত হয়।

117.মুসলিম শাসনের সময় ভারতে সংস্কৃতির কোন কোন দিক উন্নত হয়েছিল?
উঃ মুসলিম শাসনের সময় স্থাপত্য, সাহিত্য, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে। মোগল শাসনকালে বিশেষ করে স্থাপত্যকলা এবং মিনিয়েচার পেন্টিংতে নতুনত্ব আসে।

118.বাহাদুর শাহ জাফরের শাসনকাল কেমন ছিল?
উঃ বাহাদুর শাহ জাফরের শাসনকাল ছিল দুর্বল ও অস্থির। তিনি মোগল সাম্রাজ্যের শেষ শাসক ছিলেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্রোহের সময় তাঁর কর্তৃত্বের অবসান ঘটে।

119.বিজয়নগর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? তিনি কোন রাজ্যের শাসক ছিলেন?
উঃ বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হরীহর ও বুক্কা। তারা তামিলনাড়ুর প্রভূত রাজ্য হয়সালা থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে বিজয়নগর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।